সু চির নোবেল কেড়ে নেওয়া উচিত বলে যারা কান্নাকাটি করছেন তাদের আসলে কি কি কেড়ে নেওয়া উচিত যখন আবুল বারাকাত গবেষণা করে দেখিয়েছেন, “১৯৬৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৫ দশকে মোট ১ কোটি ১৩ লাখ হিন্দু ধর্মাবলম্বি মানুষ দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে ২ লাখ ৩০ হাজার ৬১২ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বি মানুষ নিরুদ্দিষ্ট বা দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। আর প্রতিদিন দেশ ছেড়েছেন গড়ে ৬৩২ জন হিন্দু”।…“বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ”- এমন দাবীকারীদের কাপড় খুলে নেওয়া উচিত না?
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে ইন্দোনেশিয়া, মালোয়েশিয়া, সৌদি আরবসহ স্বঘোষিত মুসলিম জাতীয়তাবাদী দেশগুলো একজনও রোহিঙ্গা নিতে অপারগ। থাইরা বৌদ্ধ ধর্মালম্বী, তবু বিপুল সংখ্যাক রোহিঙ্গাকে তারা আশ্রয় দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের জিহাদী কার্যক্রমে এখন তারাও পেরেশানেও আছে বাংলাদেশের মত। তবু মৃত্যু ভয়ে ভীত মানুষগুলো জন্য আশ্রয় প্রয়োজন। মক্কা থেকে শরণার্থী হয়ে নবী ইহুদীদের শহর মদিনায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারপর মাত্র দশ বছরে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, আমি আরব উপদ্বীপ থেকে সব ইহুদীদের বের করে দিবো (তিরমিযী-১৫৫৪)। তবু মানব সভ্যতার সবচেয়ে গর্বের উত্তোরণ হচ্ছে বিপদগ্রস্তকে আশ্রয় দেয়া। কিন্তু রোহিঙ্গাদের কিভাবে সেটা করা উচিত আমার জানা নেই। অলরেডি ১২ লাখের উপর রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে রেখেছে…। শুধু রাগ লাগে যখন দেখি এই দেশের মাটিতে যাদের চৌদ্দ পুরুষের বাস, এই মাটির যারা সন্তান, শুধুমাত্র ধর্ম আর জাতীয়তার পরিচয়ের কারণে যাদের বর্ডার দেখিয়ে দিয়েছেন, যাদের দেশ ত্যাগ করার মত পরিস্থিতি তৈরি করেছেন বা নিরব থেকে পরিস্থিতিকে আরো কঠিন করে তুলেছেন, তারাই আজকে রোহিঙ্গা নিয়ে সবচেয়ে বড় মানবতাবাদী