যতদুর জানি, প্রাচীন শাস্ত্রে “কাশ্মীর” মানে হল “শুষ্ক ভূমি”(সংস্কৃতেঃ কা = জল এবং শীমিরা = শুষ্ক)। দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে “কলহন” এর লেখা কাশ্মীরের ইতিহাস “রাজতরঙ্গিণী” থেকে জানা যায় যে, কাশ্মীর উপত্যকা পূর্বে একটি হ্রদ ছিলো। হিন্দু পুরাণে বর্ণনা করা আছে সৃষ্টির দেবতা ব্রহ্মার পৌত্র মহাঋষি কশ্যপ বারামূলা (বরাহমূল) পাহাড়ের একাংশ কেটে হ্রদের জল নিষ্কাশন করেন। কাশ্মীর সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়ার পর কশ্যপ ব্রাহ্মণদের সেখনে বসতি স্থাপন করার জন্য আমন্ত্রণ করেন। এই কাহিনী স্থানীয় ঐতিহ্যে আজও রয়ে গেছে, এবং এই অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থাও অনেকটাই সমর্থন করে। কশ্যপের সাথে হ্রদ নিষ্কাশণের যোগাযোগ ঐতিহ্যগত ইতিহাসেও পাওয়া যায়,যা বোঝা যায় উপত্যকায় বসবাসকারীদের প্রধান শহরের নাম “কশ্যপপুরা” থেকে, যার উল্লেখ আছে হেকাটেউস লেখায় কাস্পাপাইরস বা, হেরোডোটাসের লেখায় কাস্পাটাইরস নামে। টলেমি তাঁর লেখা কাশ্মীরকে “কাস্পেইরিয়া” নামে নির্দেশ করেছেন। ষষ্ঠ শতাব্দীতে ভারতে আসা চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং-এর লেখা জানতে পারা “কাশ-মি-লো” রাজ্যের কথা যার অস্তিত্ব ছিল প্রথম শতাব্দী থেকে। এখন প্রশ্ন হলো এই পবিত্র ভূমিতে এত ম্লেচ্ছ, যবনদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হলো কিভাবে?
রেজাউল মানিক