পিতা পুত্র দেহটাও দান করে গেছেন অকৃতজ্ঞ জাতিকে!

শুরু করি অজয় রায়ের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে।
প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক বাংলা ভাগ করে পাকিস্তানে যোগ দিয়েছিলেন ভাষা সাহিত্যে মুসলমানিত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে। তার শিষ্য আহমদ ছফা বাঙালি মুসলমানের বাঙালি হিন্দুর থেকে পৃথক এক আত্ম পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হলেই রেগেমেগে গালি দিয়ে বলে উঠত, বা*ল ফেলতে বাংলাদেশ স্বাধীন করছি?
তার মানে কি অজয় রায় বাঙালি মুসলমানের সাতন্ত্র জাতি পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন?
একদল দ্বিজাতিতত্ত্বের মানষপুত্ররা চিট করে অজয় রায়দের স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছিলো। মৌলবাদীদের চেয়ে আগে তাই পৃথক হয়ে গিয়েছিল ছফা রাজ্জাকদের স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ ভাবনার সঙ্গে অজয় রায়দের। নিশ্চিত করেই অজয় রায়দের বাংলাদেশ আহমদ ছফাদের বাংলাদেশ থেকে ভিন্ন ছিলো।
অজয় রায় সেকুলার নিঃসঙ্গ সেই শ্রেণিটির প্রতিনিধি যারা মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ দেখে হতাশ হয়েছিলেন। সর্বক্ষেত্রে দ্বিজাতিতত্ত্বকে সামনে রেখে এগিয়ে চলা বাংলাদেশ যোগেন মন্ডল হলে হাটে হাড়ি ভেঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বরুপ ফাঁস করে দিতেন। বেফাঁস সময়ে নির্মলেন্দু গুণও মুক্তিযুদ্ধে প্রতারিত হবার হতাশা প্রকাশ করেছিলেন নাসিরনগর হামলার পর।

অজয় রায় দেশ নিয়ে হতাশ হলেও দায় চাপাননি দেশমাতৃকার প্রতি। তাই আজীবন লড়ে গেছেন এক নিঃসঙ্গ লড়াই দেশের পক্ষেই। যে লড়াইয়ে যোগ দিয়েছিলেন পুত্র অভিজিতও…।

পিতা পুত্র দেহটাও দান করে গেছেন  অকৃতজ্ঞ জাতিকে!