বন্ধুরা, ….
এটা … বহু পুরোনো একটা বিতর্কিত প্রশ্ন যে, …” কোন মুসলমানই কি তবে মানুষ নন ….? তবে ভারতরত্ন মহামহিম প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, ডঃ এ পি জে আবদুল কলাম বা বাংলাদশে চাপাতির কোপে নিহত হুমায়ূন আজাদ কিংবা নির্বাসিতা তসলিমাদের কি বলা হবে – ”?
– এর উত্তর আমি বহুবার বহু জায়গায় দিয়েছি। এই একই উত্তর দিতে দিতে আমার মুখ ব্যাথা হয়ে গেছে। তবুও প্রশ্ন যখন উঠেছে, তখন উত্তর দেবার দায়িত্বও আমার ….।।
আমার উত্তর হ্যাঁ। “… কোন মুসলমানই মানুষ হতে পারেন না। মুসলমান… মুসলমান-ই আর মানুষ মানুষ-ই। তাদের মধ্যে কোনও মিলই নেই। তারা তাদের সমাজে হয়তো বা মানুষ, দেখতে হয়তো মানুষ, কথা বার্তায় .. চালচলনে হয়তো বা মানুষ, … কিন্তু আধুনিক সভ্য সমাজে… তারা আদৌ মনুষ্যপদবাচ্য কিনা তা অবশ্যবিচার্য বিষয়..”।
কথাটা শুনতে হয়তো খুব বিচ্ছিরি, … শ্রুতিকটু, – তবুও আজ সময় এসেছে কোদাল কে কোদাল বলার …।।
কেন বলছি ….??
– যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন, হজ করে কাফের হত্যার সঙ্কল্প করেন, রোজা রেখে … জেহাদের স্বপ্ন দেখেন। শরীয়তীর পরিপন্থী গনতন্ত্র যাদের কাছে হারাম, যারা কাফেরের স্ত্রী, কন্যা ধর্ষন করাকে জায়েজ (বৈধ) এবং কাফেরের লুন্ঠিত সামগ্রীকে গণিমতের মাল বলে অধিকার করতে কুন্ঠিত হন না। … দার উল ইসলাম … যাদের একমাত্র লক্ষ, … ইসলামিক উম্মার (ভাতৃত্ববোধ) বাইরে … যাদের কাছে সকল কাফের (অমুসলিম) হত্যাযোগ্য, … কাফেরের মুর্তি (বুত)পূজা যাদের কাছে শিরক (পাপ)। … যারা সেগুলিকে ধ্বংস করা পবিত্র কর্তব্য বলে মনে করেন, … জেহাদ বা অমুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তাদের জান মাল … মহিলাদের দখল না করলে যারা জন্নত (স্বর্গে) যেতে পারেন না, …. ইত্যাদি … ইত্যাদি ..
– কোরান মতে তারাই হলেন “মুসলমান” পদবাচ্য।
…. এগুলো তো আমার কোন কথা নয়। স্বয়ং ১৪০০ বছর আগেই মহাম্মদ নিজেই এগুলো বলে গেছেন … এবং কোরান এবং হাদিসগুলি পড়লেই এগুলি একটা পাগলেও বুঝতে পারবে..।
– … তো এবারে আমিই আবার প্রশ্ন করছি, … মানুষের মত আকৃতি বিশিষ্ট এই ধরণের বিকৃত রুচি ও মানসিকতার প্রাণীদের তবে কি বলে অবিহিত করব? … “মানুষ”…??
এবারে আসি দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে …
– যদিও তাদের সংখ্যা নগন্য … তবুও এমন কিছু আরবীয় নামধারী ব্যক্তি আছেন, যাদের জন্ম ইসলামিক পরিবারে, বড় হয়ে ওঠা সেখানেই … কিন্তু, … যারা কোরান বর্নিত উপরিল্লিখিত কোনটাই পালন করেন না। বরং আর দশটা কাফেরের (অমুসলমানের) মতই জীবন কাটান।..
– এরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন না, কাফের তত্ত্বে বিশ্বাসী নন। হজ করে কাফের হত্যার সঙ্কল্প নেন না, রোজা রেখে … জেহাদের স্বপ্ন দেখেন না। শরীয়ত যাদের কাছে ঘৃন্য, যারা কাফেরের স্ত্রী, কন্যা ধর্ষন করা কিংবা, কাফেরের সামগ্রী লুন্ঠনের কথা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেন না। … দার উল ইসলাম … যারা মানেন না। … যাদের কাছে, বিশ্বের সকল মানুষ অতিথি দেব ভবঃ, …… অপরের ধর্মকে যারা শ্রদ্ধা করেন, ‘জেহাদ’ মানে যাদের কাছে … সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই …. ইত্যাদি … ইত্যাদি। মানুষকে ভালোবেসে যারা এই পৃথিবীতেই স্বর্গ রচনা করেন ….
….. এদের কি বলব তবে …??
– সবচেয়ে বড় কথা মুসলমানেরাই তাদের “মুরতাদ” আখ্যা দিয়ে নিজেদের সমাজ থেকে পৃথক করে দিয়েছেন। … শুধু কি তাই ? তাদের কোতল করার সম্যক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোরানে। … অর্থাৎ এরা মুসলমান নন।
…. হ্যাঁ, বন্ধু … মুসলমান নামধারী হয়েও এরা মুসলমান’ই নন ..।
– এরা মানুষ। … মনুষ্যত্বই এদের একমাত্র পরিচয়। শুধু এই যা, মুসলমান নামটাই চাঁদের কলঙ্কের মত এদের সারা জীবন সঙ্গী হয়ে থাকে।
…. আর ভারতরত্ন মহামহিম প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, ডঃ এ পি জে আবদুল কলাম, সলমান রুশদি, স্যার এম এ খান বা বাংলাদশে চাপাতির কোপে নিহত হুমায়ূন আজাদ কিংবা তসলিমারা … তাই মানুষ।
– এরা মুসলমান হতে যাবেন কোন দুঃখে …??
প্রবচনঃ
“অল্প সময়ের জন্য অল্প সংখ্যক মানুষকে বোকা বানিয়ে রাখা যায় , কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষকে বোকা বানিয়ে রাখা যায় না।”………………
(শ্রী রাজা দেবনাথদা)