1964 সালের ৩ রা জানুয়ারী যখন তৎকালী পুর্ব বংগের খুলনা শহর থেকে শুরু করে সারা পুর্ব বাংলায় সুপকল্পিত ভাবে হিন্দু দের নিধন করা হয়েছিলো।

1964 সালের ৩ রা জানুয়ারী যখন তৎকালী পুর্ব বংগের খুল্না শহর থেকে শুরু করে সারা পুর্ব বাংলায় সুপকল্পিত ভাবে হিন্দু দের নিধন করা হয়েছিলো, তার পর ৬ মাসের মধ্যে প্রায় দেড় কোটি হিন্দু পশ্চিম বাংলায় চলে আসে।

তার আগে এবং পরে, ১৯৪৭ সাল থেকে তাদের সেই আসা এখনো বন্ধ হয়নি। সেই সময়ে প্রধান মন্ত্রী জহরলাল মুখ খুলেছিলেন পুরো ২১ দিন পর। তার একমাত্র্র কারন ছিলো, এখানেও ইতি উতি শুরু হয়েছিলো দাংগা। না হলে সেই ১৯৬৪ সালেই পুর্ব বাংলা হিন্দু শুন্য হয়ে যেতো, কারন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের আদেশে যোগা যোগ মন্ত্রী খান আব্দুল সবুর খান এই ‘নিধন যজ্ঞ’ শুরু করেছিলো।

সেই সব হিন্দু উদ্বাস্তুর জায়গা হয়নি পশ্চিম বংগে। তারা আজ আছে, আন্দামানে, নৈনী তাল, রাজস্থান। ছত্তিশগড়, দক্ষিন ভারতে। আর আমার মতো কিছু বিশ্ব ভব ঘুরে।

কারো মুখে ,না , কোনো নেতার মুখে একবারের জন্য ও শুনিনি, এই হিন্দুদের পশ্চিম বংগে পুনর্বাসন পাওয়ার অধিকার আছে। আমার বয়ষ তখন ১৫ বছর।সব মনে আছে ।কিছু ভুলিনি।

আজ অবাক লাগছে, বার্মা থেকে বিতাড়িত (সে যে কারনেই হোক) কিছু সন্ত্রাসবাদী দের জন্য বেশ কিছু নেতা নেত্রী বলছেন “এটা তাদের অধিকার এবং ভারতের এটা নৈতিক দ্বায়িত্ব”। এই নেতা নেত্রীরা ভুলে যাচ্ছেন, তাই যদি হয় তাহলে আরো অনেকেরই অনেক অধিকার ছিলো যা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, আর নেহেরুর ও কিছু নৈটিক দ্বায়িত্ব ছিলো, যা তিনি কোনোদিন পালন করেন নি। কারন ??????????????????

সারা জীবন বুঝতেই পারলাম না , এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাতি হিসাবে  আমার কি অধিকার আছে এই দেশে???????????? শুধু কি আমার ক্লিনিকের খাবার জলে পচা মাছের নাড়িভুড়ি?????????????

মৃনাল কান্তি দেব নাথ