অগ্নিগর্ভ রাণীগঞ্জ….
লিখলাম বটে অগ্নিগর্ভ রাণীগঞ্জ কিন্তু লেখা উচিৎ ছিলো অগ্নিগর্ভ পশ্চিমবঙ্গ। এ কোন রাজ্যে বাস করছি আমরা.?? যেখানে রামনবমী পালন করতে গেলে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া হয়…অস্ত্র নিয়ে বেড়ানো যাবেনা..। ভিডিওতে দেখলাম রামের গান চালানো যাবেনা তা নিয়ে এক টাকমাথা ওসির তর্জনগর্জন শুনে মনে হচ্ছিলো রাজ্যটা ওর বাপ – চোদ্দপুরুষের। আর এক ভিডিওতে দেখলাম ওঁ লেখা ধ্বজ লাগানো যাবেনা… যেন ওনার পৈত্রিক সম্পত্তিতে কেউ খুঁটি পুঁততে গেছে। এক জায়গায় তো দেখলাম থানা থেকে এসে প্যাণ্ডেল খুলিয়ে দিলো..। রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই পুলিশের নজরদারী দেখে মনে হলো পাকিস্তানে রামনবমী পালন করতে চলেছি আমরা। এরপর আবার মাননীয়ার টনক নড়েছে রামনবমী করতে হবে..। তা ভালোই হলো…এরপরে আমাদের আগে উনিই রামমন্দির তৈরির আন্দোলনও করবেন। কিছু জায়গায় নীলসাদা কাপড়ের ওঁ আর জয় শ্রী রামও দেখলাম।
সবই ঠিক ছিলো.. দু এক জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া… কিন্তু রাণীগঞ্জ এলাকায় যা হলো.. তা রীতিমত ভয়ংকর..। প্রশাসনের চাপে নিরস্ত্র রামনবমীর শোভাযাত্রার উপর ভয়ংকর আক্রমণ নেমে এলো..। হিন্দু রামভক্ত পেটাতে সিদ্ধহস্ত পুলিশ ব্যাটন নিয়েই বেড়িয়েছিলো তাই বোম আর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া, মমতাময়ী মুখ্যমন্ত্রীর তোষামোদে ফুলেফেঁপে ওঠা মুসলিমদের আটকানো যায় নি..। তারই ফলে বেশকিছু বাড়ি ঘর জ্বলে যায়.. আর বোমের আঘাতে বেশ কজন লুটিয়ে পড়েন। তার মধ্যে রাণীগঞ্জ এলাকার পুলিশ আধিকারিক ডিএসপি অরিন্দম দত্ত চৌধুরীর ডানহাত টা প্রায় ঝুলছে… দেখলেই গা শিউড়ে ওঠে। এছাড়াও খবর কাগজ মারফৎ জানা যাচ্ছে দু জন হিন্দু রামনবমী মিছিলের যুবক মারাও গেছেন।
কি অদ্ভুত পরিস্থিতি..?
রামনবমীর শোভাযাত্রা বেড়াবে তা নিয়েও আগামী দিনে আশংকা থাকবে..। সু প্রাচীন কাল থেকেই রামনবমী মিছিলে অস্ত্র নিয়ে বেড়ানো আমাদের রীতি যার জন্যই কথাটা এসেছে রাম নবমীর আখড়া.. এই রাজ্যে কেন ভারতের সব রাজ্যেই আখড়াতে অস্ত্র থাকে। অদ্ভুত এই মোল্লা তোষণ.. যে ধর্মের সব দেবদেবী হাতে অস্ত্র নিয়ে থাকে সেখানে ধর্মের উপাসকরা অস্ত্র হাতে মিছিল করলেই তা আইন বিরুদ্ধ..???
আজ যদি ওই মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের হাতে অস্ত্র থাকতো কারুর বাপের ক্ষমতা ছিলো আক্রমণ করার..??
পাল্টা বলে একটা কথা আছে…।
পুলিশ নামক যে ক্লীব দলদাস একটা ফোর্স আছে এই রাজ্যে তাদের যত হম্বিতম্বি সবই হিন্দুদের উপর..। যেখানে যখন মনে করছে তখনই হিন্দুদের লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে.. উদ্দেশ্য একটাই… মোল্লা তোষণকারী তৃনমূল সরকারের জুতোর সোল চেটে পদোন্নতি..। আরে ভালো করে ভাবুন, পারলে যাদের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গেছে তাদের গ্রেপ্তার করার প্ল্যান সরিয়ে দেখুন… মাথায় চোট লাগা অফিসারকে ওই গেরুয়া ঝাণ্ডাওলারাই বাঁচাচ্ছে.. আরে পাগলও নিজেদের ভালো বোঝে… কবে যে বুঝবেন… আমাদের মেরে শুইয়ে দিলেও আমরা আহত পুলিশকে বাঁচাবো কারন গেরুয়া ঝাণ্ডাওলারা হাতাহাতি করতে পারে আপনাদের সাথে, কিন্তু বিপন্ন আপনাদের মাটিতে ফেলে পালাবে না..। মাঝখানে ওই আমাদের ধর্মই আসে.. আসলে আমরা সনাতনী, আমরা কাফের ভাবিনা কাউকে.. এটাই মুশকিল..। যে অফিসারের ডান হাতটা উড়েই গেল তার দোষ কোথায় জানেন..??? উনি ভুলে গেছেন এক ওসির কথা… জানি আপনারাও ভুলে গেছেন কালিয়াগঞ্জ থানার ওসি মহিম অধিকারীর কথা..। বাপের বেটা ছিলেন উনি.. এক ইসলামী জলসা সারারাত চলছে বিনা অনুমতিতে দেখে মাইক বন্ধ করার অনুরোধ করা পুলিশদের উপর প্রাণঘাতী আক্রমণ শানাতে আসা উগ্র মৌলবাদী মোল্লাদের হাত থেকে নিজের ফোর্সকে বাঁচাতে গুলি চালান….। তার জন্য তাকে এই সরকার ক্লোজ করেছিলো..। কিন্তু তিনি ছিলেন বলেই আজ বহু পুলিশকর্মী বেঁচে আছে। Yes, this is the way…..
অদ্ভুত এক পরিস্থিতি… হিন্দুদের অস্ত্র নিয়ে মিছিল নিষিদ্ধ, পুলিশের হাতে ব্যাটন, বন্দুক কম… আর মিছিল ঢুকছে মোল্লাপাড়ায় যেখানে তারা আগে থেকেই প্রস্তুত.. অথচ আই বি র কাছে খবর নেই…। রামভক্তদের পেটাতে সিদ্ধহস্ত পুলিশকে বাঁচাচ্ছে রামভক্তরাই…।
আচ্ছা এতো গেল.. কালকের ঘটনা.. এবার ভাবুন তো এই রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের এনে বসাচ্ছে কারা..?? আমার আপনার চেনাজানা মুসলিমরাই… এইরকম কোনো এক জায়গায় যেখানে জেহাদি রোহিঙ্গারা সংখ্যায় বেশী থাকবে তাদের চাপাতি চালানো অভ্যস্ত হাতের সামনে নিরস্ত্র হিন্দুরা কি করবে..?? আর লাঠি হাতে থাকা পুলিশ কি করবে..??
পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে এগোচ্ছে… একদিকে মুসলিম তোষণের ফলে এক শ্রেণীর অপরাধ প্রবণ জেহাদি মানসিকতা যুক্ত মুসলিমরা আক্রমণের দিকে এগোচ্ছে আর একদিকে লুকানো জামাত-রোহিঙ্গা-কাঠমোল্লারা মিলে ইসলামিক রাজ্য বানানোর লক্ষ্যে এগোচ্ছে…।
তাই অগ্নিগর্ভ শুধু রাণীগঞ্জ নয়…. অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে এই রাজ্যও।
পুলিশে কাজ করা সব বন্ধু দাদা ভাইদের কাছে অনুরোধ.. ভালো করে আমার লেখা পড়ুন… বুঝে যাবেন… কি করা উচিৎ… মুখে কিছু না বলে… ভিতরে রাখুন..। মহিম অধিকারী আমার মতো বহু রুদ্রের বুকের ভিতর জায়গা করে নিয়েছে…. তার সাহস এবং তাৎক্ষণিক সঠিক সিদ্ধান্তগ্রহণ এর জন্য।
আর আপামর হিন্দু ভাইবোনেদের কাছে অনুরোধ.. রাজ্য যখন বাঁচাতে অক্ষম হয় তখন নিজের বাঁচার রাস্তা নিজেকেই বার করতে হয়…। আমি “বুলেট” নয় “ব্যালট” দিয়ে বাঁচার কথা বললাম………(#)
আর রামভক্ত ভাইদের কাছে অনুরোধ… অস্ত্রমিছিল নিষিদ্ধ কিন্তু আস্তিনে বাঘনখ রাখতে না শেখা তোমাদের ভুল… শিবাজী মহারাজকে স্মরণ করো..।
আর বিজেপির নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ… স্তব্ধ করে দিন রাজ্য…. এই সরকারকে উৎখাত করতেই হবে..। তাতে যদি আমাদের জেলে যেতে হয়.. যাবো..। আসুন রাস্তায় নামি…
এই ভাবে নিরীহ রামনবমী শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী রামভক্তের উপর আক্রমণ মানা যায় না….। কোনো ভাষণবাজী আর নয়…. রাস্তায় নেমেই হোক লড়াই…।
হিন্দু তৃনমূল করা ভাইদের কাছে অনুরোধ… পার্টি করুন কিন্তু মাথায় রাখুন আমার সাথে আপনার যতই লড়াই হোক আপনার মা-বোন-স্ত্রী কিন্তু সেফ যেমন আপনার হাতে আমারও মা-বোন-স্ত্রী..। কিন্তু জেহাদি দের হাতে সেফ নয় তারা গণিমতের মাল বলে তুলে নিয়েই যাবে…। তাই আমাদের মারার আগে ভাববেন.. আজ রাণীগঞ্জ টেস্ট ছিলো কাল ফাইনালে যদি আমার আপনার এলাকায় হয়..???
সেদিন রামভক্তরাই লড়বে না আপনাকেও নামতে হবে।
আর আমার আপনজন মাথায় রাখবেন আজ মমতা ব্যানার্জ্জী রামনবমী পালন করতে বলেছেন কাল গেরুয়া ফেট্টিও পড়তে বলতে পারেন… তাই গেরুয়ায় আগেই আসুন… আর সবাইকে বোঝান রাস্তা একটাই……
রুদ্র প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়।