সেফাত উল্লাহ সেফুদার বিরুদ্ধে ভিয়েনায় যেসব টুপি-দাড়িঅলা বাংলাদেশী মুসলমান মিটিং করছে, সেফুদার ফাঁসি চাইছে- এগুলোর সবক’টাকে পাছায় লাত্থি দিয়ে বাংলাদেশের পাঠায় দেয়া হোক। ভিয়েনাকে যারা বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেইট বানাতে চায় তাদের জন্য বাংলাদেশ সঠিক স্থান। শেফুদার ফাঁসি চেয়ে বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জে মিছিল হওয়ার খবর পেয়েছি। শেফুদা সফল। মুসলমানদের কুরআন অনুভূতি হচ্ছে সবচেয়ে বদমাইশী অস্ত্র। জামাত শিবিরের মেসে যখন কুরআন পুড়ানোর প্রমাণ পাওয়া যায় তখন কোন মুমিনকে পাওয়া যায়নি ফাঁসি দাবী করতে। রামপুরা কালি মন্দিরের সামনে হিন্দু সাধুকে ফাঁসাতে কুরআন পুড়িয়েছিলো যারা তাদেরও কেউ ফাঁসি চায়নি। হেফাজত ইসলামের লাগানো গুলিস্তানের আগুনে শত শত কুরআন পুড়ানোর পর দেশের মুসলমানের কোন অনূভূতি খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু নাস্তিকরা কুরআনের উপর চায়ের কাপ রাখলেই মুমিনের হৃদয়ে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প উঠে যায়। এগুলো হচ্ছে মুসলমানদের বদমাইশী। কুরআনের সামনে হুজুর যখন বাচ্চা শিশুকে ধর্ষণ করে তখন কোন মুসলমানের ক্ষোভ হয় না কেন?
কুরআন মাঝে মাঝে পুড়ালে মুসলমানদের বাস্তববুদ্ধি জ্ঞান আসবে। এটা কাগজের একটা বই মাত্র। আগুনের ধর্ম হিসেবে সে হাতের সামনে যা পাবে সেটাই পুড়াবে। আগুন কুরআন চিনে না। গীতা বাইবেল ত্রিপিটক গীতাঞ্জলী ইলিয়াড ওডিসি রোমিও এন্ড জুলিয়েট… কোন বাচ বিচার করে থেমে যাবে না। কোন আল্লাহ ভগবান গড তার বইকে বাঁচাতে যে আসে না এটা এই যুগে এসে কেবল মাত্র মুসলমানদের কানে ধরে ধরে দেখাতে হবে। সুলতান মাহমুদ সোমনাথের মন্দিরে হামলা চালিয়ে মন্দিরের স্বর্গ গহনা লুট করে এই মন্দিরের বিগ্রহ ভাঙ্গতে গিয়ে দেখে শূন্যে বিগৃহ ঝুলে আছে। তার সৈন্যরা এটাকে অলৌকিক ভেবে ভাঙ্গতে ভয় পেয়েছিলো। কিন্তু সুলতান এটা ভেঙ্গে ফেলে এবং দেখতে পায় চম্বুক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিগ্রহটাকে শূন্যে তুলে ধরে রাখা হয়েছিলো। মুসলমানরা আগুন লাগলে কুরআন অক্ষত থাকার কাহিনী বানায় সাধারণ মুসলমানদের ধর্মের নামে বোকা থাকার জন্য। পাকিস্তানের জিয়াউল হক ইসলামের জন্য এত খেদমত করার পরও বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলো। কিন্তু খবর রটানো হলো তার সঙ্গে থাকা কুরআন অক্ষত ছিলো…। এগুলো শুনে সাধারণ মুসলমান ধর্মের নামে আরো অন্ধ আর ছাগল হয়ে উঠে। কিন্তু বাংলাদেশের যারা হিন্দুদের ফাঁসাতে কুরআনের পৃষ্ঠা ছিড়ে আগুন দেয় তারা খুব ভালো করে জানে কুরআনের বাপের সাধ্য নাই তাকে রক্ষা করার। এক সময় এগুলোকে খুব বাড়াবাড়ি মনে করতাম। এই অবস্থান থেকে অনেকদিন আগেই সরে এসেছি। এখন মনে হয় মানুষের আড় ভাঙ্গার জন্য বাড়াবাড়ি দরকার আছে বৈকী। কোলকাতায় গরুর মাংস খেয়ে কলেজের ছেলেরা ব্রাহ্মণদের ক্ষাপাতো সেই আঠারো শতকে। হিন্দুদের খাবার নিয়ে বাড়াবাড়ির প্রতি কবি মাইকেল মধূসূদনের গরুর মাংসের কাবাব খাওয়ার কাহিনী ছিলো তাদের কলেজের ছাত্রদের মাঝে বড় রকমের একটা বিদ্রোহ। পৈতা ছিড়ে ফেলা, ব্রাহ্মণের টিকি কেটে দেয়ার মত কান্ড তখন কোলকাতায় অহরহ ঘটত। এসব বাড়াবাড়ি সেযুগে ঘটেছিলো বলেই হিন্দুরা তাদের ধর্মের মৌলবাদ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। মুসলমানদের মধ্যে সেরকম কিছু কোন যুগেই ঘটেনি। এখন কুরআন নিয়ে মাঝে মাঝে যা ঘটছে তাকে সমর্থন করি এজন্যই। ঠিক করেছে। বেশ করেছে…!