রোজা রেখে সারাদিন না খেয়ে মুসলমানরা কাজে ফাঁকিবাজী করে। অভুক্ত মানুষ কোনভাবেই তার স্বাভাবিক কর্মশক্তি প্রয়োগ করতে পারে না। বাংলাদেশী মিডিয়া বলছে, চীন সরকার তাদের জিনজিয়াং অঞ্চলে সরকারি চাকুরিজীবী, শ্রমিক, স্কুল কলেজের স্টুডেন্ট ও শিক্ষকদের রোজা রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মুসলমানদের তৌহিদী চেতনা চাগিয়ে দিতে বরাবরই বাংলাদেশী মিডিয়া স্বাধ্যমত চেষ্টা করে। সম্ভবত চীন সরকার সেখানকার মুসলমানদের মামার বাড়ির আবদারগুলোকেই কঠরহস্তে দমন করেছে। কেননা নিউজ থেকেই জানা গেছে জিনজিয়াং প্রদেশের মুসলমান খাবার দোকানদারদের রমজান মাসে দিনের বেলা দোকান খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে চীন কর্তৃপক্ষ। এসব অঞ্চলে দিনের বেলা মুসলমানরা দোকান বন্ধ রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। দিনেরবেলা কর্মরত শ্রমিক, চাকুরিজীবীসহ ছাত্র শিক্ষক যারা মুসলিম নন তাদের সমস্যা তৈরি করে। চীন সরকার মুসলমান ব্যবসায়ীদের এইসব কর্মকান্ড অনেকদিন ধরেই বরদাস্ত করছে না। মুসলমানরা রোজা রাখলে চীন রাশিয়া আমেরিকার কিছু যায় আসে না। গোটা পৃথিবীরই কিছু যায় আসে না যদি মুসলমানরা সারাদিন না খেয়ে ভেটকি দিয়ে থাকে। সমস্যা তখনই হয় যখন না খেয়ে কাজে ফাঁকি দিয়ে উৎপাদন ব্যাহত করে। দিনের বেলা খাবার দোকান বন্ধ করে অন্যকে কষ্ট দেয়। অন্যকে দিনের বেলা খেতে দেখে নিজেদের অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত করে বিদ্বেষ ঘৃণার সৃষ্টি করে- তখনই রমজান সারা পৃথিবীর জন্য অভিশাপের মত নেমে আসে।
বাংলাদেশ মুসলিম কান্ট্রি। এখানে রোজার সময় রাষ্ট্রীয়ভাবে ফাঁকিবাজি চলে। দুপুর তিনটার দিকে অফিস খালি করে বাড়ি গিয়ে সন্ধ্যায় ভুরিভোজ চালানো হয়। দিনের বেলা খাবার দোকানগুলো- যেগুলো মূলত শ্রমিকদের জন্য পথের ধারে চা নাস্তার স্টল, সেগুলোকে কালো কাপড়ে ঢেকে রাখা হয় অত্যন্ত দৃষ্টিকটুভাবে। গত বছরের মত এ বছরও সংবাদ পাওয়া গেছে অনেক জায়গাতে মাইকিং হয়েছে দিনের বেলা খাবার দোকান খোলা রাখলে কঠর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিজে রোজা রাখবে, যারা রাখবে না তাদেরও জোর করে না খাইয়ে রাখবে। অফিসগুলোর ক্যান্টিং বন্ধ রাখা হবে। হোস্টেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিং বন্ধ রাখাবে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার জন্য। দেশের লোকজন সমস্ত কাজ রমজানের পর করবে বলে পিছিয়ে রাখবে। এই মাসটা হলো অপচয়ের মাস। বেসুমার খাওয়া দাওয়ার মাস। তাও কথা ছিলো না, অন্য কেউ রোজা রাখছে কিনা, সে দিনের বেলা যাতে খেতে না পারে তার ব্যবস্থা করার মত শায়তানিতে মুসলমানরা নিয়োজিত থাকে এ মাসে। কাফেরদের দেশে মুসলমানদের ৯০ ভাগের এই দম্ভ নেই বলে নানা রকম মানবিকতা, গণতান্ত্রিক অধিকার ইত্যাদি’র ছলে রমজানের সব রকম প্রতিক্রিয়াশীল আবদার তারা করে চলে। চীন সেটাই বন্ধ করে দিয়েছে। রোজা রেখে কেউ কর্মক্ষেত্রে দেরী করে আসবে, বিকেলবেলা চলে যেতে চাইবে, তারাবী পড়ার আবদার করবে- এসব কেন উৎপাদনশীল, পরিশ্রমি নিয়ম নিষ্ঠ কোন দেশ মেনে নিবে? সেটাই এখন মিডিয়াতে “মুসলমানদের রোজা রাখতে দিচ্ছে না চীন” হিসেবে প্রচার চলবে…।