ইতিহাসের এক ভয়ংকর অধ্যায়, যে ইতিহাস হয়নি বলা, “গজনীর বর্বর মাহমুদ” পর্ব ২ ……………………।।



খলিফার
আশীর্বাদ ধন্য
এবং
তার
দক্ষিন
হস্ত
(
ইয়ামিনউদ দৌলা) খেতাব
প্রাপ্ত মাহমুদেরজিহাদী
মানসিকতাদশ
গুন
বেড়ে
গেলো
খলিফার
কাছের
মানুষ
হবার
পর।
একের
পর
এক
চললো
তার
ধ্বংসের রথ’—–
১০০০
সালে
মাহমুদ
কিছু
সীমান্ত অঞ্চল
দখল
করে
সেখানে
নিজের
প্রশাসক নিযুক্ত করে।
ওই
অঞ্চলে
বসবাসকারি হিন্দুদের ধর্ম
পরিবর্তনে বাধ্য
করা
হোলো,
যারা
করলো
না,
তারা
মরলো।
তাদের
উপাসনালয় মাটিতে
গুড়িয়ে
দেওয়া
হলো।
১০০১
থেকে
১০০৩
সাল
অবধি
তার
কেটে
গেলো,
ওয়াইহিন্দ (প্রাচীন পুরুষপুর =পেশোয়ার) দখল
করতে।
রাজা


জয়াপালা বন্ধী
হন।
তার
১৫
জন
সেনাপতি এবং
আত্মীয়
বন্ধী
হলেন।
এদের
একজন
সুখপাল
মুসলমান হয়ে,
নওয়াশা
শাহ
নাম
নিয়ে,
মাহমুদের অধীনে
প্রসাশনের দ্বায়িত্ব পান।
এটা
ছিলো
তার
একটি
চাল,
রাজা
জয়াপালের জীবন
বাচানোর জন্য।
কিছু
দিন
পর
যখন
রাজা
জয়াপাল
নিজের
প্রজা
এবং
রাজ্য
রক্ষা
না
করতে
পারার
জন্য
এবং
চারিদিকেজিহাদী
তান্ডব
দেখে
আর
সহ্য
না
করতে
পেরে
রাগে,
দুঃখে,
হতাশায়
আগুনে
আত্মাহুতি দেন।
ঠিক
তার
পরেই
সুখপাল
বিদ্রোহ করে
এবং
হিন্দু
হন।
মাহমুদ
তাকে
পরাজিত
করে,
হত্যা
করে।
রাজা
জায়াপাল ২৫০০০০
(
আড়াই
লক্ষ
একট
স্বর্ন
মুদ্রা
,
যার
নাম
দিনার=
১২০
গ্রাম
সোনা)
স্বর্ন
মুদ্রা
মুক্তিপন দিয়ে
তার
এবং
সুখপাল
বাদে
বাকী
১৪
জনের
মুক্তি
আদায়
করেন।
জয়াপালের পুত্র
আনন্দপাল কাশ্মীরে চলে
যান
এবং
তার
স্বাধীনতা সংগ্রাম চালু
রাখেন।
তিনি,
তার
ছেলে
ত্রিলোচন পাল
এবং
নাতি
ভীম
পাল,
মাহমুদের সংগে
যুদ্ধ
করে
শহীদ
হন।
বাকি
বংশধরেরা, আত্মীয়
স্বজন
রা
ধর্ম
পরিবর্তন করে
বেচে
যায়।
অনেকেই
মাহমুদের অধীনে
বেতনভুক ছোট
বড়ো
সৈনাপত্য নিয়ে
বেচে
থাকে।
এই
ভাবে
একটি
শক্তিশালী এবং
ঐশ্বর্য্যশালী হিন্দু
রাজ্য
চিরতরে
মুসলমানী শাসনে
চলে
গেলো।
আজ
সেই
রাজ্যে
চলছে
ভারত
ভুমি
থেকে
বিচ্ছিন্নতার আন্দোলন (কাশ্মীর), সেই
শাহী
সাম্রাজ্যের বর্তমান বাসিন্দা, যারা
এক
সময়
সনাতনি
ছিলো,
(
পাকিস্তান, আফগানিস্তান) তাদের
বংশধরেরাই তাদের
পুর্ব
পুরুষদের সংষ্কৃতির ধারক
বাহকদের সর্বনাশ করতে
ঊঠে
পড়ে
লেগেছে।

মাহমুদের সেক্রেটারী ছিলো
আবু
নাসের
মুহাম্মদ উথবী।
সেই
ঊথবী
বলছেন,
ভেরা,
মুলতান,
যেখানে
একটিও
মুসলমান ছিলো
না,
সে
গুলো
সব
সম্পুর্ন ভাবে
মুসলিম
হয়ে
গেলো,
কোনো
পুতুল
পুজা
কারী
আর
রইলো
না।
তাদের
মন্দির
ধুলায়
মিশে
গেলো
অনেক
মসজিদ
তৈরী
হলো
এই
উথবী
একজন
নামী
লোক।
এর
লেখা
দিয়েই
শেষ
করবো
৩০
বছরের
ধ্বংসের বিবরন।
পুরো
বিবরন
লিখতে
গেলে
প্রায়
একটি
বই
হয়ে
যাবে।
একের
পর
এক
শহরের
পর
শহর,
গঞ্জের
পর
গঞ্জ
মাহমুদের লুটের
আর
ধ্বংসের সামিল
হলো।
জন
জীবনে
সৃষ্টি
হলো
এক
নিদারুন ত্রাসের। মহিলাদের মান
সম্মান
ধুলায়
লুটিয়ে
গেলো,
মন্দিরের পর
মন্দির
ধুলায়
মিশে
গেলো।
এটাই
হচ্ছে
মুল
কথা।
১০১৫
সালে
কাশ্মীর, এবং
এর
আগে
পরে
১৯৩০
সালের
মধ্যে
ভেরা,
মুলতানের দখল
শক্ত
পোক্ত
করে,
মথুরা,বারান (বুলন্দসর), কনৌজ
(
কানপুর)
সব
জায়গার
একই
দশা
হলো।
সারা
উত্তর
পশ্চিম
ভারত
তখন
এই
মাহমুদেরজিহাদী
তান্ডব
থেকে
থর
থর
করে
কাঁপতে
থাকে,
কখন
মাহমুদ
আসবে
(
কব
গব্বর

জাঁয়েগা)
১০২৩
সালের
চৌদ্দতম তান্ডবে কিরাত,নুর,লোকাট আর
লাহোর
ধ্বংস
এবং
পরিবর্তিত হয়ে
গেলো
্সব
প্রাচীন ঐতিহ্য।
মন্দির
লুট
করা
এবং
সেটাকে
অপবিত্র করা
মাহমুদের একটি
খেলা
ছিলো।
কতো
মন্দির
তার
তান্ডবে শেষ
হয়ে
গেছে
সেই
তালিকা
আজ
আর
দিয়ে
লাভ
নেই।
কেউ
বিশ্বাস করবে
না,
বলবে
প্রমান
কি?
যে
মন্দির
আর
দাঁড়িয়ে নেই,
বেশীর
ভাগ
স্থানে
অন্য
প্রার্থনা স্থল
তৈরি
হয়েছে,
তা
বলতে
গেলে
বিরোধীরা চীৎকার
শুরু
করবে।
ছোট
গুলো
বাদ
দিয়ে
শুধু
মাত্র
বড়ো
দুটির
কথা
এখানে
লিখবো।
থানেশ্বরেরচক্রস্বামীরমন্দির
লুট
এবং
ধ্বংস
করে
মন্দিরেরবিষ্ণু
মুর্তি
নিয়ে
গিয়ে
গজনী
শহরে
তৈরী
হিপোড্রোমেফেলে
দেওয়া
হয়েছিলো মাহমুদ নিজে
মথুরা
নগরী
এবং
সেখানকার মন্দিরের সৌন্দর্য্যের প্রশংষা করেছে।
সেই
মথুরা
নগরীর
সবচেয়ে
প্রাচীন এবং
বিখ্যাতকৃষ্ণ
মন্দির
লুট
করে
সে
অগাধ
ঐশ্বর্য্য হাসিল
করে,
আর
মন্দিরের সব
মুর্তি
গুড়িয়ে
দেয়।
উথবীর
কথায়
(
মাহমুদের সেক্রেটারী আবু
নাসের
মুহাম্মদ উথবী)
একমাত্র কনৌজে
প্রায়
১০০০০
হাজার
মন্দির
ধ্বংস
হয়
(
আমি
বাড়া
বাড়ি
বলে
মনে
করছিকারন এতো মন্দির
থাকা
এবং
তা
ধ্বংস
করা
কি
সহজ
ব্যাপার? ) যারা
এই
সব
অঞ্চলে
বাস
করতো,
তাদের
মধ্যে
যারা
ধর্ম
পরিবর্তনে রাজী
ছিলো
না
তারা
হয়
পালিয়ে
অন্যত্র্ গেলো
(
আমার
বাবা
এবং
আমার
মতো
উদবাস্তু হলো),
নইলে
মরলো
(
ল্যাটা
চুকে
গেলো)
চক্রস্বামী মন্দিরের মতো
দশ
হলো
গুজরাটেরসোমনাথ
মন্দিরের। সেখানকার শিব
মুর্তি
নিয়ে
গেলো
গজনীতে। তার
ভাংগা
টুকরো
দিয়ে
তৈরী
হলো
গজনীর
জামা
মসজিদের সিড়ি।
সেই
গজনী

নেই
,
মসজিদ
আর
নেই।
সব
পুড়িয়ে
ছারখার
করে
দিয়েছে
মাহমুদেরই এক
শত্রু
যাদের
ওপরে
মাহমুদ
অত্যাচার করেছিলো। তারাও
ছিলো
আফগানিস্তানের এক
উপজাতি। সোমনাথের শিব
মন্দিরের কিছু
ভগ্ন
অংশ
পাঠানো
হয়েছিলো খলিফার
কাছে।
সেই
টুকরো
শেষ
মেশ
পৌছায়
তুরষ্কে। তাই
দিয়ে
তৈরী
হয়
ইস্তানবুলের বিখ্যাততোপকাপিমসজিদের সিড়ি।
(
আমার
কোনোদিন বিশ্বাস হয়নি,
যতোদিন
না
আমি
নিজের
চোখে
দেখে
এসেছি
২০১২
সালে
সেই
সিড়ি,
যেখানে
পরম
গর্বের
সংগে
এই
ইতিহাস
লেখা
আছে।
ছবি
তোলা
নিষেধ
না
হলে
দেখাতাম সেই
স্ক্রিপ্ট পাথরে
খোদাই
করা।)
সোমনাথ
মন্দির
ধ্বংস
এবং
লুট
মাহমুদের কাছে
এক
পবিত্র
কাজ
ছিলো
সেটা
সে
নিজেও
লিখে
রেখে
গেছে
ফতে
নামা
তে।
এই
পবিত্রতা এই
জন্য
যে,
ঠিক
একই
ভাবে
মক্কার
কাবা
শরীফে
,
যার
নাম
ছিলো
আলমান্নাতসেখানকার মুর্তি ভেঙ্গেছিলেন নবী
নিজে।
সোমনাথ
লুট
এবং
ধ্বংসের সাল
টা
ছিলো
১০২৬।
তার
এই
কাজের
জন্য
পরবর্তি সময়ে
সুফী,
দরবেশ
রা
মাহমুদের অতি
উচ্চ
প্রশংষা করে
গেছে।
সমসাময়িক ঐতিহাসিক, কুয়াজ্জিনি, ফারহিস্তা এবং মাহমুদের সেক্রেটারী আবু
নাসের
মুহাম্মদ উথবী,
সবাই
মাহমুদের ৩০
বছর
ব্যাপি
বর্বরতার বিবরন
লিখে
গেছেন
নিখুত
ভাবে।
সেই
লিপিতে
তার
অতি
উচ্চ
প্রশংষা করতে
গিয়ে
আসল
সত্য
চেপে
রাখতে
পারেন
নি।
আসল
সত্য
চেপে
রাখলে
মহিমা
কম
হয়ে
যায়।
এই
মুসলিম
ঐতিহাসিকরা সেই
সময়
মাহমুদের বর্বরতাকে বর্বরতা না
বলে
ধর্মীয়
কাজ
বলেছেন। তাই
আসল
সত্য
বেরিয়ে
এসেছে।
সোমনাথ
লুটের
খবর
খলিফার
কাছে
পৌছালে,
খলিফা
আল
কাদির
বিল্লা
খুশীতে
বিশাল
জাক
জমক
করে
উৎসব
পালন
করে।
মাহমুদকে তিনি
এবারে
দেন
নতুন
এক
উপাধী—‘খাপউদদৌলা
ওয়া
আল
ইসলাম সেই সংগে
তাকে
হিন্দুস্তানের সম্রাট
বলে
ঘোষনা
করে
দিলো।
সম্রাট
মাহমুদ
এই
প্রথম
লাহোর
থেকে
নিজ
নামে
মুদ্রা
প্রচলন
করলো।
মাহমুদ
যে
বিপুল
ধন
দৌলত
ভারত
থেকে
লুট
করে
নিয়ে
যায়
৩০
বছর
ধরে
তার
হিসাব
কষতে
চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হিম
সিম
খেয়ে
যাবে।
আমাদের
ঐতিহাসিকেরা বেমালুম চেপে
গেলেও,
মাহমুদের সেক্রেটারী সেই
আবু
নাসের
মুহাম্মদ উথবী
সেই
লুটের
বহর
স্পষ্ট
করে
লিখে
রেখে
গেছে,
কারন
সেক্রেটারী হিসাবে
সেই
কাজ
তাকে
করতে
হতো।
আমাদের
ইরফান
হাবিব,
রোমিলা
থাপার
এবং
অন্যান্য ভারতীয়
ঐতিহাসিকেরা এই
সত্য
ভারতবাসীর থেকে
চেপে
গেলেও
ঐতিহাসিককে
এস
লাল
এর
মতো
কিছু
ঐতিহাসিক আজো
তাদের
বিবেক
বিদেশীদের (আরবী
/
তুর্কি)
কাছে
বেচে
দেন
নাই।
সেই
কে
এস
লালের
লেখা
প্রবন্ধ প্রকাশিত করে
ঐতিহাসিক Andrew G Bostom তৈরী করেছেন
এক
প্রামান্য দলিল,
যার
নাম
“The legacy Of Jihad—Islamic Holy war and the fate of the Non-Muslims”,
Published by ‘ Prometheus Books’, 59 John Glenn Drive, Amherst,New York- 14228
-2119. (
এই
লেখা
সেই
কে
এস
লাল
এবং
Andrew G Bostom
এর
লেখাকে
ভিত্তি
করে।
প্রমান
যারা
চাইবেন
তারা

ঠিকানায় যোগা
যোগ
করবেন)

ইতিহাসের এক ভয়ংকর অধ্যায়, যে ইতিহাস হয়নি বলা, “গজনীর বর্বর মাহমুদ” পর্ব ১ ……………………।।

ইতিহাসের এক ভয়ংকর অধ্যায়,
যে ইতিহাস হয়নি বলা,
গজনীর বর্বর মাহমুদপর্ব

……………………।।

ইতিহাসের এক ভয়ংকর অধ্যায়,
যে ইতিহাস হয়নি বলা,
গজনীর বর্বর মাহমুদপর্ব

……………………।।

 

লেখক-
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ

কোলকাতা- ভারত।