সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে অর্থ কেলেঙ্কারিতে ফাঁসিয়েছে কে- উত্তরটা সকলেরই জানা। তারপর রেলমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। উনার দোষ উনি বাস্তব সত্য কথা বলেন। আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধেও কথা বলেন। তাই উনাকে রাতারাতি সরিয়ে দিয়ে বুবুর গদি পাকাপোক্ত হয়। এবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে সরিয়ে দিতে কারা অপচেষ্টা চালাচ্ছে- উত্তরটা সকলেরই জানা। বাস্তব সত্য কথা শুনতে আওয়ামীলীগের ভয় লাগে, গদি হারানোর ভয়। বুবুর জানা দরকার ক্ষমতায় আজীবন কেউ চিরস্হায়ী নয়, ক্ষমতা রদবদল হবেই। আসলে আমরা হিন্দুরা (বিশেষত বাংলাদেশ) নৃপুংসক জাতি। আমরা ভালো- মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করতে পারি না। আমাদের দাদার যে গতি বাপেরও সেই একই গতি, এখন আমাদেরও একই গতি। পৃথিবীর প্রত্যেক দেশের রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচন আসলে সংখ্যালঘুদের হাতে পায়ে ধরে। কি ভেবেছেন সংখ্যালঘু ভোট কি এতটাই সহজ। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অবশ্য সহজ। কারণ এখানকার সংখ্যালঘুরা নৃপুংসক যে তাই। তারা আওয়ামীলীগের দাবার গুটি। আওয়ামীলীগ যেভাবে নাচাচ্ছে, হিন্দুরা সেভাবেই নাচছে। পশ্চিমবঙ্গে মমতা দিদি মুসলিম ভোট পাওয়ার জন্য নামায পড়ে, রোজা রেখে গো- মাংস খেতেও দ্ধিধাবোধ করছে না। পাকিস্তানে বিলওয়াল ভুট্টো হিন্দু ভোটের জন্য দিপাবলী উৎসব পালন করছেন, ইমরান খান হিন্দু ভোটের জন্য সাম্প্রদায়িক মিযান মিঠুকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন। এখন বাংলাদেশে সে অবস্হা নেই কেন? এর জন্য তো হিন্দুরাই দায়ী। বিএনপি ভাবছে হিন্দুরা তো আমাদের ভোট দেবে না, তাই তাদের কাছে গিয়েও লাভ হবে না। অন্যদিকে আওয়ামীলীগ ভাবছে আরে এদের কাছে গিয়ে কি হবে, এরা মালাউনের জাত, শত পেটালেও আমাদের হয়েই কথা বলবে। তবে আশার বাণী হিন্দুদের এমন মানসিকতার পরিবর্তন ঘটছে। আগামীতে হিন্দুরা আর আওয়ামীলীগের দাবার গুটি হয়ে থাকবে না। হিন্দুদের ভালো- মন্দ তাদেরকেই বুঝতে হবে। এভাবে যে একটা সম্প্রদায় শুধুমাত্র আওয়ামীলীগের হাতে জিম্মি থাকতে পারে না।