বাউল শিল্পী শরীয়ত সরকারের মুক্তি কামনা করি ।
পরিতাপের বিষয় ;
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার বাশিল এলাকা থেকে জামুর্কী ইউনিয়নের আগ ধল্যা গ্রামের বাউলশিল্পী শরিয়ত সরকারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করে কোর্টে প্রেরণ করেছে!
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার বাশিল এলাকা থেকে জামুর্কী ইউনিয়নের আগ ধল্যা গ্রামের বাউলশিল্পী শরিয়ত সরকারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করে কোর্টে প্রেরণ করেছে!
উল্লেখ্য ; গত চব্বিশে ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাই থানার রোহাট্রেক এলাকায় শরিয়ত সরকার পালাগান করেন। গানের একপর্যায়ে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘ গানবাজনা হারাম কোরআন থেকে যদি কেউ দেখাতে পারে, তাহলে তাকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে’।
দূর্ভাগ্য ; তাঁর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ না করে, কপালপোড়া মুসলিম সমাজের আলেম ওলামাদের ইন্ধনে তওহীদি জনতা মানববন্ধন ও সমাবেশ করে তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য। অতঃপর হেফাজত ইসলামের কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়া আওয়ামী সরকারের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী উগ্রবাদীদের খুশি করতে শিল্পীকে গ্রেফতার করেছে! আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
গত বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে এদেশের বাউলশিল্পীদের মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হইতো, কোথাও গানের স্টেজ সাজানো যেতো না। যেসব জায়গায় গান হইতো, সেখানে বোমা হামলা করে গুড়িয়ে দেওয়া হইতো! মানুষ ভেবেছিল আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে এদেশে শান্তি হবে, কিন্তু শান্তি হইল কই?
আমি শহিদুল চ্যালেঞ্জ করে বলছি –
কোনো মুফতি,মাওলানা, হাফেজ ও ক্বারী যদি কোরআন থেকে প্রমান দিতে পারে যে গানবাজনা হারাম, তাহলে আমার অর্জিত সম্পদ তার নামে উইল করে দিয়ে সারা জীবন তার গোলামী করবো। আর যদি কোনো কুত্তার বাচ্চা প্রমান না দিতে পারে, তাহলে কেন শরিয়ত সরকারকে হয়রানি করা হচ্ছে তার জবাব চাই….।
কোনো মুফতি,মাওলানা, হাফেজ ও ক্বারী যদি কোরআন থেকে প্রমান দিতে পারে যে গানবাজনা হারাম, তাহলে আমার অর্জিত সম্পদ তার নামে উইল করে দিয়ে সারা জীবন তার গোলামী করবো। আর যদি কোনো কুত্তার বাচ্চা প্রমান না দিতে পারে, তাহলে কেন শরিয়ত সরকারকে হয়রানি করা হচ্ছে তার জবাব চাই….।