সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী, অক্সিজেন ছাড়া পঙ্খিরাজ ঘোড়ায় চড়ে মহাশূন্য ভ্রমণ করে আসা নভচারী, স্বঘোষিত ‘আল্লার নবী’ দাবী করেছেন, মেয়েদেরও বীর্য বের হয় পুরুষদের মত!
দেহটা যাদের সেই মেয়েরা তাদের বীর্যের কোন হদিস না পেলেও ‘আল্লার নবী’ যেহেতু বলেছেন তাহলে অবশ্যই নারীদের বীর্য বের হতেই হবে! ‘আল্লার নবী’ যদি বলতেন মহিলাদেরও অন্ডকোষ আছে, সেরকম কোন থলি নারীরা তাদের দেহে খুঁজে না পেলেও এ কথায় ঈমান না এনে কোন উপায় আছে? ‘আল্লার নবী’ বলে কথা! সাত আসমান থেকে রোজ যার কাছে একটা ডানাঅলা ফেরেস্তা এসে বার্তা দিয়ে যায় তিনি কি আর মিথ্যা বলতে পারেন?
না, বন্ধুরা আমি নিজে কিছু বানিয়ে বলিনি। সহি হাদিস বলছে নবী নারীদের বীর্য বের হলে তাদের ফরজ গোসল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। নারীদের বীর্যের কথা বলায় হেসে ফেলা জনৈক নারীর প্রতি কিছুটা উষ্মা হয়েছিলো ‘দয়াল’ নবী। তারপর তার দাবী যে একটা চাক্ষুস সত্য সেটা প্রমাণ করতে বলেছিলেন “নিশ্চয় পুরুষের পানি ঘন সাদা। আর মহিলার পানি পাতলা ও হলুদ রঙের।”( সূত্র: সহহি মুসলিম (৩১১))।
আধুনিক বিজ্ঞান হচ্ছে মুসলমানদের ঈমান আকিদার বিরুদ্ধে নাসাদের একটা চক্রান্ত। কাজেই তারা কি বলছে সেটার কোন মানে নেই। মহিলারাও আদমের বাঁকা পাজড়ের হাড় থেকে তৈরি বলে এরা অবাধ্য। তাই নিজেদের বীর্যের কথা বেমালুম অস্বীকার করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবীকে বিব্রত করা তাদের স্বভাবসুলভ। আসুন দেখি সহি হাদিসটি কিভাবে সেটা বর্ণনা করেছে। উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, উম্মু সুলাইম (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আল্লাহ সত্য প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না। মেয়েদের স্বপ্নদোষ হলে কি তাদের উপর গোসল ফর্য হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। যখন সে বীর্য দেখতে পায়। এ কথা শুনে উম্মু সালামা (রাঃ) হাসলেন এবং বললেন, মেয়েদের কি স্বপ্নদোষ হয়? তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তা না হলে সন্তান তার মত কিভাবে হয়। (আদর্শ প্রকাশনী হাদিস নং- ৩০৮২, ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রকাশিত হাদিস নং- ৩০৯০)।
সুতরাং, এতদিন বিজ্ঞান থেকে শুক্রাণু ডিম্বাণু সম্পর্কে যা জেনেছেন সব ভুলে যান। ইসলামিক বিজ্ঞানকে মেনে নিয়ে ঈমান মজবুত করুন…।