বড় দেরীতে এলেন মোদী।
মোদী যদি গান্ধীর সমসাময়িক কালে জন্মাতেন তবে উপমহাদেশের এই দুরবস্থা হতোনা। আর এটাও ঠিক যে যদি গান্ধী ভারতবর্ষের রাজনীতিতে নেহেরু আর জিন্নাহকে নিয়ে দুষ্টগ্রহের মত না আসতেন তবেও ভারত এ্মন সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চারণ ক্ষেত্র হতোনা।
মোদীকে ভারতের জনগন হয়ত অতীতের লক্ষ লক্ষ ভুল থেকে উদ্ধার করার সময় দেবে না, কারণ ভারতের মানুষ চিরকাল আত্মঘাতী। ঘোরির সাথে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র করে পৃথ্বীরাজকে হত্যা করিয়ে ভারত আফগানদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন পৃত্থীরাজের নিজ শ্বশুর। এভাবে একবার নয় বারবার ভারতীয়রা দাসত্ব করতে আগ বাড়িয়ে গেছে। নিজ গোষ্টির ক্ষতি করার মানসিকতা এরা কোন কালেই কাটাতে পারে নাই।
বিশেষত বাঙ্গালী হিন্দুদের দুর্ভাগ্যের জন্য হিন্দুরাই প্রকৃত পক্ষে দায়ী। বাংলাদেশের হিন্দুদের এই যে লজ্জাজনক সামাজিক অবস্থান এর জন্য দায়ী হিন্দুরাই। মেরুদন্ডবিহীন জাতি সোজা হয়ে দাড়াতে পারেনা। মাটিতে একেবেকে গর্ত খুড়ে এরা বাস করে। কেন একবার লক্ষ লক্ষ হিন্দু প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসেনা? প্রাণের ভয়? প্রাণের ভয় আক্রমঙ্কারীর থাকে সবচেয়ে বেশী। প্রতিরোধ করা অনেক সহজ। নিজের মান সম্মান বিসর্জন দিয়ে অর্হবিত্ত যাই থাক সবই ক্লীবত্বে ঢাকা। মানুষ হয়ে বাচার জন্য টাকা পয়সা আত্মসম্মানের কাছে যদি তুচ্ছ না হত তবে হিন্দুরা গনিকা বৃত্তি নিলেও এর চেয়ে খারাপ থাকতোনা। নিত্য অবহেলা নিত্য মাথায় গু ঢালা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। বাচার মত বাচতে হবে নইলে টাকা ঘর বাড়ি দিয়ে হবেটা কি? ভারতের সাথে বাংলাদেশের রাজনীতি এখন খুব কাছা কাছি অবস্থায় আছে। তাই ভারতের কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশের কথাও বলতে হল।
আজ ভারতে মোদীর বিরূদ্ধে সবাই জোট বাধতে ব্যস্ত। ফলে রাজনীতির মারপ্যাচে মোদী টিকতে পারবেন না হয়ত; তবে তার নাম ভারতের ইতিহাসে লেখা হবে একদিন। ভারতে একবিংশ শতাব্দীতে যদি কোন সত্যিকার পুরুষ জন্ম নিয়ে থাকেন তবে তিনি অবশ্যই হবেন মোদী।হবেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ভারতীয়।
( মোদীর বিরূদ্ধে ভারতীয় সেকুদের লেখা এবং বাংলাদেশের মোডারেটদের লেখা পড়ে কথাগুলি লিখতেই হল।)