বন্ধু Debasis Laha লিখলেন::
থুতু /দেবাশিস লাহা
রাজেশ সরকার, তাপস বর্মন আর কে যেন!
দু দুটো নাম এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললেন কবি, শিল্পী এবং তেলে ভাজার মত হাতে গরম এক অশীতিপর বুদ্ধিজীবী!
পড়লেন ও শুঁকলেন, দেখে নিলেন আরবি আতরের সুবাস ভেসে আসছে কিনা!
কবি বলে উঠলেন — ছাত্র হয়ে রাজনীতি করা কেন বাপু? শিক্ষক নিয়োগ তো সরকারের কাজ!
চেপে যা বাপ, আমরাই তো বার বার বলেছি সচেতন নাগরিক হতে গেলে ছাত্রাবস্থায় রাজনীতি করা জরুরি!
তাই তো! জিভ কামড়ে কবিটি চুপ হয়ে যাওয়ার পর অশীতিপর বুদ্ধিজীবী কলম তুলে নিলেন,
একি করছেন! পুরস্কারের তোরঙ্গে যে এখনও পেট্রোলের গন্ধ!
শিল্পীটি ফিসফিসিয়ে উঠতেই ধ্বজভঙ্গ কলম থেকে কয়েক ফোঁটা বঙ্গশ্রী!
উফ কি দুর্গন্ধ!
কিসের? মরার না পুরস্কারের? দেওয়ালের ওপাশ থেকে অট্টহাসি!
কে? কে ওখানে?
কোনো সাড়া নেই; কেউ কি সত্যিই ছিল ওখানে?
এবার আমরা কি করব? কি করা উচিত?
কবি বললেন অপেক্ষা,
শিল্পী বললেন অপেক্ষা
বুদ্ধিজীবী বললেন অপেক্ষা!
কিন্তু কিসের?
মনের মত লাশের!
এরা কি লাশ নয়?
অবশ্যই না। লাশ হয়ে উঠতে গেলেও কিছু ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করতে হয়, আপনারা জানেন না?
কবি বললেন জানি,
শিল্পী বললেন জানি,
বুদ্ধিজীবী বললেন জানি!
চাপ চাপ রক্তের ভেতর শুয়ে থাকা রাজেশ, তাপস এবং আরও কেউ কেউ তখনও লড়াইয়ের শ্লোগান তুলছিল —
মৃতদেহদেরও থুতু ছেটানোর অধিকার দেওয়া হোক!