গোমূত্র খোর জাতির কান্ড শোনেন…..

বাংলাদেশী মুসলমানেরা এটা পড়। আমাদের দেশে এটাই হয়।

একজন বাংলাদেশির লেখা ভারতের চেন্নাই সম্পর্কে । প্লিজ শেষ অবধি পড়ুন।

ফখরুল ইসলাম লিখেছেন –

গোমূত্র খোর জাতির কান্ড শোনেন…..

যারা গোমুত্র পান করে তাদের কাছ থেকে আর কি ই বা আশা করতে পারেন। যে জাতি মুসলমান না সেই জাতি আবার মানুষ নাকি!

যাইহোক, বলছি ভারতের চেন্নাই এর কথা। যেখানে উন্নত ভদ্র দেশের লোকজন চিকিৎসা নিতে যায়। কিন্তু চেন্নাইবাসীরা মুসলমান নয়। তারা কোরাণ হাদিস পড়ে না। তারা নামাজ পড়ে না। আবার রাস্তায় গরু কোরবানিও দেয় না।

সেই চেন্নাইয়ে এক বাংলাদেশী মহিলা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন। এখন লাশ তো নিয়ে আসতে হবে। বিমানে লাশ বুকিং দেয়া হলো। বিমান বন্দর পর্যন্ত এম্বুলেন্সে লাশ নিতে হবে। মহিলার ভাতিজা লাশের গাড়ীতে বসল। লাশ মহাসড়ক ধরে এগিয়ে চলছে। আমাদের মত উন্নয়নের মহাসড়ক নয়, ওদের চওড়া মহাসড়ক যেখানে জ্যামের কথা কেউ চিন্তাই করতে পারে না।

সেই মহাসড়কে এক ভিআইপি যাচ্ছিলেন। যেন তেন ভিআইপি না, ভিআইপির গাড়ীর সামনে দুই গাড়ী পুলিশ পেছনে দুই গাড়ী পুলিশ। আবার পুলিশের গাড়ীর সামনে কিছু পুলিশের মোটর সাইকেলও রয়েছে। তারমানে, সেই রকমের ভিআইপি।

ভিআইপির গাড়ী স্পিডেই চলছিল। তার পিছন পিছন বাংলাদেশী লাশের গাড়ী যাচ্ছিল। সামনের গাড়ী বহর দেখে এম্বুলেন্সের ড্রাইভার সাইরেন বাজালেন। সাইরেন শুনে ভিআইপির গাড়ী রাস্তার সাইডে দাঁড়িয়ে গেল।

লাশের গাড়ীতে থাকা মৃত মহিলার ভাতিজা প্রথমে ভাবলেন পুলিশ কি এই গাড়ী চেক করবে? নাকি সাইরেন বাজিয়ে ভিআইপিকে ডিস্টার্ব করার অভিযোগে তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে যাবে? নাকি বাংলাদেশের মতো ড্রাইভারের পকেটে ইয়াবা / গাঁজা ঢুকিয়ে তার কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা নিবে? কিন্তু না, তাকে অবাক করে দিয়ে এম্বুলেন্স সামনের দিকে চলতে লাগল। পেছন থেকে পুলিশ তাদের থামতেও বলল না।

এদিকে ভিআইপির গাড়ী বহর থেকে এক মোটর সাইকেল আরোহী পুলিশ এসে এম্বুলেন্সের সামনে সামনে চলতে লাগল। সেই পুলিশ তাদেরকে পাহারা দিয়ে ও রাস্তা ক্লিয়ার করে বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছে দিল। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, সেই পুলিশ এসে একবারও বলল না “চা নাস্তার টাকা দেন!” এটাই নাকি ওদের কাছে স্বাভাবিক।

টিনের চালে কাক, বাংলাদেশি মুসলমান ব্যাটা তো হতবাক।

সামান্য একটা এম্বুলেন্সের জন্য ভিআইপি রাস্তা ছেড়ে দিলেন আবার পুলিশও দিয়ে দিলেন! এটা কি স্বপ্ন? নাকি তারা বাংলাদেশিদের মতো ভিআইপিদের সম্মান করতে জানে না।

ঐসব গোমূত্র খোর অসভ্য জাতীর উচিৎ আমাদের দেশ থেকে শিক্ষা নেয়ার।

আমাদের দেশের রাস্তা ঘাট সবই তো ভিআইপিদের জন্য। উলটা সাইডে গাড়ী চালানো নিষিদ্ধ হলেও এদেশের আমলা কামলা থেকে শুরু করে এমন কোন ভিআইপি নাই যে উলটা পথে গাড়ী চালায় নাই। উলটা পথে গাড়ী আটকানোর মতো দুঃসাহস (!) দেখানোর কারণে বেশ কয়েজন পুলিশ সার্জেন্টকে বান্দরবন সুন্দরবন ঘুরতে হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বহন করা গাড়ী উলটা চললে সার্জেন্টরা উদাস নয়নে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকে, কিছু করার নেই। এরা জাতীর ভবিষ্যৎ ভিআইপি, এদের সম্মান দেয়া শিখতে হবে।

এই যে দুই দিন আগে এক উপ-সচিবের জন্য তিন ঘন্টা ফেরি আটকে রাখা হল আর তাতে এক এক্সিডেন্ট হওয়া অসুস্থ ছেলে আটকে থাকা ফেরিতে মারা গেলো, তা দেখেও কি ভারতীরা কিছু শিখবে না? কীভাবে ভিআইপিদের জন্য জীবন দিতে হয়?

অনেকে দাবী করছেন উপ-সচিব সাহেব কিছুই জানতেন না। জানলে উনি কখনো ফেরী আটকে রাখতে দিতেন না। এজাতির কথা জনগণ বিশ্বাস করে না। ভিআইপিরা কি ফেরীতে নতুন চলে? সাধারণ মানুষ ভিআইপিদের জন্য কতটা ভুক্তভোগী তারাই জানে।

আল্লাহ যার হায়াত যতটুকু রেখেছেন ততটুকুই তার পাওনা ছিল। কিন্তু যেহেতু একটা ঘটনা ঘটেই গেছে তাই কার দোষ সেটা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা না করে এখন থেকে ভিআইপিদের / ভিভিআইপিদের জন্য আলাদা রুট চালু করা জরুরী। ভিআইপিরা আমাদের কাজের জন্যই চলাচল করেন। ওনাদের জন্য আলাদা ফেরী লঞ্চ অথবা আলাদা সময় বরাদ্দ করা যেতে পারে।

সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ভোগী যখন অন্যান্য দেশ থেকে এদেশে ভিভিআইপি এসে সাভার জাতীয় সৃতি সৌধে যান। সরকারের উচিৎ তাদেরকে সেখানে হেলিকপ্টারে নিয়ে যাওয়া। যেহেতু ওটা ক্যান্টনমেন্ট এরিয়া তাই হেলিকপ্টার নামানোর মতো যথেষ্ঠ জায়গাও রয়েছে।