সৌদি ও ভারতের সম্পর্ক

সৌদি ও ভারতের সম্পর্ক আর কাছাকাছি, আউট পাকিস্তান ! সৌদি-ভারত সেনাপ্রধানের বৈঠক ১৬ ডিসেম্বরের ছবি কারণ কি?

সৌদি ও ভারতের সম্পর্ক আর কাছাকাছি, আউট পাকিস্তান ! সৌদি-ভারত সেনাপ্রধানের বৈঠক ১৬ ডিসেম্বরের ছবি কারণ কি? সৌদি আরবের সেনাপ্রধান চলতি সপ্তাহে ভারত সফরে এসেছেন।তাঁর তিন দিনের সফরকে ঐতিহাসিক হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে কারণ এটি ছিল সৌদি সেনাপ্রধানের প্রথম ভারত সফর।

মাত্র তিন বছর আগে, সৌদি আরবের ‘ক্রাউন প্রিন্স’ মুহাম্মদ বিন সালমান যখন প্রথম ভারত সফরে এসেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রোটোকল এড়িয়ে স্বয়ং বিমানবন্দরে গিয়ে তাকে উষ্ণ আলিঙ্গন করে স্বাগত জানান।

মোহাম্মদ বিন সালমানের এই সফর শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, এর মধ্য দিয়ে কৌশলগত ও কূটনৈতিক মহলে বহু বার্তা যাচ্ছে। মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও এবং তারপর কয়েক মাস পর অর্থাৎ ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সৌদি আরব সফর করেন।

এই সফরে ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি ‘কৌশলগত সহযোগিতা পরিষদ’ও প্রতিষ্ঠিত হয়।

যদিও সৌদি আরব ও ভারতের সম্পর্ক মূলত তেল কেন্দ্রিক। তবে গত কয়েক বছরে এসব সম্পর্ক এখন তেল ছাড়া অন্য কৌশলগত সহযোগিতায় নেমে এসেছে বলে মনে করছেন কৌশলগত বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা।

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
                                  সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সৌদি আরব সফরের সময় ইংরেজি সংবাদপত্র ‘আরব নিউজ’-এর সাথে কথা বলার সময় স্পষ্ট করেছেন যে ‘সৌদি আরব এবং ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে একই রকম উদ্বেগ রয়েছে’। প্রতিরক্ষা উদ্যোগ প্রতিষ্ঠার কথা বলতে গিয়ে তিনি দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতার ওপরও বেশি জোর দেন।

2020 সালের ডিসেম্বরে, ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে সৌদি আরবে পৌঁছেছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধানের এটাই প্রথম সৌদি আরব সফর ছিল।

এই সপ্তাহে মঙ্গলবার, সৌদি আরবের সেনাবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফাহদ বিন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আল-মুতাইরও ভারত সফর করেছেন। তিনিই সৌদি আরবের প্রথম সেনাপ্রধান যিনি ভারত সফর করেছেন।

সৌদি ও ভারতের সম্পর্ক: এ সফরের মানে কি?

লন্ডনের কিংস কলেজের কৌশলগত বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিভাগের প্রধান হর্ষ ভি পন্ত বলেছেন যে ভারতের সবচেয়ে সফল পররাষ্ট্রনীতি এখন পর্যন্ত উপসাগরীয় দেশ বা মধ্য এশিয়ার সাথে।

‘সৌদি গেজেট’ আরও বলছে, করোনা মহামারী সত্ত্বেও ভারত ও সৌদি আরবের সেনা কর্মকর্তারা একে অপরের দেশের প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

এটিও একটি কাকতালীয় যে এই বছর ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের 75 বছর পূর্ণ হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর উভয় দেশের সেনা বাহিনী যৌথ মহড়াও করবে। গত বছর উভয় দেশের নৌবাহিনী যৌথ মহড়াও করেছিল।

সৌদি ও ভারতের সম্পর্ক: তাহলে তেল দিয়ে শুরু হওয়া সম্পর্ক এখন এত বদলে যাওয়ার কারণ কী?

 

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
সৌদি ও ভারতের সম্পর্ক
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

সৌদি ও ভারতের সম্পর্ক| সম্পর্কের পরিবর্তনের কারণ কী?

হর্ষ পন্ত মতো কৌশলগত বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি তিনটি বিষয়ের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করছে- ইসরাইল, ইরান ও আমেরিকা।

এখন অনেক উপসাগরীয় দেশ ইসরাইল সম্পর্কে তাদের নীতি পরিবর্তন করেছে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেছে।

পান্ত বলেছেন, “পশ্চিমা দেশগুলি, এবং বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জামাল খাশোগির ইস্যুতে সৌদি আরব থেকে নিজেদের দূরে রাখতে শুরু করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে যে মেরুকরণ ঘটছে তার মাত্র দুটি কেন্দ্র রয়েছে – ইরান এবং সৌদি আরব। তাই এখন সৌদি আরব কৌশলগতভাবে নিজেকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে। ভারতই এর জন্য সেরা বিকল্প।

পান্ত বলেছেন যে গত তিন বছরে ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত অনেক কিছু ঘটেছে, যেমন গোয়েন্দা তথ্য এবং সাইবার নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবিরোধী তথ্য ভাগ করে নেওয়ার মতো।

কূটনৈতিক মহলে এটাও বলা হচ্ছে যে সম্পর্কের নতুন পরিবর্তনের কারণে ভারত যখন জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, তখন সৌদি আরব ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। এর বাইরেও এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যখন সৌদি আরব স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।

শুধু সৌদি আরব নয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্কের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এই কারণেই বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে অনেক প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করছে।

সৌদি ও ভারতের সম্পর্ক: পাকিস্তানের অবস্থা

হর্ষ পন্ত বলেছেন যে একটা সময় ছিল যখন বলা হত যে পাকিস্তান সৌদি আরবের সাথে এমনভাবে জড়িয়ে আছে যেন তারা কোমরে বাঁধা।

তিনি বলেন, “কিন্তু এখন পাকিস্তান যাই হোক না কেন, সৌদি আরব ভারতের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করতে শুরু করেছে। সে ভারতের কাছাকাছি আসছে। এর কৃতিত্ব যায় মোহাম্মদ বিন সালমান এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল কারণ ভারত সেখান থেকে ১৮ শতাংশ ‘অশোধিত তেল’ বা অপরিশোধিত তেল আমদানি করে আসছে। কিন্তু এখন এসব সম্পর্ক তেলের সম্পর্কের বাইরে চলে যাচ্ছে।

ভারতীয় তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, হেলিকপ্টার, সাঁজোয়া যান এবং কামান সৌদি আরবের সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফাহদ বিন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আল-মুতাইরকে দেখানো হয়েছে।

সৌদি সেনাবাহিনীর কমান্ডারের সাথে থাকা সেনা প্রতিনিধিদলকে বলা হয়েছিল যে এবার ভারত প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ‘স্টার্ট আপ’ এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য দেশের প্রতিরক্ষা বাজেটের 25 শতাংশ বরাদ্দ করেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরব কৌশলগতভাবে আরও শক্তিশালী হতে চায় এবং তাও আমেরিকা থেকে দূরত্ব তৈরি হওয়া সত্ত্বেও। এমতাবস্থায় ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে তার জন্য কোনো সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধকতা নেই।

প্রবীণ সাংবাদিক মনোজ যোশী, বিদেশ এবং কৌশলগত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, বলেছেন যে সম্পর্কের এই পরিবর্তনের সূচনা করেছে সৌদি আরব, যেটি একসময় কৌশলগত বিষয়ে ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পুরো ব্রিগেড সৌদি আরবে অবস্থান করত।

জোশি বলেছেন, “মোহাম্মদ বিন সালমান অনেক পরিবর্তন করতে শুরু করেছিলেন। পাকিস্তানের ব্রিগেডকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং সৌদি আরব তার সেনাবাহিনীকে আধুনিক করছে। এমনকি আমেরিকা সেখানে অবস্থানরত ‘প্যাট্রিয়ট মিসাইল’ সরিয়ে দিয়েছে।” এখন সৌদি আরব তার তেল-পরবর্তী অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার দিকে কাজ করছে। .

তিনি বিশ্বাস করেন যে সৌদি আরবও ভারতের সাথে একটি ভাল কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় কারণ সৌদি আরব কোনও ইসলামিক দেশকে বিশ্বাস করে না। জোশির মতে, সৌদি আরব এখন ইসলামিক দেশগুলোর ব্যাপারে খুবই সতর্ক কারণ এসব দেশে মুসলমানদের মধ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠীর তীব্র সংঘাত চলছে।

কৌশলগত বিশেষজ্ঞরা একমত যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক অত্যন্ত জটিল ছিল, অন্যদিকে ভারতের সাথে সম্পর্ক সবসময় উদার। তাই সৌদি আরব ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং আগামী দিনেও ভারতে আরও বিনিয়োগ করতে চায়। ভারত সরকার সৌদি তেল কোম্পানি আরামকোর সঙ্গে একটি চুক্তিও করেছে।

ভারতের উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অরবিন্দ গুপ্তা বলেছেন যে সৌদি আরবও দ্রুত তার ‘প্রোফাইল’ পরিবর্তন করছে এবং 2030 সালের মধ্যে অন্তত 14 থেকে 15টি এলাকা চিহ্নিত করেছে যেখানে এটি বৈচিত্র্যের স্থান করে তুলবে।

অরবিন্দ গুপ্তা বলেছেন, “মোহাম্মদ বিন সালমান এই দিকে দ্রুত কাজ করছেন এবং শুধু সৌদি আরব নয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কুয়েত, ওমান এবং বাহরাইনের মতো উপসাগরীয় দেশগুলিও ভারতের সাথে আরও ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলতে এগিয়ে চলেছে। ভারতও দিকে এগিয়ে চলেছে  একটি বড় কূটনৈতিক বিজয়।

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনা ও মুক্তিবাহিনীর সামনে আত্মসমর্পণ করছে পাকিস্তান। 

দিল্লিতে মুখোমুখি আলোচনায় বসেছেন সৌদি আরবের সেনাপ্রধান লে. জেনারেল ফাহাদ বিন আবদুল্লা মোহাম্মদ আল-মুতায়ের আর ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে। আর ঠিক তাদের দুজনের পেছনেই জ্বলজ্বল করছে পঞ্চাশ বছরের পুরনো একটি ছবি– যেখানে দেখা যাচ্ছে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় ভারতীয় সেনা ও মুক্তিবাহিনীর সামনে আত্মসমর্পণ করছে পাকিস্তান। 

কোনও সৌদি সেনাপ্রধানের এটাই প্রথম ভারত সফর, যাকে সামরিক বিশেষজ্ঞরা ‘ঐতিহাসিক’ বলে বর্ণনা করছেন। আর সেই সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ব্যাকগ্রাউন্ডে এই ছবিটা যে অত্যন্ত সচেতনভাবে ও একটা বার্তা দিতেই রাখা হয়েছে–তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই।  

দিল্লিতে সামরিক পর্যবেক্ষক ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক কর্নেল শৈলেন্দ্র সিং বলছেন, ‘বিষয়টা আসলে খুব সহজ। আর লক্ষ করে দেখুন, ছবিটি এমনভাবে রাখা হয়েছে যাতে ইউ কান্ট মিস ইট– কিছুতেই ওটা আপনার নজর এড়াবে না।’  

‘আসলে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সামরিক সম্পর্ক অনেক পুরনো ও গভীর। কিন্তু সেই জায়গায় সৌদি এখন সামরিক স্তরে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চাইছে, আর ভারত সেই বৈঠকটা করছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সবচেয়ে অগৌরব ও লজ্জার মুহূর্তটিকে তুলে ধরে’, ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। 

সৌদি ও ভারতের সম্পর্ক

সৌদি আরবের কোনও সেনাপ্রধানের এটাই প্রথম ভারত সফর
যে কারণে ১৬ ডিসেম্বরের ছবির সামনে সৌদি-ভারত সেনাপ্রধানের বৈঠক

সৌদি ও ভারতের সম্পর্ক

ফলে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সামরিক বন্ধুকে নিজেদের দিকে টানার সময় ভারত কেন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্মলগ্নের মুহূর্তটিকে তুলে ধরতে চেয়েছে–তা বোঝা কঠিন নয়। 

সৌদি আরব ও ভারতের সামরিক সখ্য বাড়ছে বেশ কয়েক বছর ধরেই–সম্প্রতি যা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভারতের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল নারাভানে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সৌদিতে গিয়েছিলেন, যা ছিল উপসাগরীয় দেশটিতে কোনও ভারতীয় সেনাপ্রধানের প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। এরই পাল্টা সফরে ঠিক সোয়া বছরের মাথায় এই সপ্তাহে তিন দিনের জন্য দিল্লিতে ঘুরে গেলেন সৌদি স্থলবাহিনীর প্রধান লে. জেনারেল আল-মুতায়ের।    

ভারতের সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও স্ট্র্যাটেজিক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল দীপঙ্কর ব্যানার্জি এই সফরকে অসম্ভব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। তিনি বলছিলেন, ‘পাকিস্তান কিন্তু এতদিন সৌদির অত্যন্ত আস্থাভাজন সামরিক মিত্র ছিল। পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তারা সৌদি বাহিনীকে শুধু প্রশিক্ষণই দিতেন না, সৌদি বাদশাহর পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীদেরও নিয়োগ করা হতো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর খুব বিশ্বস্ত সদস্যদের মধ্যে থেকে। ফলে দুপক্ষের মধ্যে কতটা ভরসার সম্পর্ক ছিল, বুঝতেই পারছেন।’ 

কিন্তু সম্প্রতি সেই আস্থার জায়গাটা অনেকটাই টলে গেছে।  

বছর দুয়েক আগে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া যখন সৌদিতে গিয়েও সে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) মোহাম্মদ বিন সালমান বা ‘এমবিএস’-এর দেখা পাননি, তখনই তা বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। আর এই ‘ফাটল’-কে কাজে লাগিয়েই এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্কের সদ্ব্যবহার করে সৌদির সঙ্গে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ হয়েছে ভারত। 

‘আসলে সৌদির সঙ্গে সম্পর্কের জায়গাটা পাকিস্তানের জন্য একটা ঘায়ের মতো হয়ে উঠছে, সেটা বুঝেই এই ঐতিহাসিক ছবিটা রেখে সেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে চেয়েছে ভারত’, বলছিলেন কর্নেল শৈলেন্দ্র সিং।  

আমাদের পাশে থাকতে একটি লাইক দিয়ে রাখুন।-ধন্যবাদ

আর পড়ুন….