রোহিঙ্গা নিপীড়ন ইস্যুতে,জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দিয়ে, চীন পুনরায় মিয়ানমারকে রক্ষা করলো।
চীন ভোগ্য পণ্যের সাথে সংক্রামক জীবাণু মিশিয়ে দেশে দেশে রফতানি করে, বিভিন্ন রোগ-ব্যধি সৃষ্টি করে – অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শিক্ষিত-বুদ্ধিমান লোকজন, চাইনিজ পণ্য বর্জন করেছে।
বাংলাদেশে একদল সচেতন মানুষ, চাইনিজ পণ্য বর্জন করতে বলায়, সমালোচিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ জানে না যে, ১৯৪৭ সালে যখন দেশভাগ হয়, তখন ভারত ও চীনের মুসলমান জনসংখ্যা ছিল সমান – সাড়ে তিন কোটি করে। এখন ভারতে মুসলমান সংখ্যা ২১ কোটি, আর চীনে মুসলমান সংখ্যা মাত্র ১ কোটি ৮০ লাখ। তাহলে সহজেই অনুমেয়, চীনের জীবাণু-অস্ত্র কত মারাত্মক। কিন্তু ১৯৭১ সালে চীন পাকিস্তানের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল এবং স্বাধীন বাংলাদেশ যাতে জাতিসংঘের সদস্যপদ না পায়, এজন্য চীন লাগাতার তিনবার ভেটো দিয়েছিল।
চীন ১৯৭১ সালে, ভারত তথা স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে, পাকিস্তানের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ায়, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের মধ্যে চীন-ভক্তি বেড়ে যায় এবং চীনকে বলা হয়,বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। এমনকি সেক্যুলার নামধারী সো কলড নীতিবাগিশরা পর্যন্ত চীনের সমালোচনা করলে, তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে।
ভারতে মুসলমানদের যত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়, পৃথিবীর কোন মুসলিম রাষ্ট্র – মুসলমানদের অত সুযোগ সুবিধা দেয় না। যেমন মুসলমানরা হজ্জ করে সরকারি অর্থে এবং মুসলমানরা ধর্মীয় শিক্ষার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করে সরকার। পক্ষান্তরে হিন্দুর তীর্থযাত্রায় চার আনা পয়সা নেই ; আর হিন্দুদের ধর্মশিক্ষা তো কংগ্রেস সরকার অঘোষিত ভাবে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল।
ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭৬ সালে ইমার্জেন্সি দিয়ে, ৪২ তম সংশোধনি এনে,সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা সংযুক্ত করে – হিন্দু জাতিকে বিলুপ্ত করে দেওয়ার দীর্ঘমেয়াদী ষড়যন্ত্র প্রণয়ন করেন। ইন্দিরা গান্ধীর ইরানি বংশোদ্ভূত বিধর্মী স্বামী ফিরোজ জাহাঙ্গীর ফারদুনের ঔরসজাত পুত্র রাজীব জাহাঙ্গীর গান্ধী, সংবিধানে বিশেষ এমেনমেন্ট আনেন – যাতে মুসলমানরা একাধিক বিয়ে করে অধিক হারে সন্তান জন্ম দিয়ে, হিন্দু জনসংখ্যাকে অতিক্রম করে যেতে পারে। হিন্দুদের একাধিক বিবাহে বিধিনিষেধ আছে। এতকিছু করার পরেও মুসলিম জাহানে, বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মানুষের কাছে – ভারত মুসলিম নির্যাতনকারী দেশ,আর চীন সর্বঋতুর দোস্ত।