November 24, 2020

সূফীবাদ ও ইসলাম
Bangla Blog

বাঙালি মুসলমান কি সূফীবাদের প্রেমেই ইসলাম গ্রহণ করেছিল ? দুরর্ম

বাঙালি মুসলমান কি সূফীবাদের প্রেমেই ইসলাম গ্রহণ করেছিল ? কিছুদিন আগে ‘roar’ বাংলাতে প্রাচীন ভারতে আগত সুফী নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দিল্লিতে আসা ও তার মহিমা বিস্তারের কথা সবুজ পাক মখমলে পেশ করা হয়েছে । পড়লে অনেকেরই ইসলামের সহনশীল সুফিবাদে হৃদয় গলে যাবে । আসলে ইসলামের এক মূল স্তম্ভ হলো তাকিয়া । তাকিয়া ছাড়া ইসলাম অচল, তাই সূফিবাদকে সহনশীল, দেখানোর এবং ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের বিস্তারে সুফিবাদের সহনশীল ধর্মাচারের মাহাত্য ফলাও করে প্রচার করে কট্টর থেকে মডারেট সকল ইসলামিস্ট । উপরোক্ত লেখাটিও তার ব্যতিক্রম নয়, যেখানে সুফী নিজামুদ্দিন আউলিয়াকে মহাত্মা দেখাতে লেখক কোনো কসুর ছাড়েনি । পাঠক, সত্য লুকোনো আজকের ইন্টারনেটের দুনিয়াতে বেশ শক্ত, তাই এই ইসলামিস্টরা তাদের তাকিয়া মোড়া প্রচারে বারেবারেই ধরা খায় । আসুন একটু সুফিবাদ ও ভারতীয় উপমহাদেশে আগত সুফী মহাত্মা নিজামুদ্দিন আউলিয়ার সত্য জানার চেষ্টা করি :   ‘আল্লাহ জিহাদকে মুসলিমদের জন্য অবশ্য পালনীয় কর্তব্য করেছেন, যার জন্য তারা যুদ্ধ করতে থাকবে যতদিন না সমগ্র পৃথিবীতে মানব জীবনের সর্বজনীন ও সর্বোৎকৃষ্ট দিক নির্দেশক ইসলাম একমাত্র ধর্মরূপে প্রতিষ্ঠিত হবে ।’ (কোরান ২:১৯৩ , ৮:৩৯) ।। সুফিবাদের পূর্বসূরী বা ভিত্তি এই জঙ্গী ইসলামী ধর্মান্ধতা বা গোঁড়ামির মধ্যে প্রোথিত ছিল । উমর উদ্দিনের মতে : ‘দার্শনিক ও যুক্তিবাদীদের বুদ্ধিমত্তাবাদ এবং শাসকশ্রেণীর ঈশ্বরহীন চালচলনের বিরুদ্ধ প্রতিক্রিয়া হিসেবে সুফীবাদের উদ্ভব হয় ।’ আব্বাসীয় শাসকরা তখন আরব বা ইসলামি সংস্কৃতিকে ঠেলে পেছনে ফেলে দেয় এবং ইসলাম তখন পারস্য সভ্যতার আগের ‘জাহলিয়া’ আচার আচরণ শুরু করে যা ছিল অনৈতিক ।   উমর উদ্দিন আরো বলছে: ‘ এর বিরোধিতা করার জন্যই সুফিবাদের উদ্ভব এবং কোরান ও নবী আর তার সাহাবাদের জীবন হলো সুফীবাদের আচরণবিধির ভিত্তি ।’ কিছু কিছু সূফী সম্পূর্ণরূপে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত হলেও অধিকাংশই গোঁড়া বা মূলপন্থী থেকে যায় । দ্বাদশ ‎শতকে গাজ্জালী মুসলিম সমাজে সূফীবাদের বিজয় ঘটাতে সক্ষম হন । তিনি মূলত ভ্রষ্ট ধারণা ও আচারসমূহকে ‎অপসারিত করে সূফীবাদের দেহে ইসলামী গোঁড়ামিকেই বুনে দিয়েছিলেন, যার ফলে সূফীবাদ মুসলিমদের মাঝে ‎গ্রহণযোগ্যতা পায় । সুতরাং ইমাম গাজ্জালীর কারণে সূফীবাদের গোঁড়া অংশটাই মুসলিম সমাজে স্বীকৃতি পেয়েছিল । ‎পথভ্রষ্ট বেশরীয়া সূফীদেরকে নানা নির্যাতন ভোগ, এমনকি মৃত্যুবরণও করতে হয়েছে !   ‎গাজ্জালীর খাঁটি বা কট্টর ‎সূফীবাদ মুসলিম সমাজে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল এবং মুসলিম হামলাকারীদের পথ ধরে ভারতে সূফীদের ‎আগমন ঘটে ব্যাপকভাবে । ভারতের বিখ্যাত সূফী দরবেশ – যেমন নিজামউদ্দিন আউলিয়া, আমীর ‎খসরু, নাসিরুদ্দিন চিরাগী, খাজা মঈনুদ্দিন চিশ্‌তী ও জালালুদ্দিন – এরা সবাই ‎গোড়া ও অসহিষ্ণু মতবাদী ছিলেন ! তারা গোঁড়া ইসলামী পণ্ডিত বা উলেমাদেরকে ‎উচ্চ মূল্য দিতেন এবং তাদের শিষ্যদেরকে ধর্মীয় আইন ও সামাজিক আচরণ ‎সম্পর্কে উলেমাদের রায় অনুসরণ করে চলার পরামর্শ দিতেন ।   এবারে আসি roar বাংলায় তুলে ধরা সুফী মহাত্মা নিজামউদ্দিন আউলিয়া সম্পর্কে । ইসলামী তাকিয়ার মোড়কে পরিবেশন করা এই সুফীর মাহাত্য এবারে সত্যের আলোকে দেখি: নিজামুদ্দিন আউলিয়া (১২৩৮-১৩২৫): নিজামুদ্দিন আউলিয়া গোঁড়া মুসলিমদের মতামত অবলম্বনে হিন্দুদেরকে ‎নরকের আগুনে পোড়ার জন্য অভিশপ্ত করেন। তিনি বলেন: ‘বিধর্মীরা মৃত্যুকালে শাস্তি পাবে। সে মুহূর্তে তারা ‎ইসলামকে সত্য বলে স্বীকার করবে, কিন্তু তাদের তখনকার সে বিশ্বাস গ্রহণযোগ্য হবে না; কারণ সেটি হবে না ‎অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস। সুতরাং একজন বিধর্মীর মৃত্যুকালীন বিশ্বাস অগ্রহণযোগ্য থেকে যাবে।’   তিনি দৃঢ়ভাবে ঘোষণা ‎করেন: ‘পুনরুত্থানের দিন বিধর্মীরা শাস্তি ও নিদারুণ যন্ত্রণার মুখোমুখি হয়ে ইসলাম গ্রহণ করবে, কিন্তু তা কোন কাজে ‎আসবে না। তারা নরকেই যাবে, যদিও বিশ্বাসী হিসেবে।’ তার ‘খুৎবা’য় নিজামুদ্দিন আউলিয়া বিধর্মীদেরকে ‎অপকর্মকারী পাপী হিসেবে নিন্দা করে বলেন: ‘আল্লাহ বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসীদের জন্য যথাক্রমে স্বর্গ ও নরক সৃষ্টি ‎করেছেন, পাপীদেরকে তাদের অপকর্মের প্রতিদান দিতে মাত্র।’‎ অমুসলিমদের বিরুদ্ধে জিহাদ সম্পর্কে নিজামুদ্দিন আউলিয়ার চিন্তাভাবনা কুরআনের প্রথম ‘সূরা ফাতিহা’ সম্পর্কে তার ‎বিবৃতি থেকে পাওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন: সূরা ফাতিহায় ইসলামের দশটি মৌলিক ভিত্তির মধ্যে দু’টি অন্তর্ভুক্ত ‎হয়নি। তা হলো: ‘অবিশ্বাসীদের সাথে যুদ্ধ করা এবং স্বর্গীয় বিধিবদ্ধ আইন প্রতিপালন করা।’ এবং সে মুতাবেক ‎হিন্দুদের বিরুদ্ধে এক যুদ্ধে নাসিরুদ্দিন কিবাচার বিজয়ে তিনি সাতিশয় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন এবং তার শিষ্য ‎শাহ্‌জালালকে ৩৬০ জন জিহাদী সাথীসহ প্রেরণ করেছিলেন সিলেটের রাজা গৌর গোবিন্দের বিরুদ্ধে লড়াই করতে।   দক্ষিণ ভারতে মালিক কাফুরের নেতৃত্বে পরিচালিত জিহাদের সম্ভাব্য সফলতা সম্পর্কে কাজী মুঘিসুদ্দিন যখন ‎আউলিয়ার কাছে জানতে চান, আউলিয়া তখন আবেগাপ্লুতভাবে বলে উঠেন: ‘এ বিজয় তো কি, আমি আরো বিজয়ের ‎অপেক্ষায় আছি।’ নিজামুদ্দিন আউলিয়া সুলতান আলাউদ্দিনের জিহাদ অভিযানে লুণ্ঠিত মালে গণিমত থেকে বিপুল ‎পরিমাণ উপহার গ্রহণ করতেন ও তার খানকায় বা আশ্রমে তা গর্বের সাথে প্রদর্শন করতেন। আজকের বাঙালি মুসলমানদের পূর্ব পুরুষরা কি এই সূফীবাদের প্রেমেই ইসলাম গ্রহণ করেছিল ? আরো পড়ুন… ৪৭ এর ধর্ষিত মায়েদের সন্তানরা কি সেকুলাঙ্গার ?-দূরর্ম বাঙালির গৌরব মহারাজা প্রতাপাদিত্য-দূরর্ম রাজা রামমোহন রায় : ভারতীয় রেনেসাঁর জনক-দূরর্ম রাশিয়ার পক্ষে কেন সম্ভব নয়, চীনের সঙ্গে সামরিক জোট গঠন করা – কৃত্তিবাস ওঝা ভারত-মিয়ানমার মিলিটারি টাইজ, বনাম চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব – কৃত্তিবাস ওঝা দক্ষিণ এশিয়ার পরিবর্তিত ভূরাজনীতি ও অযৌক্তিক ভারত বিদ্বেষ – কৃত্তিবাস ওঝা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি………..!!! প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিখোঁজ ভারতীয় যুদ্ধবিমান। পৃথিবীর বর্বর পশু কুরবানী, নারীর প্রতি অমানবিক শরীয়া আইন কি মানুষের ধর্মীয় অধিকারের পর্যায়ে পড়ে হে লিবারাল?

হেমেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জী
Bangla Blog, ইতিহাস, চিকিৎসা, ব্যক্তিত্ব

খাবার স্যালাইনের ফর্মুলা আবিষ্কারক হেমেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জী, কেন বর্ণ-বৈষম্যমূলক ভাবধারা শিখার ?

খাবার স্যালাইনের ফর্মুলা আবিষ্কারক হেমেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জী, কেন বর্ণ-বৈষম্যমূলক ভাবধারা শিখার? উনিশ শতকের গোড়ার দিকের কথা। গ্রামে কলেরা-মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে পরিচিতদের অনেকেই। প্রাণ বাঁচাতে লোকজন পালাচ্ছে গ্রাম ছেড়ে। ঘরে ঘরে আহাজারী, পড়ে আছে লাশ। সৎকারের অভাবে শবদেহগুলো অবহেলায় পড়ে আছে। শুনা যাচ্ছে তীব্র পিপাসার্ত কলেরা বোগীদের পানির জন্য আর্তনাদ। প্রিয়জনরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে যাতে তাদের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি পানি স্পর্শ না করতে পারে। প্রয়োজনে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘরে আটকিয়ে রাখা হয়েছে! এসব ছিল সে-সময়কার কলেরা নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্র!   এটি হচ্ছে জামালপুর জেলার ঝিনাই নদীর অববাহিকায় ঘোষেরপাড়া নামক প্রত্যন্ত গ্রামের তথ্যচিত্র। গ্রামটি এখনও বহির্বিশ্ব থেকে মোটামুটি বিচ্ছিন্ন। প্রযুক্তির যুগেও গ্রামটি বিদ্যুৎ ও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। এখনও সেখানে যেতে হয় পায়ে হেঁটে। গত ২০০ বছরে কলেরায় মিলিয়ন মিলিয়ন লোক প্রাণ হারিয়েছে। যদিও বর্তমানে খাবার স্যালাইন ও উন্নত পয়ঃনিষ্কানের কারণে কলেরায় মৃত্যর হার অনেকাংশে কমে গেছে, তথাপি WHO’র তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর সারা বিশ্বে এক লক্ষের বেশী লোক মারা যায়। আমাদের দেশে সম্ভবত এমন কেউ নেই যিনি কলেরায় আক্রান্ত হননি। কলেরা ব্যবস্থাপনায় খাবার স্যালাইন আবিষ্কারের ফলে পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ প্রাণ রক্ষা পাচ্ছে। তাই স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে এই প্রাণ রক্ষাকারী।   স্যালাইনের আবিষ্কারক কে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজিতে পড়ার সময় এই প্রশ্নটি মাঝে মাঝে মানসপটে নাড়া দিত। সবার মতো আমিও মনে করতাম  হাখালীর কলেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি থেকে খাবার স্যালাইন আবিষ্কার হয়েছে। জানতে ইচ্ছা করত আবিষ্কারের নেপথ্যে ব্যক্তিটি আসলে কে? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে পরবর্তীতে আইসিডিডিআরবি’র সহকর্মীদেরকে জিজ্ঞাসা করে কোন স্পষ্ট জবাব পাইনি। অবাক করা বিষয় হচ্ছে যার আবিষ্কার আমাদের সমাজের দৃশ্যপট বদলিয়ে দিল, কিন্তু কেউ তার পরিচয়ও বলতে পারছে না! আমরা কেমন জানি অকৃতজ্ঞ হয়ে গেলাম না? ২০০১ সালে আইসিডিডিআরবি’কে কলেরা গবেষণার সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বিল গেটস গণস্বাস্থ্য আওয়ার্ড দেয়া হয়। প্রচণ্ড উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে ঢাকা আইসিডিডিআরবি সেন্টারের মতো মতলব সেন্টারেও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। অনুষ্ঠান শেষে আওয়ার্ডটিকে নিয়ে হয় ফটোসেশন। তৎকালীন ডিরেক্টর ডেভিট স্যাক ডায়রিয়া গবেষণা নিয়ে বক্তব্য দিলেন। মতলব সেন্টারের (সেখানে খাবার স্যালাইনের মাঠ পর্যায়ে প্রথম ট্রায়াল হয়েছিল) অবদানের কথা শুনলাম। কিন্তু প্রকৃত আবিষ্কারকটি অগোচরেই রয়ে গেল। ব্যথাতুর হৃদয়ে ল্যাবে ফিরে এলাম। বর্তমান বিশ্বে তথ্য ও জ্ঞান আহরণের অত্যন্ত সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে উইকিপিডিয়া। তন্ন তন্ন করে অনেক খোঁজ করেও এ সম্পর্কে তথ্য উদ্ধার করতে পারিনি। প্রবাস জীবনে ল্যাবে কাজের ফাঁকে ফাঁকে এই বিষয়টি নিয়ে ইন্টার্নেটে গুগল সার্চ করতাম। একদিন হঠাৎ করে একটি লিঙ্ক পেলাম। সেটির সূত্র ধরে আগাতে আগাতে বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক জার্নাল Lancet-এ এ-সম্পর্কিত তথ্য পেলাম! ‘খাবার স্যালাইনের ফর্মুলা’র আবিষ্কারককে আবিষ্কার করলাম! Chatterjee HN (Lancet, 1953 Nov 2;2(6795):1063) Abstract: Control of the vomiting symptom of cholera was attempted by treatment with avomine followed by rehydration. In back-to-back cholera epidemic years in India, 59 cases and 127 cases in 1952 and 1953, respectively, were treated with avomine (25 mg; 14 mg of promethazine base and 11 mg of 8-chlorotheophyllin e); vomiting was often checked with use of only 1 tablet, although up to 6 tablets were administered in 1 case. Because vomiting was easily controlled by avomine, oral rehydration was possible, and the fluid replacement solution used was 4 gm of sodium chloride, 25 gm of glucose and 1000 ml of water. To check diarrhea, which avomine does not do, these cases were given the leaf juice of an Indian plant, Coleus (for info, Neem leaf). যুগে যুগে নাম জানা-অজানা অনেকেই কলেরা প্রতিরোধে কাজ করে গেছেন। তবে বর্তমানে খাবার স্যালাইনের ফর্মুলার আবিষ্কারককে যথাযথ স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। গ্লোকজ ট্রাসপোর্টের গবেষণার উপর ভিত্তি করে কলকাতার (ভারত) ডাক্তার হেমেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জী খাবার স্যালাইনের ফর্মুলা আবিষ্কার করেন যা জনস্বাস্থ গবেষণার বিখ্যাত জার্নাল Lance-এ ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি আরো কমপক্ষে কলেরা সম্পর্কিত পাঁচটি জার্নাল পেপার প্রকাশ করেন। তাঁর এই অনবদ্য আবিষ্কারকে অস্বীকার করার মূলে বর্ণ-বৈষম্যমূলক ভাবধারা জড়িত থাকতে পারে বলে  ভিযোগ করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে ঢাকার আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআরবি (ICDDRB)-তে পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা প্রায়  কই ফর্মুলা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ করেন।     মাঠ পর্যায়ে এর কার্যকারিতা গবেষণা করে আইসিডিডিআরবি খাবার স্যালাইনকে কলেরার  ন্যতম ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে। ১৯৫৩ সালের গবেষণা পত্রটি পড়ে সিদ্ধান্ত নিলাম যে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি অন্তত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজিস্ট এলামনাইদের জানানো উচিত। তাহলে শিক্ষকরা অন্তত ক্লাসে পড়ানোর সময় এ বিষয়টি আলোকপাত করতে পারেন। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের DUMAA (Dhaka University Microbiologists Alumni Association), GMA (Graduate Microbiologists Association), ইয়াহু গ্রুপ, BD researchers ইয়াহুগ্রুপ, NFB (News From Bangladesh) ও সদালাপ নামক বাংলা ই-জার্নালে ইমেল দিলাম (ইমেল আইডি মুছে দেয়া হয়েছে)।   From: sorowar To: [email protected]; GMA ; DUMAA ; Shodalap Editor; [email protected] Sent: Fri Jan 16 05:51:34 2009 Subject: Who discovered saline (ORS) for cholera/diarrhoea treatment?? Dear fellow conscience citizens of the global village, As a microbiologist and former employee of ICDDRB, my curious mind always used to ask “who discovered the ORS (oral rehydration saline) for diarrhoea management?” while working at ICDDRB I inquired senior fellows/scientists about this issue. But the answer was always disappointing. When ICDDRB was celebrating the Gates Award for life saving discovery of ORS, I thought, this time, I would learn the fact. But my curiosity was shattered. Finally, I have discovered the discoverer of ORS who first successfully treated dirarrheal patients and published his ground-breaking simple recipe in the Lancet in 1953. Shockingly, he was almost forgotten until the publication of the history of ORS in medical history (Medical History, 1994, 38: 363-397). It dedicates only a single paragraph and writes: “It is generally agreed that racism or the lack of a “scientific” rationale prevented the widespread adoption of his work” But 15 years later, most of the credit goes to Nalin and Cash who were the first to demonstrate oral therapy as a practical therapeutic alternative to parenteral therapy in April 1968 based on field trial, performed at ICDDRB, Matlab, Chandpur , Bangladesh . They have got all the accolades worldwide. Even Wikipedia did not spare a single line about Hemendra Nath Chatterjee (A bangalee from Calcutta, west Bengal) who first formulated and demonstrated the effectiveness ORS for diarrhea management. Same thing is true for Sir Jagadish Chandra Bose who was not credited for discovery of radio communication for long time. He might not be honored in the world for that discovery, but at least we know about this story and respect him. According to

Scroll to Top