আকবর দ্যা গ্রেট (প্রকৃত ইতিহাস) : [নবম পর্ব] (শেয়ার অবশ্যই করবেন)

আকবর দ্যা গ্রেট (প্রকৃত ইতিহাস) : [নবম পর্ব]

(শেয়ার অবশ্যই করবেন)
পূর্বের পর…
মহান আকবর বনাম মহারানা প্রতাপঃ
…আকবরের পা’চাটা ইতিহাসবিদগণ ব্যাখ্যা দিতে ব্যার্থ হয়েছেন যে কিভাবে এবং কেন আকবর ও মহারানা প্রতাপ একই সময়ে উভয়েই মহান ছিলেন ???…যেখানে তারা দুজনে দুজনার চরম দুশমন ছিলেন।
…এমনকি ভিনসেন্ট স্মিথও বলেছেন বিজয়ের লালসা ছাড়া আকবরের কোন যৌক্তিক কারণই ছিল না চিত্তোড় আক্রমণ করার।…মহারানা প্রতাপ যিনি তার দেশ ও জাতীর জন্য লড়াই করেছেন এবং চেষ্টা করেছেন সকল রাজপুতদের একত্র করে তাদের বোঝাতে যেন তারা এই বিদেশী শত্রুর সাথে নারী বিনিময় চুক্তি না করে।…আর অন্য দিকে আকবর ছিল স্বার্থপর জেহাদি সন্ত্রাসী যিনি চাইতেন যে করেই হোক যতটা সম্ভব লুটররাজ ও হিন্দু নারী দখল করে হারেম ভরিয়ে তুলতে।
…আজকাল দেখা যাচ্ছে, বিশ্বাস ঘাতকের রক্তে জন্ম নেয়া কথিত বুদ্ধিজীবীগণ বলতে শুরু করেছেন যে মহারাণা প্রতাপের মত কিংবদন্তীরা শুধু মাত্র তাদের রাজ্যের জন্য লড়াই করেছে।…এবং আকবরের মত যারা হত্যাযজ্ঞ করেছে, যেমন অতীতের ISIS জেহাদি আকবর ও আওরঙ্গজেব; তারা দেশের একতার জন্য কাজ করেছে!
…কিন্তু আসল সত্যটা হচ্ছে হত্যা, ধর্ষণ, ও কিছু নপুংসক হিন্দু যোদ্ধাদের বিশ্বাস ঘাতকতার যুগে শিবাজী ও মহারানার মত কিছু মহান বলীয়ানরাই জাফরানী রঙের পতাকা উঁচিয়ে ধরে ছিলেন (এই পতাকা ছিল ভারতীয় জাতীয়তার প্রতীক কোন হিন্দুত্বের প্রতীক নয়)।…এবং নিশ্চিত করেছিলেন এই সকল খুনি, বর্বর, দস্যুদের দৌরাত্ম কখনই স্থায়ী হতে পারে না এবং শীঘ্রই তা ধ্বংস হবে।
আকবর এবং ইসলামঃ
…তৎকালীন এবং বর্তমান মুসলিমরা বোকার মত বিশ্বাস করে যে আকবর ইসলামের যে মহানুভবতার প্রতিনিধিত্ব করেছে তা অনুকরণীয়।…কিন্তু আউরঙ্গজেব, তার বাপ, দাদা, পরদাদা, পরপর দাদা থেকে শুরু করে তাদের সমস্ত বংশধরেরা ইসলামের নামে শুধুই খুন, ধর্ষন, লুট, ধোঁকাবাজি, বর্বরতা ইত্যাদি সকল হীন কাজ করেছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি এবং ক্ষমতার জন্য।…এই দেশকে নিজের দেশ ভেবে দেশ এবং দেশের মানুষের জন্যে একটি কাজও তারা করেনি।
…উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, আকবর ছিল একজন মদ্যপ, নেশাসক্ত, নারী লোভী এবং তিন ডজনের বেশী স্ত্রী ছিল- কিন্তু এ বিষয়গুলো সব ছিল ইসলামে স্পষ্টত ভাবে হারাম।
…আকবর গুজব রটিয়ে দিয়েছিল যে তিনি নিজেই ছিলেন আল্লাহ্‌র প্রেরিত পুরুষ।…তিনি মানুষদের বলতে বাধ্য করতেন তাকে আল্লাহ-ও-আকবর বলে ডাকতে। মুর্খ নির্বোধ মুসলিমরা সেটাকে বিশ্বাস করেছিল যে আল্লাহ্‌-ও-আকবর বলে তারা আল্লাহ্‌কে প্রশংসা করছে।…এখানে আকবর নিজেকে আল্লাহ বলে দাবী করছে।…কাউকে সম্ভাষণ জানানোর জন্য ইসলামে কখনই আল্লাহ্‌-ও-আকবর বলে সম্বোধন করা হয় না।…আবুল ফজলে বলেছেন তিনি নিজেকে সর্বব্যাপী হিসেবে উপস্থাপন করতেন।
…ইমামে রাব্বানী হযরত মোজাদ্দেদ আলফেছানি শায়েখ আহমদ ফারুক সেরহিন্দ (রাঃ)।…তিনি ১৪ই শাওয়াল ৯৭১ হিজরিতে ভারতের সিরহিন্দ শহরে জন্ম গ্রহন করেন।…আকবর ও জাহাঙ্গীর দুই অত্যাচারী ইসলামি জেহাদি সম্রাটের মধ্যবর্তী সময়ে মোজাদ্দেদ হিসাবে আত্নপ্রকাশ করেন তিনি।…তার মতে সম্রাট আকবর ছিলেন ইসলাম ধর্মের জেহাদি চিন্তার বিরোধী এবং জেহাদের কাজ ঠিক মত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন না।…আর তার ধর্মীয় শাসনামলেই সম্রাট আকবর ইসলাম ধর্মের পরিবর্তে নতুন এক ধর্মের প্রবর্তন করেন।

(চলবে)

( – Writankar Das – )