ইতিহাস খুবই নির্মম। নানাভাবে নানা সুযোগে তা ফিরে আসে।

ইতিহাস খুবই নির্মম। নানাভাবে নানা সুযোগে তা ফিরে আসে। আজ জিহাদি সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদের উপর বর্মি আর্মির নির্মমতা দেখে, তাদের শিশুদের আধপোড়া লাশ দেখে, অভুক্ত জিহাদি গুলিকে দেখে আমরা তাদের আশ্রয় দিতে, সীমান্ত খুলে দিতে সরকারকে অনুরোধ করছি। যদিও আমরা জানি, পূর্বে আশ্রয় নিতে যেসব জিহাদি রোহিঙ্গারা এসেছিল তারা প্রায় সবাই বর্তমানে চুরি- ডাকাতি খুন-পতিতাবৃত্তি ইত্যাদির সাথে জড়িয়ে পড়েছে। কিন্ত মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের আসলেই যথার্থ উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের দেশ থেকে যাওয়া শরণার্থীদের কিন্ত তারা সাহায্য করেনি। এখানে আমি রাষ্ট্র-প্রশাসনের কথা বলছি না শুধু। মিয়ানমারের সীমান্তবাসী সাধারণ রোহিঙ্গা জনগণের কথা বলছি। বরং যুদ্ধ শেষে রাজাকার-আলবদরদের পালানোয় সহায়তা করেছিল আশ্রয়-খাবার দিয়ে। আমার কথাগুলো মিথ্যা মনে হলে মুনতাসীর মামুনের “আলবদর ১৯৭১” বইটি পড়ে দেখতে পারেন। বইটিতে একেবারে আলবদর কমান্ডারদের নামধামসহ বর্ণনা দেওয়া আছে ঘটনাগুলোর। ঘটনাগুলো নেওয়া হয়েছে ওই রাজাকারদের ডাইরির বর্ণনা থেকে। এমনও নাকি হয়েছে নিরাপত্তার জন্য প্রথমে নিজেকে জয়বাংলার লোক বলায় ভাতও দেওয়া হয় নাই ওই আলবদরকে, পরে পাকিস্তান এবং মুসলীম লীগ শুনে খুশি হয়ে খাবার খাইয়েছিল। আমাদের হতভাগা রোহিঙ্গা ভাইরাই আজ সেই আশ্রয় না দেওয়া আমাদের কাছে, আশ্রয় পেতে ছুটে আসছে। আশা করি বাংলাদেশ সরকার দক্ষ কূটনৈতিক তৎপরতায় তাদের সাহায্যের উদ্যোগ নিবেন। ইতিহাস নির্মম, বড়ই নির্মম। বাংলা সিনেমার চাইতেও নির্মম।

Rezaul Manik