লালচে জমিতে গজিয়েছে সবুজ ঘাস। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না বঙ্গে 'সবুজ বিপ্লব' -এর ভিত দাঁড়িয়ে আছে বিধানসভা ভাঙচুর করার রাজনৈতিক মানদন্ডে।

পশ্চিমবঙ্গের সবজান্তা আঁতেল সমাজকে বুঝতে হবে কেন একটার পর একটা রাজ্য গেরুয়া হয়ে যাচ্ছে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে। শুধুই কি হিন্দুত্বের ধ্বজা! মোটেই না। সামগ্রীক মানসিকতার পরিবর্তন ও মানুষের মাঝে প্রকৃত উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা  এর মূল কারণ। যা বর্তমান মোদির  বিজেপি সরকার মানুষের আস্হা পূরণ করতে অনেক টাই সফল ।১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে দীর্ঘ ৪০ বছরে এমন একবারও হয়নি যখন কেন্দ্রে এবং রাজ্যে একটাই দলের সরকার চলছে পশ্চিমবঙ্গে। প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে এই পলিটিক্যাল ব্যাকলগে উন্নয়নের সম্ভাবনা নালা দিয়ে বয়ে গেছে। আর এর জন্য দায়ী অনমনীয় বস্তাপচা ‘পলিটিক্যাল লাইন থিওরি’। যা স্বয়ং জ্যোতি বসুকেও ‘ঐতিহাসিক ভুল’ স্বীকার করে নিতে বাধ্য করেছিল। তারপর থেকে বাংলার রাজনীতির মান ক্রমশ নেমেছে। লালচে জমিতে গজিয়েছে সবুজ ঘাস। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না বঙ্গে ‘সবুজ বিপ্লব’ -এর ভিত দাঁড়িয়ে আছে বিধানসভা ভাঙচুর করার রাজনৈতিক মানদন্ডে। ল্যাদখোর মধ্যবিত্ত বাঙালির কাছে ঘরে বসে চাল, ডাল, মেলা, খেলা, সাইকেল, অনুদান ইত্যাদির সহজলভ্যতা পরোক্ষে পুরো উল্টো দিকে নিয়ে যাচ্ছে রাজ্যকে। শিল্প আসছে না ! শিক্ষিত বেকার দের চাকরি নেই। চাকরির জন্য রাস্তায় নামতে হচ্ছে বেকারদের। অনশন করে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে। সরকারি কর্মচারীদের ডিএ -এর জন্য কার্যত তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ কেমন রাজনীতি ! অথচ আঁতেল সমাজ এখন শীত ঘুমে। দেশের সব রাজ্য ‘মূর্খ’ আর আমরাই শুধু মহা চালাক! আসলে বাস্তবতা থেকে এতো আলোকবর্ষ দূরে চলে এসেছি আমরা যে অবশিষ্ট ভারতের এগিয়ে যাওয়াটাকে উপলব্ধি করতে পারছি না। কুয়োর ব্যাঙ মহা সাগরের হিসেব লাগাতে পারে না। শুধু ‘মুখেই মারিতং জগত’।