আচ্ছা আমরা কি সংখ্যাগুরু না গরু..??

আচ্ছা আমরা কি সংখ্যাগুরু না গরু..??
আসলে গরু শব্দটা শুনলেই আপনাদের মধ্যে অনেকেই মানে যারা “তৃনমূলী” হিন্দু বা “বামপন্থী” হিন্দু বা “সেকু” হিন্দু তারা বাঁকা হেসে বলবেন.. “গোমাতার সন্তান তোরা, তোরাই গরু”।  আমিও হাসিমুখেই মেনে নিলাম.. আমি গরুকে গোমাতা বলি.. যেমন আপনাদের মা ও আমার মা…আসলে..  যাকগে সেটা নিয়ে অন্য একদিন জানাবো..। এবার আসি প্রসঙ্গে…
দুর্গাপূজার আর কটাদিন বাকি আছে তার প্রস্তুতি সব পূজা কমিটিই জোর কদমে চালাচ্ছেন এবং তার সাথে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে দশ হাজার টাকা অনুদান প্রতিটি কমিটিকে দেওয়ায়ার ঘোষণা করা হয়েছে, তাও সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন.। জানি বহু পূজায় এই দশ হাজার টাকাটা কোনো ব্যাপার নয়… আবার গ্রাম বাংলার বহু জায়গায় এই টাকাটা অনেকটাই সাপোর্ট করবে।
সবই ঠিক আছে কিন্তু প্রবলেম একটা তৈরি হয়ে গেছে আর তা হলো সবমিলিয়ে আটাশ কোটি টাকা পূজা কমিটি গুলো পাবে জেনেই মাঠে নেমে পড়া.. ইমাম-মোয়াজ্জেমদের ভীড়…। তারা প্রকাশ্যেই রাস্তায় নেমে জানিয়ে দিয়েছে তাদের জন্য যে ভাতা চালু আছে এই রাজ্যে..  মানে ইমাদের মাথাপিছু ২,৫০০ টাকা আর মোয়াজ্জেমদের মাথাপিছু ১,০০০ টাকা করে তা দ্বিগুণ করতে হবে….।
হাঃ হাঃ হাঃ…  একদম গালে ঠাসিয়ে জুতো মেরে দিলো..  এ রাজ্যের ভাই-ভাই বলে গলা ফাটানো বোকা হিন্দুদের গালে..  প্রকৃত অর্থেই বোঝালো… হিন্দুরা আদতেই গরু…।
হাঃ হাঃ হাঃ…
কেন গরু জানতে ক্লিক করুন…   https://youtu.be/di4PfzkKBD4

এই ভিডিও আপনার চোখ খুলে দেবেই দেবে…

চলুন একটা স্বরচিত গল্প শোনাই…

এক কসাইয়ের দোকানে গোটা দশেক খাসিকে নিয়ে এলো..  ঘটনাচক্রে তারা সবাই এক পাড়ারই খাসি.. সব কটার মধ্যে দারুন ভাব ছিলো.. আসলে ছোট থেকে একত্রে বড়ো হওয়া তো.. তাই যা হয় আর কি..। তা তারা এসেই দেখলো লম্বা দড়িতে তাদের বাঁধা হয়েছে লাইন দিয়ে আর সামনে… উরেব্বাস..  সুন্দর করে কাটা কাঁঠালপাতা.. ঘাস.. ছোলা আর একটা পরিষ্কার পাত্রে জল..।  সেখানে আরও অনেক গুলো.. খাসি ছিলো.. তারাও আনন্দে খাচ্ছিলো..। পরেরদিন সকালে নতুন খাসিরা দেখলো পুরানোদের থেকে একটাকে কসাই আদর করে নিয়ে গেল… বেলা হয়ে গেল সে আরর ফিরলো না… পরেরদিন আরো একটা… এদের মধ্যে একটা বেঁড়ে পাকা খাসি ছিলো.. এই আমাদের মতোই মানে রুদ্রদের মতো.. আর কি.. সে ব্যাটা সন্দেহ করলো..  সে গলার দড়িটা কেই চিবাতে শুরু করলো.. সকাল থেকে চেবানোর ফল পেল রাত্রে.. দড়িটা ছিঁড়ে গেল..আসলে পাকানো দড়িতো..।  যাই হোক সকালে ও কিন্তু চুপচাপই রইলো.. যেই না পুরানো একটা খাসিকে নিয়ে কসাই আদর করে নিয়ে গেল ও চুপিচুপি এগিয়ে গেল…গিয়ে দেখলো সামনের একটা দোকানে ওটাকে নিয়ে গিয়ে আড়াই প্যাঁচে গলার নলি কেটে মেরে দিলো.. খাসিটার বুকের ভিতরে ধড়াসধড়াস করতে লাগলো…তারপর দেখলো ওটার ছাল ছাড়িয়ে ঠ্যাঙ  দড়ির হুকে আটকে ঝুলিয়ে দিলো..।
কাঁপতে কাঁপতে ফিরে এসে ও সবাইকে জানালো..। কিন্তু খাসির দল… হাঃ হাঃ হাঃ করে হেসেই উড়িয়ে দিলো..। আসলে না খেটে সামনে পাওয়া খাওয়া দাওয়া ছেড়ে এর পাল্লায় কে পড়বে..। ওদের মাঝে একজন জানালো.. ও মিথ্যে রটাচ্ছে… ওর সাথে কেউ কথা বলো না…।  বেচারা খাসিটা মানে রুদ্র টাইপের খাসিটা..  মনমরা হয়ে গেল.. সারারাত আবার বোঝালো..  দড়িটা চেবাও.. পাকানো দড়ি ছেঁড়ো.. নইলে জবাই হবেই..  কিন্তু কে কার কথা শোনে…।  ভোররাতে কসাই এসে একটা নয় চারটে খাসিকে নিয়ে গেলো.. শুনলো ” আজ মনে হয় সব কটাই লাগবে.. নবমী বলে কথা…”। সেই দড়ি চেবানো খাসি আবার বললো… পালাও নইলে মেরে দেবে.. কিন্তু কাঁঠালপাতার লোভ, বাবা ছাড়াবে কার বাপের সাধ্যি… অবশেষে খাসিটা ঠিক করলো.. ভোররাত কেউ নেই চারিদিকে আর থাকা নয়…।

ব্যস এই টুকুই তারপর খাসিটা পালাতে পেরেছিলো কি না..  নাকি সেও আড়াই প্যাঁচে জবাই হয়েছিলো তার গল্প নাই বা শোনালাম… আসলে ওই পাকানো দড়িটা চেবানোর খুব দরকার ছিলো…।
কেউ ভাববেন না আমি পাকানো দড়ি বলতে পাকানো বা একতরফা ভাবে পাতানো ভাই-ভাই সম্পর্কের কথা বলছি..। আসলে একই বৃন্তে মানে যে, একই দড়িতে নয়.. এটা তো কাঁঠালপাতা চেবানো সমাজের সবাই জানি…।
ভালো থাকুন…
পারলে ভিডিওটা দেখুন.. লাইক কমেন্টস করে  জানান.. আরে ডিস লাইন অপশনটাও তো আছে..  ভালো না লাগলে দিন ওটাকেই টিপে… হাঃ হাঃ হাঃ

লিংক…https://youtu.be/di4PfzkKBD4

রুদ্র প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়

( রুদ্র বার্তা মানেই…  সোজাকথা সোজাভাবে… A channel with difference)