বিশ্বের নানা ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে ভারতের। বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি, এখন অন্যান্য দেশ যতই গলা ফাটাক না কেন, অনেক কিছুরই শুরু হয়েছিল এই ভারতের মাটিতে। বিশেষত চিকিৎসা বিজ্ঞানে অসামান্য অবদান রয়েছে ভারতীয়দের। ভারতই শিখিয়েছে প্লাস্টিক সার্জারির মত শল্যচিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ দিক।
প্রাচীন দন্ত চিকিৎসা: ৭০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে দন্ত চিকিৎসা নিয়ে গবেষণার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে এই ভারতে। এমনকি মেহেরগড়ে মাটি খুঁড়ে মিলেছে দাঁতের সমস্যা সারানোর যন্ত্রপাতি। পাওয়া গিয়েছে দাঁতের ড্রিল করার যন্ত্রও।
আয়ুর্বেদ: প্রাচীন এই চিকিৎসার পদ্ধতি আজ বিশ্বের নানা প্রান্তে স্বীকৃতি পেয়েছে। এর শুরুটাও ভারতেই। ৫০০০ খ্রিস্ট পূর্বে। গাছ-গাছড়া থেকে গৃহীত রস, খনিজ পদার্থ দিয়েই হয় এই চিকিৎসা। অনেক কঠিন রোগও সারানো সম্ভব এই পদ্ধতিতে।
ফ্লাশ টয়লেট: আমরা ভেবে থাকি পাশ্চাত্য থেকেই এসেছে এই ফ্লাশ টয়লেটের ব্যবহার। অনেকেই হয়ত জানেন না যে বহু ২৫০০ খ্রিস্ট পূর্বে হরপ্পা-মহেঞ্জোদারোর প্রায় প্রত্যেকটি ঘরে ছিল ফ্লাশ টয়লেট। ছিল অত্যাধুনিক নিকাশি ব্যবস্থাও।
রুলার: ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশেই মাটির তলা থেকে বিভিন্ন সময় মিলেছে রুলার বা স্কেলের নমুনা। এমনকি ২ মিলিমিটারের থেকেও ছোট স্কেল পাওয়া গিয়েছে।
ওজন মেশিন: হ্যাঁ, এই মেশিনও তৈরি হয় ভারতেই। ২৪০০ খ্রিস্টপূর্বে ওজন মাপার যন্ত্রের উপস্থিতির কথা জানা যায়। বাণিজ্যের জন্যই এগুলি ব্যবহার করা হত।
প্লাস্টিক সার্জারি: ঐতিহাসিকরা বলেন, ২০০০ খ্রিস্টপূর্বে ভারতই আবিষ্কার করেছিল শল্যচিকিৎসার এই বিশেষ দিক, প্লাস্টিক সার্জারি। সুশ্রুতকেই এই শল্যচিকিৎসার জনক বলা হয়। তাঁর বই থেকেই এই চিকিৎসা পদ্ধতি ছড়িয়ে যায় ইউরোপ সহ অন্যান্য প্রান্তে।
চোখের সার্জারি: ভারতেই প্রথম হয় ক্যাটারাক্ট সার্জারি নামে চোখের এক বিশেষ ধরনের অপারেশন। ‘জবামুখী শলাকা’ নামে এক বিশেষ যন্ত্রে করা হত এই অপারেশন। এই সার্জারি শিখতে একসময় ভারতে এসেছিল গ্রিক বিজ্ঞানীরাও। এমনকি চিনও ভারতের কাছ থেকেই শিখেছিল এই সার্জারি।
পৃথিবীর প্রদক্ষিণ: ভারতীয় গ্রন্থ সূর্য সিদ্ধান্তে ৬০০ থেকে ৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে লেখা হয়েছিল, পৃথিবী সূর্যকে ঘুরে আসতে ঠিক কতটা সময় নেয়। নিখুঁত হিসেবটা ছিল ৩৬৫.২৫৬৩৬২৭ দিন। আধুনিককালে যে হিসেব করা হয় তার সঙ্গে এই হিসেবের মাত্র ১.৪ সেকেন্ডের তফাৎ ছিল। কয়েক হাজার বছর আগেও এতটাই নিখুঁত হিসেব দিয়েছিল ভারতীয়রা।