★★ কৃষ্ণ শব্দের অর্থ কি?
★★ কৃষ্ণ শব্দের তিনটি মানে আছে। ‘কৃষ’ ধাতু থেকে ‘কৃষ্ণ’ শব্দটি এসেছে। ‘কৃষ’ ধাতুর একটা মানে হচ্ছে আকর্ষণ করা, সবাইকে টেনে নেওয়া।
কৃষ+ন প্রত্যয় ক’রে ‘কৃষ্ণ’ শব্দ নিষ্পন্ন হয়।
অর্থাৎ যে সত্তা মহাবিশ্বের সব কিছুকে নিজের দিকে আকর্ষণ করছে, টানছে। বলছে আমিই তোর আশ্রয়, আমিএ তোকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করব, তুই আমার কাছে চলে আয়। যিনি এই কথা বলছেন, সবাইকে নিজের দিকে টানছেন তিনিই কৃষ্ণ।
কৃষ্ণ মানে কাল রং। কাল রং মানুষের মনকে সব থেকে বেশি আকর্ষণ করে। যত রং আছে, তার মধ্যে কাল-র দিকে আগে চোখ পড়ে। এইজন্য কাল রং কে কৃষ্ণ বর্ন বলা হয়।
‘কৃষ্ণ’ শব্দের তৃতীয় অর্থ হচ্ছে ‘কৃষি ভূঃ’ বা ‘কৃষিভূঃ’। কৃষ ধাতুর মানে হলো ‘আমি আছি’ এই বোধ। ‘ম্যায় হু’ ‘অহং অস্মি’ ‘I exist’। প্রতিটি মানুষের মধ্যে ‘আমি আছি’ – এই বোধ রয়েছে। সেই ‘আমি আছি’ বোধে ধাক্কা লাগলেই মানুষ বিরক্ত হয়, চিন্তিত হয়, ক্রুদ্ধ হয়, ভীত সন্ত্রস্ত হয়। আর ‘ভূ’ ধাতুর মানে হলো, হওয়া, থাকা।
অর্থাৎ ‘কৃষ্ণ’ শব্দের মানে হলো, যিনি আছেন বলে আমি আছি। অর্থাৎ কৃষ্ণ আছেন বলেই জগত আছে, জীব আছে। কৃষ্ণ এর যদি অস্তিত্ব না থাকত, তাহলে জীবের, জগতের কোন অস্তিত্ব ও থাকত না।।