মাফ করবেন সুধীজন, ব্যালেন্স করে লিখতে পারলাম না :

মাফ করবেন সুধীজন, ব্যালেন্স করে লিখতে পারলাম না :
————————————————————–

পাঠক এবং সুধীজন, মাফ করবেন, আমি সেকুলার মুক্তমনার ভাড়া করা যাত্রার ড্রেস পরে ‘বিবেক’ এর রোলে অভিনয় করতে পারলাম না । তিতা সত্য লিখছি, ইচ্ছে হলে পড়বেন, না হলে টাইমলাইন থেকে পোস্ট ডিলিট করে দেবেন !
১৪০০ বছর আগে তথাকথিত জগৎশ্রেষ্ঠ পুরুষ, মহা নবীর হাত ধরে প্রবর্তিত ইসলাম জ্ঞান-বিজ্ঞান বিমুখ এবং মানব সভ্যতার বিরোধী, যার ফলে পৃথিবীর যেখানে যেখানে ইসলামের প্রসার ঘটেছে  সেই ভৌগোলিক অঞ্চলগুলোতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশ থমকে গেছে । হ্যা পাঠক, কথাটা ভেবেই লিখলাম । ধর্মের ইতিহাস ঘেঁটে দেখবেন, সেই কবেই নবম শতাব্দীতে ইসলামের উদারপন্থী মুতাজিলা এবং অন্যান্য যুক্তিবাদীদের বিরুদ্ধে হত্যা অভিযান শুরু হয়েছিল । পণ্ডিত ও জ্ঞানীদের, উদার এবং যুক্তিবাদীদের খুন করা হয়েছিল । এভাবেই ইসলাম যেখানে প্রসার লাভ করেছে, সেখানে ইসলামের প্রসারের আগে যতটুকু জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশ ঘটেছিল তাকে শেষ করেছে ঠান্ডা মাথায় । ইসলাম যে সকল ভৌগোলিক অঞ্চলে প্রসার ঘটিয়েছে সেখানেই স্থানীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে, আরবী মরু অঞ্চলের ভোগবাদ ও নৃশংস সংস্কৃতি চাপিয়ে দিয়েছে, যার সব থেকে প্রধান শিকার হয়েছে নারী।

ইসলামী আগ্রাসন শুধু মাত্র লুণ্ঠনেই তৃপ্ত নয়, সবচেয়ে বড় লক্ষ্যবস্তু প্রতিপক্ষের নারীই এর প্রধান লক্ষ । প্রথমে ভিন্নধর্মীদের নারীকে বন্দী তারপর তাকে দাসী বানানো, এবং এরপরে ধর্ষণ ! এখানে ধর্ষণের আনন্দই একমাত্র উদ্দেশ্য নয়, সাথে আছে বন্দী নারীদের গর্ভে সন্তানের জন্ম দিয়ে ইসলামের প্রসার ঘটানো । ভিন্ন ধর্মালম্বী জনগোষ্ঠীর মর্যাদা ভেঙ্গে দেওয়ার এক পন্থা । নারী মানুষের জননী, সেখানে আঘাত মানেই মানুষের মর্যাদার গোড়ায় আঘাত ! বর্বর ও হানাদার ইসলামী পুরুষদের  যৌন তৃপ্তি তো ছিলই এর সাথে ।  বন্দী নারী আর ক্রীতদাসী ধর্ষণ তাই ইসলাম অনুমোদিত ।

১৪০০ বছর আগে ফুলের মত নিঃষ্পাপ নবীর হাত ধরে আরব ভূমিতে প্রবর্তিত ইসলামের মূল স্তম্ভগুলোই হলো লুণ্ঠন, ধর্ষণ ও সন্ত্রাস আর ইসলামিস্ট এবং মডারেটরা এই সত্য ঢেকে রাখে অবিশ্বাস্য সব ভণ্ডামি, মিথ্যাচার এবং প্রতারণা দিয়ে, জ্বলন্ত উদাহরণ ‘জোকার নালায়েক’ ! এই ভণ্ডামি ও মিথ্যাচারী প্রমান করে ইসলামের নীতিহীনতা । বিশ্বে প্রবর্তিত আর কোনও ধর্ম, ইসলামের মত অবাধ বিবেকহীন নারী সম্ভোগী, ধর্ষণ এবং স্বেচ্ছাচারী পুরুষের একনায়কতন্ত্রের লাইসেন্স দেয়নি । পাঠক, ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন আরব থেকে বেরিয়ে বিশ্বের যেখানে, যেখানে ইসলাম গেছে সেখানেই মানুষের রক্ত ঝরেছে, অশ্রু ও ঘামের বিনিময়ে গড়ে উঠেছে বিরাট বিরাট প্রাসাদ আর সেই সব ভু অঞ্চলে অগণিত মানুষ বন্দী আর ক্রীতদাস হয়েছে,  পরাজিত ভিন্নধর্মী নারীদের স্থান হয়েছে অবরুদ্ধ নারীর হারেমে………………………!

রেফ : এমএ খান, জিহাদ ꞉ ‘জবরদস্তিমূলক ধর্মান্তরকরণ, সাম্রাজ্যবাদ ও দাসত্বের উত্তরাধিকার’ ।