পূর্ববঙ্গ: বাংলাদেশে কংগ্রেস কমিউনিস্ট ফরওয়ার্ড ব্লক, আর, এস, পি পার্টি ছিল কিন্তু এখন নাই কেন?? পূর্ব বাংলায় হিন্দুর উপর যে অত্যাচার হয়েছে ইহুদিদের অত্যাচার থেকেও ভয়াবহ। ময়মনসিংহ জেলার মেঘনা নদীর উপর যে বিরাট ভৈরভ সেতু ১২/২/১৯৫০ সালে রাতের অন্ধকারে ঘাতকেরা অস্ত্র নিয়ে ট্রেন থামিয়ে তল্লাশি করে কত হিন্দুকে হত্যা করে জলে ফেলে দেয় তার হিসাব কোনদিন পাওয়া যাবে না।
শিয়ালদহ স্টেশনে ট্রেন এল যাত্রী নেই শুধু রক্ত ভাঙ্গা শাঁখা চুড়ি ছেঁড়া জামা কাপড়। মুখ্যমন্ত্রী বিধান রায় জহরলালকে ফোন করলেন এবং জানালেন এখন যুদ্ধ ছাড়া অন্য পথ নেই। জহরলাল নীরব। ( বিধান রায়ের জীবনী) ১৯৫০ সালে হিন্দু হত্যার সময় ঋষি অরবিন্দ বলেছিলেন পূর্ব পাকিস্তান আক্রমণ করার সময় হয়েছে এবং আক্রমণ করা উচিৎ।
বাংলাদেশ থেকে হিন্দু কাজকর্ম করা চলবে না ভেবে বালক ব্রহ্মচারী (ঢাকা) জগবন্ধু (ফরিদপুর) মহানামব্রত ব্রহ্মচারী (বরিশাল) অনুকুল ঠাকুর (পাবনা)-মা আনন্দময়ী (কুমিল্লা) ভবা পাগল (ঢাকা) রাম ঠাকুর (ফরিদপুর) দূর্গাপ্রসন্ন পরমহংস (বরিশাল) স্বরূপানন্দ পরমহংস (কুমিল্লা) পশ্চিমবাংলায় চলে আসেন।
১৯৫০ সালে হিন্দু নারীদের উলঙ্গ করে তাড়িয়ে দিল কোথাও কোথাও মহিলারা কাগজ দিয়ে যৌনাঙ্গ ঢেকে এপারে চলে আসে। পাকিস্তানের কংগ্রেস নেতা ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও ঢাকা ঔষধালয় এর অধ্যক্ষ নিহত হন। পরবর্তীকালে বিখ্যাত কংগ্রেস নেতা সতীন সেন কে জেলে অত্যাচার করে মেরে ফেলে।
বরিশালে ডিসেম্বর মাসে ১২ হাজার হিন্দু মহিলাকে উলঙ্গ করে তিন দিন ক্রমাগত প্যারেড করান হয়। দৈনিক প্রতিবেদন ২৯/৬/১৯৯৩ ।
১৯৭১ সালে মা এবং মেয়েকে একসঙ্গে তাদের বাবা-ভাইদের সামনে বলাৎকার করা হয়েছে। মহিলাদের স্তন কেটে ফেলা হয়েছে। গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভস্থ সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। বয়স্ক পুরুষদের পুরুষাঙ্গ (লিঙ্গ) কেটে ফেলা হয়েছে। চোখ উপড়ে নেয়া হয়েছে। সর্বশেষে ধড় থেকে মাথা আলাদা করা হয়েছে।
— আনোয়ার শেখ — দিস ইজ জেহাদ পৃ ২৩ ইংল্যান্ড।।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ধর্মাবলম্বী সংখ্যা ছিল শতকরা ৯৬ জন বর্তমানে আছে শতকরা ৫০ মাত্র। মুসলমানদের অত্যাচারে আসাম এবং ত্রিপুরাতে চলে গেছে। মুসলমান সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ১৯৭৯ সালে জেলে মুসলমান বন্দি দাগি চোর ডাকাত খুনিদের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতি স্থাপনের সুবিধা করে দেয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামে এমন কোন গ্রাম খুঁজে পাওয়া যাবে না যে গ্রামে কোনো না কোনো নারী সেনা বাহিনীর পাশবিকক অত্যাচারের শিকার হয় নি। যশোর জেলায় এক গ্রামে একজন বামপন্থী হিন্দু ডাক্তার সকলের কাছে জনপ্রিয় ছিল।
ওই গ্রামে মুসলমান নতুন জমিদার একদিন তার বাড়িতে ডাক্তারকে ডেকে বলল ডাক্তার বাবু আপনি ভাল ডাক্তার কিন্তু হিন্দু অর্থাৎ কাফের এইভাবে না থেকে সপরিবারে মুসলমান হয়ে যান। ডাক্তারবাবু হচ্ছেন বামপন্থী তাই গ্রামের অনেক হিন্দু ওপার বাংলায় গেলেও উনি যান নি।
ডাক্তারবাবু বললেন কালকে বাড়িতে কথা বলে জানাবো। পরের দিন সকালে দরজা না খোলায় মুসলমানেরা রোজা ভেঙে দেখে ডাক্তার বাবু তার স্ত্রী ও মেয়ে খাটে শুয়ে আছেন পাচ্ছে বিষের শিশি পড়ে আছে এবং একটা কাগজে লেখা আছে ধর্ম পরিবর্তনের বদলে মৃত্যুকে বরণ করলাম।
খুলনা জেলায় এক গ্রামে এক হিন্দু শিক্ষক ছিলেন। অনেক বছর শিক্ষকতা করার জন্য বহু হিন্দু মুসলমান ছাত্র তাকে শ্রদ্ধা করতো কিন্তু একদিন তারই কিছু মুসলমান ছাত্র দল বেঁধে শিক্ষক মহাশয় এর বাড়িতে এলো।
শিক্ষক মশায় আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বললো আপনার মেয়েকে আমরা নিয়ে যাবো এই বলে তারা ঘরের মধ্যে ঢুকে চ্যাংদোলা করে মেয়েকে নিয়ে যায় মা বাধা দিতে গেলে তারা এক ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। শিক্ষক মশাই নীরব।
একমাত্র সন্তানের এই অবস্থায় মেয়েটির মা সব সময় দরজার কাছে বসে থাকে খাওয়া স্নান ভুলে। আস্তে আস্তে ঐ মহিলা পাগল হয়ে যায়। শিক্ষক মশায় কলকাতায় চলে যান। অনেকে হয়তো বেলগাছিয়া রাস্তায় ময়লা শাড়ি পড়া চুলে তেল না দেওয়া এক পাগলীকে ফুটপাতে বসে থাকতে দেখেছেন সে ঐ শিক্ষকেরই স্ত্রী মুখে একমাত্র কথা মেয়ে কোথায়?
যশোর জেলার কেশবপুর একুশজন হিন্দু যুবককে কোদাল হাতে গর্ত করতে দেখা গেল। তাদের নিজেদের কবর তাদের দিয়ে করিয়ে তাদের হত্যা করলো আনসার বাহিনীর লোকেরা।
ফরিদপুরে এক গ্রামে ওই গ্রামের মৌলভী তার লোকদের দিয়ে এক সুন্দরী বিবাহিত হিন্দু মহিলাকে জোর করে নিকা করে। ওই মহিলা ছোট একটা ছেলে দূর থেকে মাকে দেখে কিন্তু কাছে গেলে ধমক খায় তাই যাওয়া বন্ধ, ওদের মা দূর থেকে ছেলেকে দেখে এবং চোখের জল ফেলে কাছে যাওয়া চলবে না। মুসলমানদের একটা কথা চালু রয়েছে — হরিচরণ মুসলমান ভাই ভাই হিন্দু কোন কাঁহাসে আয়ি।
২০০১ সালে ৮ই অক্টোবর সিরাজগঞ্জে অনিল শীলের ১৪ বছর এর মেয়ে পূর্ণিমা শীলকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীরা। জনকন্ঠ ২১/১০/২০০১ । পূর্ণিমা হিন্দু হয়ে জন্মে ছিল এই তাঁর অপরাধ, তখন ভারতবর্ষে হিন্দু গুনতিতে ছিল ৩০ কোটি মুসলমান ছিল ৯ কোটি কিন্তু হিন্দুরা পারেনি পূর্ণিমার দেখা করতে কারণ হিন্দু তো রাশিয়াপন্থী, চীনাপন্থী, আরবপন্থী, আমেরিকাপন্থী, ইটালিপন্থী, মানবতাপন্থী, বামপন্থী, প্রগতিশীলপন্থী ও নাস্তিকপন্থীতে বিভক্ত, হিন্দু কোথায় ??
অধ্যাপিকা ইলা মিত্রকে বাংলাদেশে সূচালো উপর দাঁড় করিয়ে রাখা থেকে যত রকম অত্যাচার করা যায়। গুপ্ত অঙ্গে গরম ডিম ঢোকানো হয়েছিল। কম্যুনিস্ট হিসাবে না হিন্দু হিসাবে এই অত্যাচার করা হয়েছিল ? কমিউনিস্টরা গোলাপ কুদ্দুসকে দিয়ে ইলা মিত্রকে নিয়ে একটা কবিতা লিখিয়ে তারা প্রচার করতে লেগে গেল যে হিন্দু তথা কাফের হিসাবে নয় কমুনিষ্ট হিসাবে এই অত্যাচার হয়েছিল।
তাহলে জ্যোতিবাবু, প্রমোদ দাশগুপ্ত , বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা বাংলাদেশ থেকে কেন পালিয়ে এলো ? কম্যুনিষ্টদের চোখে হিন্দু মুসলমান নয় মানবতার কথাই বলে ওরা কিন্তু মুসলমানদের চোখে তুমি মুসলমান না কাফের ? বাংলাদেশে কংগ্রেস কম্যুনিষ্ট ফরওয়ার্ড ব্লক, আর, এস, পি পার্টি ছিল কিন্তু এখন নাই কেন??
রাজশাহী জেলার আড়ানী গ্রামের নারায়ন ঘোষের বাড়িতে ৮ জন ইসলামপন্থী দল বেঁধে তার ১৭ বছরের ভাগ্নিকে ধর্ষণ করতে আসে। বাধা দেওয়া নিরর্থক হওয়ায় নারায়নের বোন দুর্বৃত্তদের হাত জোড় করে বলেন তোমরা সবাই যদি একসাথে আসো তাহলে আমার মেয়ে মরে যাবে তাই একজন একজন করে আসো।
ঢাকার জনৈকা আফসানা চৌধুরীর বাড়ির কাজের মেয়ে ঝর্ণা জানা গত নির্বাচনের পর তাদের গ্রামের বাড়িতে হাসেন কাঙ্কিল মামুন ইমরানরা ২৫/৩০ জন ধর্ষণ করতে আসে। তারা হাতে বাঁশ দিয়ে তৈরি ছোট ছোট ফালি নিয়ে এসেছিল। যৌন অত্যাচার করার পরে ঐ বাঁশের ফালিগুলো গোপন স্থানে ঢুকিয়ে দিত। মেয়েগুলি চিৎকার করে উঠতো। ওরা হাসতো উল্লাস করতো। তারপর রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়ে গুলি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা চলে যেত। অন্নদাপ্রসাদ গ্রামে হিন্দুবাড়ি।
নির্বাচনের পরের দিন হামলা হতে পারে মনে করে বাড়ির মেয়েদের ওই গ্রামে সুরক্ষিত ভেন্ডার বাড়ি বলে পরিচিত সেখানে পাঠিয়ে দেয়। হামলাকারীরা গ্রামের 400 বাড়ি লুট করে ভান্ডার বাড়ি আক্রমন করে রাত দ্বিপ্রহরে। 50 জন নারী এই বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ে ধান ক্ষেতের জলে।
কিন্তু বাচ্চাদের জলে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে জল থেকে উঠতে বাধ্য করে। রাতভর সব নারীদের উপর চলে পাশবিক নির্যাতন। আট থেকে পয়ষট্টি বছরের বৃদ্ধা কেউ রেহাই পায় নি। পারুলবালা সাহা ধান ক্ষেতের জলে থাকার কারণে ৩৮ টি জোক কামড়ে ধরে। তবুও তিনি নাক উঁচু করে বসেছিলেন কিন্তু তাতেও রেহাই পায় নি। যাদের ছোট ভাইদের মতো দেখে এসেছে সেই মিনাজ সেলিম জল থেকে তুলে পারুলবালাকে ধর্ষণ করে। — সালাম আজাদ– এথনিক ক্লিনসিং।
সিলেটে বাংলাদেশ অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ১০৮ তম বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে হিন্দি ছাত্রীদের জন্য খাসি ও মুরগির মাংস আলাদা ভাবে থাকার কথা ছিল কিন্তু পরিকল্পিতভাবে গরুর মাংস খাওয়ায়।
——- জানুয়ারী ২০১২ দৈনিক স্টেটসম্যান – ২/১/২০১২
মুসলিম লীগকে নিয়ে কেরালায় কংগ্রেস সিপিএম সরকার গঠন করে কিন্তু এই মুসলীম লীগ ১৯৪৬ সালে ১৬ আগস্ট একটা প্রচারপত্র বিলি করে তাতে ছিল —-১। পাকিস্তানের পরে সারা ভারত জয় করতে হবে ।
২ । ভারতে সব মানুষকে ইসলাম ধর্মান্তরিত করতে হবে । ৩ । যত দিন পাকিস্তান হচ্ছে না ততদিন নিম্নলিখিত কাজ গুলো করতে হবে ঃ — হিন্দুদের দোকান ও কারখানা লুট করে লুটের মাল লীগ অফিসে জমা দিতে হবে।
লীগের সব সদস্যদের অস্ত্র বহন করতে হবে। জাতীয়তাবাদী মুসলমানদের গুপ্ত হত্যা করতে হবে। হিন্দু হত্যা করতে হবে হিন্দু সংখ্যা কমাতে হবে। কোন মুসলমান হিন্দুর অধীনে কাজ করবে না। হিন্দু নারীদের ধর্ষণ করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করতে হবে। হিন্দু সংস্কৃতি ধ্বংস করতে হবে।
আর পড়ুন……