আল তাকিয়া সহ অন্যান্য সাত প্রকারের ইসলামিক শঠতা ইসলামকে একটি আপাত বাহ্যিক চেহারা দিয়েছে যেটি নিঃসন্দেহে যে কোন ইসলাম বিষয়ে অজ্ঞ সেকুলার হিন্দুকে মোহিত করবে। যেমন: ইসলাম শান্তি ও সাম্যের কথা বলে। নারীকে শালীনতা ও পুরুষের দৃষ্টি নত করতে নির্দেশ দেয়। ঘুষ, দুনীর্তি, সুদকে হারাম বলে…? আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন, ইসলামের বিতর্কিত আইন ও বিধি গুলোর কথা জেনেও লোকে ইসলাম গ্রহণ করে কেন? কিংবা বিশ্বব্যাপী ইসলামের জিহাদী সন্ত্রাস দেখেও কেন (ভারতীয় হিন্দু সহ) ইসলাম গ্রহণ করে খোদ পশ্চিমাদের কেউ কেউ? যিনি একদিন আধুনিক পশ্চিমী গণতন্ত্র ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি কি করে বহু বিবাহ, শিশু বিবাহ, দাসী সহবাসের মতো বিধান, জিজিয়া কর ও গণিমাতের মালের মতো মানবতা বিরোধী নিয়মের সাফাই গান? একদিন যিনি জেনেভা কনভেশন আইনের প্রতি আস্থাশীল ছিলেন তিনি কি করে যু্দ্ধবন্দিনী নারীকে ধর্ষণের মতো আইনকে সঠিক বলে বিশ্বাস করেন? আমরা প্রায়ই খবরের কাগজে ফলাও করে প্রচার হতে দেখি কোন হিন্দু কিংবা ইউরোপীয়ান ইসলাম গ্রহণ করেছেন। কোন সেলিব্রেটি, কিংবা আফগান সীমান্তে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তালেবানের হাতে কোন পশ্চিমা সাংবাদিক ইসলাম গ্রহণ করেছেন স্বেচ্ছায়। কিংবা ভারতের কোন হিন্দু জাকির নায়েকের ওয়াজ শুনে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে তারা ইসলামের বিতর্কিত নিয়ম ও আইনগুলোর একনিষ্ঠ সমর্থক হলে পরে, মানুষ চিন্তা করে- এইরকম মানবতা বিরোধী আইনের প্রতি তারা কি করে আস্থাশীল হয়? এসব জেনেও কেন তারা ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে? ভেবে যেন কেমন একটু দিশেহারা অবস্থা তাই না?
আসুন একটু বিশ্লেষণ করে দেখি ঘটনাগুলো আসলে কি ঘটে। তার আগে বলে নিই, রোজ ইসলাম ত্যাগের প্রচুর ঘটনা ঘটে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে, যা ইসলামিক মিডিয়া তো বটেই ভারতের নেড়েপন্থী তথাকথিত ‘সেকুলার মিডিয়াতেও’ সেসব প্রচার করাটাকে গভীর অনুচিত মনে করে। প্রচুর মুসলমান প্রতিদিন ঘৃণা ভরে ইসলাম ত্যাগ করেন। তারা অন্য মুসলমানদের হাতে প্রাণ যাওয়ার ভয়ে তা প্রকাশ করেন না। প্রতিদিন মুমিন মুসলমানদের মিথ্যা ইসলাম প্রচারের খবর প্রচার, জাকিরের সাজানো ইসলাম গ্রহণের ঘটনা গুলো মাথায় রেখেই বলছি, ইসলাম গ্রহণ যে ঘটছে না তা নয়। রোজই মানুষ খ্রিস্টান-ইসলাম-ইসকন-বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করছে বা, ত্যাগ করছে। এগুলো খুবই স্বাভাবিক ঘটনা মানব সমাজের জন্য। আমাদের আলোচনার বিষয় মানুষের ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণ এবং পরবর্তীতে ইসলাম ধর্মের নিমর্মতা ও বর্বরতাকে গ্রহণ করা। লোকে প্রশ্ন করে, এইসব বর্বরতা জেনেও কি করে সে ইসলাম ধর্মকে গ্রহণ করল? উত্তর হচ্ছে, না জনাব, ঐ ব্যক্তি কিছুতেই ইসলাম ধর্মের বর্বর, অসভ্য, মানবতা বিরোধী কোন আইন বা বিধিকে জেনে কখনই গ্রহণ করেনি। শুরুতেই যে বাহ্যিক চেহারার কথা বলেছি সেটি ইসলামি ধর্মেরই একটা আলগা মুখোশ। আত্মরক্ষার জন্য ক্যামুফ্লালাজ। এই মুখোশ দেখেই যখন কেউ আগ্রহী হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে, তারপর তার কি রূপান্তর ঘটে সেটাই ক্রমশ বলব। তার আগে বলে নেই, পৃথিবীতে বেশির ভাগ মানুষ সবচেয়ে বেশি যেসব কারণে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয় তার মধ্যে পার্থিবভাবে লাভবান হওয়ার চিন্তাই মূখ্য। মুসলমানের দেশে সংখ্যালঘু হয়ে ইসলামিক বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে রেহাই পাওয়ার আশা। হিন্দু নারীদের ক্ষেত্রে ইসলামিক লাভ জিহাদ অন্যতম কারণ।
Rezaul Manik