বাঙ্গালী বুদ্ধিজীবীরা খুব মানবিক বুদ্ধিমান জাতী, কেবল আজকে নয়, বাঙ্গালীর মানবতাপূর্ণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় মধ্যযুগেও যথেষ্ট পাওয়া যায়,ধরুন খৃষ্টাব্দ ১৪৮৬-১৫৩৮ বাংলারা মসনদে তখন এক খাটি আরবজাত সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহ, স্থানীয় ভারতীয় স্বাধীন রাজ্য গুলি আসাম,উড়িষ্যা,ত্রিপুরা, যখন নিজেদের সভ্যতা,সংস্কৃতি, ধর্ম রক্ষা করবার জন্য নিরন্তর লড়াই করে যাচ্ছে আলাদা আলাদা ভাবে, ঠিক তখনি বাঙ্গালার জ্ঞানীগুণী বুদ্ধিজীবী মহলও নিজেদের টিকিয়ে রাখবার জন্য এক অদ্ভুত কৌশল তৈরি করলেন।
যেমন চট্টগ্রাম নিবাসী কবীন্দ্র পরমেশ্বর মহাভারতের আদিপর্ব থেকে স্ত্রীপর্বের বাঙ্গালার অনুবাদ করলেন।কবি শ্রেষ্ঠ লিখলেন,,
“নৃপতি হুসেন সাহ হয় মহামতি।
পঞ্চম গৌড়েতে যার পরম সুখ্যাতি।।
অস্ত্র শস্ত্রে সুপণ্ডিত মহিমা অপার।
কলিকালে হুব যেন কৃষ্ণ অবতার।।
নৃপতি হুসেন সাহ গৌড়ের ঈশ্বর।
তাক হক সেনাপতি হত্তন্ত লস্কর।।
লস্কর পরাগল খান মহামতি।
সুবর্ণ বসন পাইল অশ্ব বায়ুগতি।
লস্করী বিষয় পাইল অশ্ব বায়ুগতি।।
লস্করী বিষয় পাই আইবন্ত চলিয়া।
চাটিগ্রামে চলি গেল হরষিত হৈয়া।।
পুত্র পৌত্রে রাজ্য করে খান মহামতি।
পুরাণ শুণন্ত নিতি হরষিত মতি।।
সুতরাং হে সুশীল ধার্মিক বাঙ্গালি আপনারা কি হুসেন সাহ কে কৃষ্ণ রূপে আরাধনা করেন?যদি না করেন আপনারা মহাপাতক।
এইভাবেই ধর্মকে বিকৃত করে টিকে গেছে বাঙ্গালি বুদ্ধিজীবীরা, এইপথের পথিক অনেক যেমন মালাধর বসু, কবীন্দ্র পরমেশ্বর,শ্রীকরণ নন্দী,স্মার্ত রঘুনন্দন এরা সবাই বিদেশি মুসলিম শাসকের সঙ্গে মিলেমিশে হিন্দু ধর্মশাস্ত্রকে বিকৃত করে গেছে নিজেদের টিকিয়ে রাখবার জন্য, রঘুনন্দন আবার বেদ বিকৃত করে সতীদাহের মত ঘৃণ্য প্রথা বাঙ্গালি হিন্দু সমাজে প্রবর্তন করে গেছিলেন মুসলিম নবাবের সাহায্যে, তার প্রচলিত বর্ণ প্রথার বিরোধিতা করে চৈতন্য কে বাঙ্গালা ছাড়তে হয়েছিল।
তবে সবথেকে অবাক করা ব্যাপার কি’জানেন আমরা বাঙ্গালিরা এইসব অপদার্থ বুদ্ধিজীবীদের রচিত শাস্ত্র আর পুরাণ পাঠ করেই আমাদের এখনকার ধর্ম পালন করে থাকি।
এদের আধুনিক কিছু সংস্করণ আছে যাদের বুদ্ধির জন্য সাধারণত হিন্দুদের এখন অপদস্থ হতে হয় পদেপদে।
দেখবেন এরা আশ্রমের দেয়ালে কোরানের, হাদিসের আয়াত প্রচার করে যীশু, রসুল কে ভোগ দেয় মানবতার খাতিরে।
দুঃস্থ হিন্দুদের জন্য কিছু না করলেও, রোজাদার কল্লা প্রিয়দের ইফতার দিতে এরা ভুলে যায় না।
এরা রসুল গীতার প্রসার করে নিজেদের গুরু ভাইদের মধ্যে।
নারায়ণ কে পীর বানিয়ে নিজে নারায়ণ সাজবার চেষ্টা করে ইত্যাদি।
এই লেখা দেখে যদি কেউ আমার উপর ক্রোধিত হন, তাতে আমার কিছু যায় আসেনা কারণ আপনাদের থেকে হিন্দু সমাজ কোনদিন উপকৃত হয়নি আর ভবিষ্যতেও হবেনা তবুও হিন্দুত্ব আপনাদের বহন করে যাবে যেমন শাক্য কে করেছে।
সময় থাকতে এই মেকি মানবিক সুশীলতা ছাড়ুন বৈদিক সাহিত্য কেন্দ্রিক হিন্দুত্ব কে গ্রহণ করুন, নাহলে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে নিন্দিত হবেন।
লেখক :- Sumit Bhattacharya