"হিন্দুরা দুই সিমেটিক ধর্মের ভাগাভাগির শিকার"

“হিন্দুরা দুই সিমেটিক ধর্মের ভাগাভাগির শিকার”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ

ঠিক কোন সাল সেটা মনে পড়ছে না, তবে খুব সম্ভবত ১৯৮৩ সাল।

পোপ জন পল-২ ভারত সফরে এসেছিলেন। ভারত সরকারের আতিথেয়তা নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে ছিলেন। সেই আতিথেয়তার উপযুক্ত মর্য্যাদা দিয়ে তিনি একটি খুব ভালো কথা বলেছিলেন।

প্রকাশ্য সভায় তার বক্তব্য ” একবিংশ শতাব্দী হবে ভারতবর্ষের ‘পাগান’দের সভ্য করার শতাব্দী”। — “The pagans of India will be made civilised in 21st Century”.

ইসলাম মুর্তি পুজাকারীদের (হিন্দুদের) ঘৃনা করে। ওই ধর্মে মুর্তি পুজা “হারাম=পাপ)। হিন্দুরা তাই ‘কাফের’ ‘মালাউন’ ইত্যাদি। এই গালগাল জীবনের প্রথম ১৫ বছর পুর্ব পাকিস্তানে বাস করা কালীন শুনে এসেছে। মনে কষ্ট হতো।

বিদেশ গিয়েছি যখন তখন বয়ষ ৩০। চাকরি ছেড়েছি ৫৮ বছর বয়ষে, পাকাপাকি ভাবে ফিরে এসেছি তখন বয়ষ ৬৩। এই দীর্ঘ সময় শুনে এসেছি হিন্দুরা “পাগান”। খ্রীষ্টান রা এই শব্দটা ব্যবহার করে এক ঘৃনা মিশ্রিত ভাবে। ‘পাগান’ মানেই অসভ্য , অসাংষ্কৃতিক,বন্য।

এই আখ্যা দিয়ে (কাফের,মালাউন, পাগান) এবং এক সুক্ষ্ম পরিকল্পনা মাফিক ‘ইসলাম এবং খ্রীষ্টান’ সারা আফ্রিকা দেশ টিকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছে। ওখানে আর অন্য ধর্মের (আফ্রিকার মানুষদের আদি ধর্ম) মানুষ নেই।

এই দুই সিমেটিক ধর্ম, যাদের এক কথায় বলা যায় ‘এব্রাহামিক’ পরিবার, তারা জানে ভারতে বাস করা কিছু হিন্দুরা ( বোধ হয় ৭০০ মিলিয়ন হবে), অসংঘটিত, তাদের বেশী ভাগ নিজেদের ধর্ম জানেনা ,মানেনা। তাই  এদের  নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতে হবে এবং সেটা খুব সহজ কাজ। সেই উদ্দেশ্যে দুই ধর্মের মধ্যে অলিখিত বোঝাপড়াও হয়ে রয়েছে।

ইহুদীরা নিজেদের অস্তিত্ব বাচাতে ব্যস্ত। অন্যদের এরা নেয়ও না। বাকী দুটি  সিমেটিক  ধর্মের একমাত্র কাজ নিজেদের দলে সংখ্যা বাড়ানো । সেই হিসাবে ভারতে বাস করা হিন্দুরাই এখন এদের (দুই মুখ্য সিমেটিক ধর্মের) প্রধান শিকার।।

Scroll to Top