….. নদীয়ার কালিগঞ্জ থানার বড় চাঁদঘর গ্রামের রাজেশ ঘোষ নামে একটি ছেলে নাকি, আজ ফেসবুকে ইসলাম নিয়ে কি সব লিখেছে? …. তো আমাদের তো দেবদেবী নিয়েও তো তারা ফেসবুকের পাতার পর পাতা ভরিয়ে তোলে, তাতে হলোটা কি …!
– ব্যাস, আর কি ! … অমনি তার বাড়িতে চড়াও হয়ে এলাকায় জেহাদী তাণ্ডব শুরু হয়ে গেল ..। ভাঙচুর … র্যাফ … আগুন … সবই হল। ছেলেটিকে ক্ষমাও চাইতে হল। কিন্তু তাতেও কি তার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা গেল …?
গেল না …।। – এবং এটাই বাস্তব।
…. এই কিছু দিন আগেই বর্ধমানের অনুরুপ একটি ঘটনায় পুলিশের সামনেই এক হিন্দু যুবকের গলায় জুতোর মালা পরিয়ে এলাকা ঘুরিয়ে নিজেদের শক্তি জাহির করে, … এলাকারই মুসলমান সম্প্রদায়।
…. এই ঘটনা কিন্তু ধীরে ধীরে এই বাংলার বুকে ক্রমশঃ বাড়ছে,… আরও বাড়বে, … এটা নিশ্চিত। কারন এটা প্রতিবাদের ধাত্রীভূমি।
এই যে, ছেলেটি ফেসবুকে পোষ্ট করত, সেগুলো পড়ে এটা অন্তত নিশ্চিত হওয়া গেল যে, … আর যাই হোক না কেন … সে, ইসলাম সম্পর্কে সাধারন হিন্দুদের সচেতন করার চেষ্টা করত। কিন্তু তার জন্য তাকে যে এমন গুরুদন্ড দিতে হবে সেটা সে বোঝেনি। বা, একটু অন্যভাবে বলতে গেলে, অন্যকে সচেতন করতে গিয়ে তার নিজেরই আর সচেতন হয়ে ওঠা হয় নি। আরেকটু সতর্ক হওয়া তার উচিৎ ছিল … । কমসেকম … ফেক প্রোফাইল ব্যবহার করেও সে ব্যাপারটা সামাল দিতে পারত।
– আজ যদি তার নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকতো, … তবে হয়তো এমনটি ঘটতে নাও পারত।
সেটা কি রকম? …
…. এবারে একটু পরিষ্কার করে বলি ….
– যে সব এলাকায় হিন্দুরা ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু, তাদের উচিৎ অবশিষ্ঠ হিন্দুদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি, … ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে, আপৎ কালীন মুহুর্তে শত্রুর আক্রমনকে যথাযথ ভাবে মোকাবেলা করা।
– আর সচেতন হওয়া হিন্দুসংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকার হিন্দুরা তবে কি শুধুই দূর থেকে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে এই তামাশা দেখবে …?
– না, তাদের উচিৎ উক্ত প্রথম শ্রেনীর দুর্বল হিন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে, দুর্গ নির্মানে তাদের সর্বস্ব দিয়ে যথাযথ ভাবে সাহায্য করা। –
আর, …।।
যে, যাই বলে বলুক!
কিন্তু, … একমাত্র এই একটি পথই আর খোলা আছে, … যা পশ্চিমবঙ্গের বুকে হিন্দুকে আরও কিছুদিন বাঁচিয়ে রাখতে পারে। …. নইলে সব শেষ..!!