কেন পলাশ আর পলাশের বাবা ভারতে পালিয়ে আসে ।

A true story !
বাংলাদেশের একটি সত্য ঘটনা যা আমাদের গ্রামে ঘটেছে , আমাদের গ্রামের নাম ছিল মুক্তারপুর থানা চারঘাট, রাজশাহী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল ক্লাশ ফোরের ছাত্র পলাশ , রাস্তার ধারে মাচায় বসে আড্ডা দেওয়া কয়েক জন দাদা তাকে ডাকে – এই পলশা এদিকে আয়।
পলাশ- না যাব না দেরী হলে মা বকবে!


একজন দাদা তাকে দৌড়ে গিয়ে ধরে এনে মাচায় বসাই আর বলে একবার আব্বা বল ছেড়ে দেবো , অন্যরা হাসাহাসি করে । পলাশ কান্না শুরু করে তবু ছাড়ে না। পথচারী একজন ছেড়ে দে বাচ্চা ছেলে বলে চলে যায় । সন্ধ্যা গড়িয়ে আসছে , গামছা দিয়ে পলাশকে মাচার সাথে দুই হাত বেঁধে রেখেছে । অন্যরা বলছে আজ তোকে পলাশকে দিয়ে আব্বা বলাতে পারলে ভরপেট মিষ্টি খাওয়ানো হবে। অবশেষে পলাশ আব্বা বলে ডেকে রেহাই পাই।

ইতি মধ্যে পলাশের মা কয়েক জন প্রতিবেশী ও স্বামী সহ পলাশের খোঁজ খবর নিতে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে। রাস্তায় কান্নারত পলাশকে আসতে দেখে বুকে আগলে সবাই বাড়ি ফিরে এবং বিষয়টি সবাই জানতে পারে – আতাহারের মেজো ছেলে মফি তার সাথে কি ব্যবহার করেছে।
গ্রামে বার তের ঘর হিন্দু । পলাশের বাবা ঘটনাটা আতাহার সাহেবের কানে তোলে ।  আতাহার গ্রামের একজন ভদ্র লোক বলেই সবাই জানে, হিন্দু- মুসলিম সবাই তাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করে ।
এবিষয়ে আতাহার আলী তার ছেলেকে দুচড় মেরে বলে তোদের জন্য আমার এ গ্রামে আর মান সম্মান থাকবে না।
পরের দিন মফি এর প্রতিশোধ নিতে তিন বন্ধুর সাথে চৈত্র মাসের খাড়া দুপুরবেলা পলাশের বাড়ি যায় । বাড়িতে কেউ ছিল না , পলাশ স্কুলে, বাবা কাজ থেকে আসতে সন্ধ্যা।
মফি ও তার তিন বন্ধু জোর করে ঝাঁপ ভেঙ্গে বাড়িতে ঢোকে। আর মফি  পলাশের মাকে বলে- তোর ছেলে আমাকে আব্বা বলেছে তাহলে তুই আমার বৌ হোস কি না ! চল ঘরে । এই বলে চার জনে পলাশের মায়ের সাথে পাশবিক নির্যাতনের পর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
শেষে নিরুপায় হয়ে পলাশ আর পলাশের বাবা ভারতে পালিয়ে আসে । আর আমরাও।