পবিত্র কোরান দ্বারা অনুপ্রাণিত মায়ানমারের বৌদ্ধ?

পবিত্র কোরান দ্বারা অনুপ্রাণিত মায়ানমারের বৌদ্ধ?

বাংলাদেশ থেকে ইসলাম বিশেষজ্ঞ ও মুসলিম হিতাকাঙ্খী Rezaul Manik জানাচ্ছেন যে মায়ানমার এর বৌদ্ধরা স্বেচ্ছায় অথবা দায়ে পড়ে পবিত্র কোরআন পাঠ করেছে গভীর নিষ্ঠা নিয়ে। এই মহান গ্রন্থটি পড়ে তারা বিশেষ ভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছে। ওদের মনে হয়েছে যে বুদ্ধের শিক্ষা দিয়ে তারা দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে পারবে না। একমাত্র কোরআনের শিক্ষাই তাদের দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে পারবে। তাই কোরআনের শিক্ষা দ্বারা তারা নিজেদেরকে “বৌদ্ধ মোমিন” বানিয়েছে। এবং তাদের জাতি ও ধর্মের শত্রু রোহিঙ্গাদের-কে “কাফির” বলে ধরে নিয়ে ওই কাফিরদের উপর পবিত্র কোরআনের শিক্ষাগুলি প্রয়োগ করছে। আবিকলভাবে নিষ্ঠা সহকারে প্রয়োগ করছে।
মোমিন এর জায়গায় বৌদ্ধ ও কাফির এর জায়গায় রোহিঙ্গা বসান। তাহলেই সেখানকার বৌদ্ধদের জন্য কোরআনের শিক্ষাগুলো হয়ে যাবে নিম্নরূপ।
সেই শিক্ষাই তারা মায়ানমারে প্রয়োগ করছে।………………………………….. 

– অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে রোহিঙ্গাদের হত্যা কর যেখানে পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাটিতে তাদের সন্ধনে ওৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, দেশ ছেড়ে চলে যেতে চায়, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয়ই শান্তির পায়রা আন সান সু কি পরম ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু।

– তোমাদের উপর রোহিঙ্গা নিধান ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে কোন একটা বিষয় পছন্দের নয় অথচঃ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। বস্তুত সু কিই ভাল জানেন, তোমরা জান না।

– তোমরা যুদ্ধ কর রোহিঙ্গাদের সাথে যাহারা বৌদ্ধ ধর্মে ঈমান রাখে না এবং গ্রহন করেনা একমাত্র সত্য ধর্ম বৌদ্ধ ধর্মমত, যতক্ষণ-না করজোড়ে তারা জিযিয়া কর প্রদান করতে বাধ্য থাকে।

– হে বৌদ্ধগণ! তোমরা রোহিঙ্গাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। সু কি জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।

– সু কি তোমাদেরকে বিপুল পরিমান যুদ্ধলব্ধ সম্পদের (war booty/গনিমতের মাল/নারীসহ অন্যান্য) ওয়াদা করেছেন, যা তোমরা লাভ করবে যুদ্ধে পরাজিত রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে।

– তোমরা রোহিঙ্গাদের সাথে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ-না তারা বৌদ্ধ হয়ে যায়।

– তোমরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যুদ্ধ কর যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায় এবং সু কির সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।

– …আমি রোহিঙ্গাদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব, কাজেই তাদের গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাটো জোড়ায় জোড়ায়।

– সুতরাং তোমরা তাদেরকে (রোহিঙ্গাদের) হত্যা কর নি, বরং বুদ্ধই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি মাটির মুষ্টি নিক্ষেপ কর নি, যখন তা নিক্ষেপ করেছিলে, বরং তা নিক্ষেপ করেছিলেন বুদ্ধ স্বয়ং যেন বৌদ্ধদের প্রতি এহসান করতে পারেন যথার্থভাবে।

– হে বৌদ্ধ, রোহিঙ্গাদের সাথে যুদ্ধ কর এবং রোহিঙ্গাদের সাহায্যকারীদের সাথে; তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন কর। তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং সেটা হল নিকৃষ্ট ঠিকানা।

– হে মিয়ানমারবাসীগণ, তোমাদের নিকটবর্তি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক। আর জেনে রাখ, প্রভু বুদ্ধ তোমাদের সাথে রয়েছেন।

– মিয়ানমারের জনগণের মধ্যে যারা রোহিঙ্গা, তারা নরকের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম।