প্রশ্নঃ জাকির নায়েক কী একজন ডাক্তার ?

❌🐏❌ প্রসঙ্গঃ জাকির নায়েক কোন ডাক্তার নন বরং টিভি সম্প্রচার, মোবাইল ও সিডি-ডিভিডি ব্যবসার মাধ্যমে মুসলিমদের থেকে বিপুল অর্থ লুটপাট করা একজন ভণ্ড ধর্ম-ব্যবসায়ী ❌🐏❌

👉 প্রশ্নঃ জাকির নায়েক কী একজন ডাক্তার ?

উত্তরঃ জাকির নায়েক কোনভাবেই একজন ডাক্তার নন।

১) উইকিপিডিয়া এবং জাকির নায়েকের সাইট IRF থেকে জাকির নায়েকের জীবনী থেকে জানা যায় –

Zakir Naik was born in Mumbai, Maharashtra, India. He attended Kishinchand Chellaram College and studied medicine at Topiwala National Medical College & BYL Nair Charitable Hospital and later the University of Mumbai, where he obtained a Bachelor of Medicine and Surgery (MBBS).

সূত্রঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Zakir_Naik#Biography

অর্থাৎ,

ক) জাকির নায়েক টুপিওয়ালা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও বিওয়াইএল নায়ার দাতব্য হাসপাতাল থেকে মেডিসিনে পড়াশোনা করেন এবং

খ) পরবর্তীতে মুম্বাই ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
যা সম্পূর্ণ মিথ্যে।

👉 প্রশ্নঃ কেন মিথ্যে ?

উত্তরঃ কারণ

১) মেডিকেল শিক্ষার ধারাক্রমঃ আগে এমবিবিএস বা ব্যাচেলর ডিগ্রি, পরে মেডিসিন (কিংবা সার্জারি/গাইনী-অবস) এর মাস্টার্স বা উচ্চতর ডিগ্রি। এমবিবিএস ব্যাচেলর বা আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি যেখানে ৫ বছরের শুধু মেডিসিন নয় বরং অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, এমব্রায়োলজি, হিস্টোলজি, ফার্মাকোলজি, প্যাথলজি, ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি, কমিউনিটি মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি, ইএনটি, অফথ্যালমোলজি, গাইনোকলজি ও অবস্টেট্রিকস পড়তে হয়। পক্ষান্তরে মেডিসিন/সার্জারি/গাইনী-অবস এবং এদের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো – এগুলো স্পেশালাইজড তথা মাস্টার্স ডিগ্রি। ফলে কেউ যদি চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করেন তবে তাকে প্রথমে এমবিবিএস পাস করতে হবে এবং তারপর মেডিসিন/সার্জারি/গাইনী-অবসের কোন না কোন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। অথচ উইকিপিডিয়া মতে, জাকির নায়েক আগে মেডিসিনে পড়াশোনা করেছেন আর পরে এমবিবিএস করেছেন অর্থাৎ আগে মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়েছেন আর পরে ব্যাচেলর ডিগ্রি নিয়েছেন যা সম্পূর্ণ অবাস্তব, উদ্ভট ও হাস্যকর তথা নির্জলা মিথ্যে।

২) জাকির নায়েকের সাইট ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন ডট নেট মোতাবেক – তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অফ মুম্বাই থেকে যা মিথ্যে। কেননা, ইউনিভার্সিটি অফ মুম্বাই এমবিবিএস ডিগ্রি দেয় না যার প্রমাণ তাদের নিজেদের সাইটেই বিদ্যমান যেখানে এর সায়েন্স ফ্যাকাল্টিতে এমবিবিএস অনুপস্থিত।

সূত্রঃ http://mu.ac.in/portal/faculties/science

৩) টুপিওয়ালা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ একটি মেডিকেল কলেজ, কোন মেডিকেল ইউনিভার্সিটি নয়। মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস পড়ানো হয় যেখানে অনেকগুলো বিষয়ের মধ্যে মেডিসিন ১টি এবং এমবিবিএসে মেডিসিনের শুধুমাত্র বেসিক বিষয়গুলোই পড়ানো হয়। পক্ষান্তরে, এমবিবিএস হয়ে গেলে চান্স পাওয়ার ভিত্তিতে মেডিসিন, সার্জারি, গাইনী-অবসের কোন শাখায় যদি কেউ উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চান তবে সেটি নিতে হয় মেডিকেল ইউনিভার্সিটি থেকে। ফলে, জাকির নায়েক কোনভাবেই কোন মেডিকেল কলেজ থেকে মেডিসিন বিষয় ডিগ্রি নিতে পারেন না অর্থাৎ এটি একটি চরম মিথ্যাচার।

৪) টুপিওয়ালা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ইউনিভার্সিটি অফ মুম্বাইয়ের সঙ্গে অ্যাফিলিয়েটেড বা সংযুক্ত নয় বরং মহারাষ্ট্র ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সের সঙ্গে সংযুক্ত যার প্রমাণ টুপিওয়ালা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সাইট থেকেই দেওয়া হলো –

Name of Affiliating University:  Maharashtra University of Health Sciences, Nashik.

সূত্রঃ http://www.tnmcnair.com/home/about.html

৫) এছাড়া ইউনিভার্সিটি অফ মুম্বাইয়ের সাইট থেকেও দেওয়া যায় তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অ্যাফিলিয়েটিং কলেজের পূর্ণ তালিকায় টুপিওয়ালা কিংবা অন্য কোন মেডিকেল কলেজেরই নাম নেই।

সূত্রঃ http://mu.ac.in/portal/wp-content/uploads/2012/01/Updated-All-College-List-with-Course-Detailss.pdf

উইকিপিডিয়ায় উল্লেখিত তথ্যটি নেওয়া হয়েছে জাকির নায়েকের সাইট আইআরএফ ডট নেট সাইটের জাকির নায়েক বায়োগ্রাফি – পেইজটি থেকে যা এক নজর দেখলেই বোঝা যায় যে অত্যন্ত চালাকির সঙ্গে জাকির নায়েক তার শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলেন নতুবা সেখানে বিস্তারিত উল্লেখ থাকতো

সূত্রঃ https://web.archive.org/web/20100106064624/http://www.irf.net/index.php?option=com_content&view=article&id=120&Itemid=74

বর্তমানে এই সাইটটিই আর সচল নেই, সাইটটি ব্রাউজ করলে লেখা আসে – অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ডেড।

সূত্রঃ http://www.irf.net

তবে এই সাইটের সমস্ত তথ্য আর্কাইভ করা আছে যার ১টি লিংক ওপরেই দেওয়া হয়েছে।

জাকির নায়েকের পিস টিভির টেলিভিশন সাইটেও জাকির নায়েকের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিস্তারিত লেখা নেই, শুধুমাত্র লেখা আছে – A medical doctor by professional training

A medical doctor by professional training, Dr Zakir Naik is renowned as a dynamic international orator on Islam and Comparative Religion.

সূত্রঃ http://www.peacetv.tv/en-gb/speakers/dr-zakir-naik

👉 সিদ্ধান্তঃ সব কটি পয়েন্ট পর্যবেক্ষণ করার পর এটি পানির মত পরিষ্কার যে জাকির নায়েক কোন ডাক্তার নন বরং চরম ভণ্ড একজন ব্যক্তি। নিজেকে ডাক্তার হিশেবে দাবি করে তিনি সম্পূর্ণই মিথ্যাচার করেন।

এছাড়া, দীর্ঘদিন জাকির নায়েকের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যদি লক্ষ করে থাকেন তবে আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে –

১) ডাক্তারি পোশাক বা অ্যাপ্রন পরিহিত অবস্থায় মেডিকেল কলেজে কিংবা হাসপাতালের ওয়ার্ডে জাকির নায়েকের কোন ছবি নেই

২) কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালে ডাক্তারিরত অবস্থায় জাকির নায়েকের কোন ছবি নেই

৩) যেই ব্যক্তিকে তোতাপাখির মত সবকিছু গড়গড় করে বলে যেতে দেখা যায়, তার তো মেডিকেল সায়েন্সের সবকিছুই যে কারো থেকে দ্রুত মুখস্ত করে ফেলার কথা তথা এমবিবিএস ও উচ্চতর বিষয়ে রেকর্ড নম্বর পেয়ে ১ম স্থান অধিকার করার কথা ! আর এমন হলে পত্রিকাতেও কৃতি ছাত্র হেডলাইনে সেটি অবশ্যই আসতো। কিন্তু এমনটি হলো না কেন আর জাকির নায়েকই বা দম্ভভরে এমন ঘোষণা কখনো করলেন না কেন ?

আসুন এবার একটু নিজেদের কমন সেন্স ব্যবহার করে দেখি। ধরুন, আজকে যারা মেডিকেল সায়েন্সে গবেষণা করছেন, বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি কিংবা ঔষধ আবিষ্কার করছেন, তারা নিশ্চিতভাবেই মেডিকেল সায়েন্স কিংবা এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য সাবজেক্টে পড়াশোনা করেছেন যেমন বায়োকেমিস্ট্রি কিংবা মাইক্রোবায়োলজি কিংবা প্যাথলজি কিংবা ফার্মেসি ইত্যাদি। একইভাবে যিনি কম্পিউটার সায়েন্সের গবেষক, তিনি কম্পিউটার সায়েন্স বা তার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়সমূহ নিয়েই পড়াশোনা করে এসেছেন। নিশ্চিতভাবেই মেডিকেল গবেষক কম্পিউটার সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডে পড়াশোনা করেননি কিংবা কম্পিউটার গবেষক মেডিকেল সায়েন্সে পড়াশোনা করেননি। অর্থাৎ,

যিনি যেই সাবজেক্ট বা যেই ব্যাকগ্রাউন্ড কিংবা ডিসিপ্লিন থেকে আসেন, তিনি সেই বিষয়েই সম্যক জানেন বা সেই বিষয়েই দক্ষ হন।

জাকির নায়েক যদি ইসলাম নিয়েই দিনরাত চর্চা করেন আর সেই বিষয়ে তাকে টেলিভিশনে একদম তোতাপাখির মত গড়গড় করে সব বলে যেতে দেখা যায় তবে নিশ্চিতভাবেই জাকির নায়েক কোরান হাদীস নিয়ে সম্যক জানেন বা সুদক্ষ – এটাই সকলের ধারণা হয়।

তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায়, যিনি কোরান হাদীস নিয়ে এত কিছু বলেন, তিনি কেন আজ পর্যন্ত ১টি কিছুও আবিষ্কার করতে পারলেন না ? তাহলে কী এটাই প্রমাণিত হয় না যে, কোরান বিজ্ঞানময় কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যে তথা কোরানে বিজ্ঞানের ‘ব’ টাও নেই ?

👉 জঙ্গিবাদ প্রচার ও প্রসারের মূল বুদ্ধিদাতা জাকির নায়েক আজ পলাতক আসামী

পৃথিবীর সবচেয়ে নামকরা ডিকশোনারী অক্সফোর্ড ডিকশোনারী থেকে আমরা দেখি

Terrorist: A person who uses unlawful violence and intimidation, especially against civilians, in the pursuit of political aims: four commercial aircraft were hijacked by terrorists a suspected terrorist

সূত্রঃ http://www.oxforddictionaries.com/definition/english/terrorist

পক্ষান্তরে জাকির নায়েক বলেন –

Every Muslim should be a terrorist. A terrorist is a person who causes terror. The moment a robber sees a policeman he is terrified. A policeman is a terrorist for the robber. Similarly every Muslim should be a terrorist for the antisocial elements of society, such as thieves, dacoits and rapists. Whenever such an anti-social element sees a Muslim, he should be terrified. It is true that the word ‘terrorist’ is generally used for a person who causes terror among the common people. But a true Muslim should only be a terrorist to selective people i.e. antisocial elements, and not to the common innocent people. In fact a Muslim should be a source of peace for innocent people.

সূত্রঃ http://www.thecommentator.com/ckeditor_assets/attachments/333/en_common_questions.pdf

“প্রত্যেক মুসলিমের সন্ত্রাসী হওয়া উচিত” সংবলিত জাকির নায়েকের বক্তৃতার ভিডিওঃ

ডিকশোনারীতে দেওয়া সংজ্ঞানুসারে,

১) টেররিস্ট কখনোই ভালো/ইতিবাচক/পজেটিভ নয় বরং খারাপ/নেতিবাচক/নেগেটিভ কারণ সেই ব্যক্তি ব্যবহার করে – unlawful violence and intimidation ফলে টেররিস্ট কখনো ভালো মানুষ হতে পারে না অথচ জাকির নায়েক বিভিন্ন গোঁজামিল দিয়ে টেররিস্টদের ভালো বলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন।

২) টেররিস্ট সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করে – especially against civilians

অথচ জাকির নায়েক বলেন – টেররিস্ট হতে হবে চোর, ডাকাত আর ধর্ষকের বিরুদ্ধে। সুতরাং, টেররিজম বা জঙ্গিবাদকে সমর্থন করতে জাকির নায়েক ডিকশোনারীর সংজ্ঞাটাই পুরো ১৮০ ডিগ্রি উল্টো করে ফেলেছেন। নিজের মনমত অপব্যাখ্যা করে তরুণ সমাজকে টেররিস্টের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ব্রেইন ওয়াশ করতে চেয়েছেন। পুলিশের যেই সংজ্ঞা, তাতে পুলিশকে কেউ টেররিস্ট বলে না। আর বাস্তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অনেক পুলিশ দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার পরও তাদের কেউ টেররিস্ট বলে না কেননা টেররিস্টের অর্থ আলাদা। সুতরাং, পুলিশকে টেররিস্ট হিসেবে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা জাকির নায়েকের গোঁজামিল দেওয়া অপব্যাখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়।

👉 প্রশ্নঃ জাকির নায়েক আর তালেবান/আইসিসের মধ্যে পার্থক্য কী ?

উত্তরঃ

জাকির নায়েক জঙ্গিবাদ প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে মূল বুদ্ধিদাতা যাকে বলা যেতে পারে – Think Tank or Intellectual of Islamic Terrorism

পক্ষান্তরে, তালেবান/আইসিস হলো জাকির নায়েক প্রচারিত জঙ্গিবাদের উস্কানি বাস্তবে তামিল করার কর্মীবাহিনী যাদের বলা যায় – Activists or Executioners of Terrorist Activities।

অর্থাৎ, জাকির নায়েক হচ্ছেন ভালোমানুষের মুখোশে জঙ্গিবাদের মুখ্য নেতা আর তালেবান/আইসিসরা হলো জাকির নায়েকের উস্কানি তামিল করা শিষ্য।
একটি গাছের মূল হচ্ছে তার শেকড়। ডালপালা কেটে দিলে গাছটি পুনরায় ডালপালা বিস্তার করতে পারে কিন্তু শেকড় কেটে দিলে গাছটি পুনরায় ডালপালা বিস্তার করতে পারে না।

ইসলামী জঙ্গিবাদ নামক গাছটির শেকড় হচ্ছেন জাকির নায়েক আর ডালপালা হচ্ছে তালেবান/আইসিস। ফলে, শুধু তালেবান/আইসিসদের গ্রেফতার করলে বা দমন করলে কোনো লাভই হবে না। ধরতে হবে এই জঙ্গিবাদ নামক গাছটির শেকড় জাকির নায়েককে। জাকির নায়েককে গ্রেফতার করতে পারলে অটোমেটিক জঙ্গিবাদের উস্কানিতে বিভ্রান্ত হওয়া তরুণসমাজ অনেকাংশে কমে যাবে। জঙ্গিবাদের মহাপতন ঘটবে। সকলে দেখুন ছবিতে – জাকির নায়েক আজকাল মোবাইল ব্যবসা করা শুরু করেছে। সস্তা মোবাইলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং করে কিছু জাকির নায়েকের ভিডিও আর কোরান হাদীসের পিডিএফ যুক্ত করে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি করছে !

ফলে, জঙ্গিবাদের ডালপালা টানাটানি করার আগে জঙ্গিবাদের শেকড় জাকির নায়েককে ধরা আজ সময়ের দাবী। তারই অংশ হিশেবে জাকির নায়েকের সন্ত্রাসবাদী মিডিয়া পিস টিভি ও ব্যবসায়িক সংস্থা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারকে বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় ব্যান করা হয়েছে।

👉 টিভি সম্প্রচার ও মোবাইল ব্যবসার মাধ্যমে অগাধ সম্পত্তির মালিক ধর্ম ব্যবসায়ী জাকির নায়েক

জাকির নায়েক ও তার ধর্ম-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও হারমোনি মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির নিম্নোক্ত ধারায় ১০৪ পৃষ্ঠা চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে –

295 A (for deliberate and malicious acts intended to outrage religious feelings of any class by insulting its religion or religious beliefs),

298 (for utterances (speeches) with deliberate intent to wound the religious feelings of any person) and

505-b (with intent to cause, or which is likely to cause, fear or alarm to the public, or to any section of the public whereby any person may be induced to commit an offence against the State or against the public tranquility).

সূত্রঃ https://www.indiatoday.in/india/story/what-nia-chargesheet-says-about-islamic-preacher-zakir-naik-1070836-2017-10-26

জাকির নায়েকের এখনো পর্যন্ত ১০৪ কোটি রুপির ১৯টি স্থানান্তর অযোগ্য সম্পত্তির প্রমাণ মিলেছে, অর্থাৎ টিভি সম্প্রচার, মোবাইল ও সিডি-ডিভিডি বিক্রি তথা ধর্ম ব্যবসার মাধ্যমে প্রকারান্তরে জাকির নায়েক মুসলিমদের কোটি কোটি টাকা লুট করেছেন। ধর্ম নিয়ে ভুলভাল অপপ্রচার তথা ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে এভাবে মুসলিমেরা দিনের পর দিন জাকির নায়েকের দ্বারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তথা প্রতারিত হয়েছেন অথচ সেই প্রতারককেই সরল বিশ্বাসে কোটি কোটি টাকা ডোনেশন দিয়ে গেছেন। ফলে, ভণ্ড ধর্মব্যবসায়ী জাকির নায়েকের মাধ্যমে ক্ষতি নাস্তিকদের যতটা, তার থেকে অনেক অনেক গুণ বেশি ক্ষতি মুসলিমদেরই হয়েছে।

টেলিভিশন সম্প্রচারের মাধ্যমে জঙ্গিবাদের পক্ষে উস্কানিমূলক প্ররোচনা দিয়ে জাকির নায়েক অনেক মুসলিম মায়ের কোল খালি করেছেন, তাদের সন্তানেরা পড়াশোনা, চাকরিবাকরি, ঘরসংসার ইত্যাদি ফেলে জঙ্গিবাদের এক উন্মত্ত জীবনসংহারী নেশায় নিজেদের ধ্বংস করেছে। নাস্তিক কিংবা সাধারণ মানুষ হয়তো হাতে গোনা কিছু মরছে কিন্তু মুসলিমদেরই এতে তুলনামূলকভাবে অনেক গুণ বেশি ক্ষতি হচ্ছে। কেননা এই লড়াইয়ে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনের পেছনে কাজ করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন ধ্বংস হয়নি কিন্তু ইতোমধ্যে আফগানিস্তান, ইরাক, মিসর, লিবিয়া, সিরিয়া, সোমালিয়া, ইয়েমেন, পাকিস্তান ধ্বংস বা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসলামী জঙ্গিবাদের এই মহাপরাজয় দেখে যেসব ইসলামিক তরুণ এই সর্বনাশা জঙ্গিবাদের প্রতি ঝুঁকেছিল, তারা ক্রমশ মোহমুক্ত হতে শুরু করেছে যে এই লড়াইয়ে তাদের জেতার কোন আশাই নেই, দুদিনের জোশিলা আস্ফালন দিয়ে আর যাই হোক আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী সন্ত্রাসবিরোধী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জেতা সম্ভব নয়।

সূত্রঃ https://en.wikipedia.org/wiki/War_on_Terror

👉 পরিশেষে, সকল মুসলিমদের জন্য আমি আমার নিচের প্রশ্নগুলো ছেড়ে গেলাম। পারবেন কী কোন মুসলিম এই প্রশ্নগুলোর তথ্য-উপাত্ত তথা যুক্তিপ্রমাণ সংবলিত যথাযথ উত্তর দিতে ?

১) জাকির নায়েক কোন মেডিকেল কলেজ থেকে কত সালে এমবিবিএস করেছেন ?

২) জাকির নায়েকের ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর কত ?

৩) মেডিকেল শিক্ষার্থী হিসেবে জাকির নায়েকের মেডিকেল পোশাকে কোনো ছবি বা ভিডিও কেউ দিতে পারবেন ?

৪) মেডিকেল ডাক্তার হিসেবে রোগী দেখারত অবস্থায় জাকির নায়েকের কোনো ছবি বা ভিডিও কেউ দিতে পারবেন ?

৫) জাকির নায়েক কী ম্যাট্রিক/ইন্টার/এমবিবিএস – কোন পরীক্ষায় ১ম স্থান বা কোনো স্থান অধিকার করেছিলেন ?

৬) জাকির নায়েক আজ পর্যন্ত মেডিকেল সংক্রান্ত মাত্র ১টি তত্ত্বও দিয়েছেন কী ?

৭) জাকির নায়েক এইডস, ক্যান্সার, ইবোলাসহ ১টি অসুখেরও কোনো প্রতিকারক আবিষ্কার করতে পেরেছেন কী ?

৮) জাকির নায়েক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো মেডিকেল বা নন মেডিকেল সংস্থা থেকে কোনো ধরনের স্বীকৃতি বা পুরষ্কার পেয়েছেন কী ?

👉 আশা করি, আস্তিকেরা জাকির নায়েকের মেডিকেল সনদপত্র, রেজিস্ট্রেশন সনদ এবং এগুলোর প্রমাণাদি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন লিংক, ছবি কিংবা ভিডিও নিয়ে হাজির হবেন কিন্তু আমি জানি, কোন মুসলিমই এই প্রশ্নগুলোর কোন সদুত্তর দিতে পারবেন না। 

তাহলে, প্রশ্ন দাঁড়ায়, জাকির নায়েক কী আসলেই ডাক্তার নাকি ডাক্তারের পরিচয় দিয়ে একজন ঠকবাজ প্রতারক ব্যক্তি ? উত্তর এতক্ষণে আপনারা সকলেই পেয়ে গেছেন।

❤️🙏💜 যেহেতু এটি ইসলামী জঙ্গিবাদের এই সময়ের সবচেয়ে বড় থিংক ট্যাংকের বিরুদ্ধে পোস্ট সেহেতু এই পোস্টে যারা যারা লাইক দেবেন, তারা সকলেই পোস্টটি নিজের টাইমলাইনে অবশ্য অবশ্যই শেয়ার করবেন – এমনটাই প্রত্যাশা রইলো।  সকলকে ধন্যবাদ। 💜🙏❤️