বেদ হিন্দুদের আদি ধর্ম গ্রন্থ ।পরবরতিতে এসেছে উপনিষদ বা বেদান্ত । উপনিষদ্গুলি মূলত বেদ-পরবর্তী ব্রাহ্মণ ও আরণ্যক অংশের শেষ অংশে পাওয়া যায় । এগুলি প্রাচীনকালে গুরু-শিষ্য পরম্পরায় মুখে মুখে প্রচলিত ছিল।দুশোরও বেশি উপনিষদের কথা জানা যায়। এগুলির মধ্যে প্রথম বারোটিই প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এগুলিকে “মুখ্য উপনিষদ” বলে । ব্রিটিশ কবি মার্টিন সেমোর-স্মিথ উপনিষদ্গুলিকে “সর্বকালের ১০০টি সবচেয়ে প্রভাবশালী বই”-এর তালিকাভুক্ত করেছেন।ফার্সি, ইতালিয়ান, উর্দু, ফরাসি, লাতিন, জার্মান, ইংরেজি, ডাচ, পোলিশ, জাপানি, স্প্যানিশ ও রাশিয়ান সহ বিভিন্ন ভাষায় উপনিষদ্ অনূদিত হয়েছে। মুঘল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে (১৫৫৬-১৫৮৬) উপনিষদ্ ফার্সিতে অনূদিত হয়।এটিই উপনিষদের প্রথম অনুবাদ।ফরাসি প্রাচ্যবিদ আব্রাহাম হায়াসিন্থ অ্যানকুটিন-দুপেরন ১৭৫৫ থেকে ১৭৬১ সাল পর্যন্ত ভারতে বাস করেছিলেন। ১৭৭৫ সালে তিনি ম জেন্টিলের কাছ থেকে উপনিষদের একটি পাণ্ডুলিপি পান এবং এটিকে ফরাসি ও লাতিনে অনুবাদ করেন। লাতিন অনুবাদখানি ১৮০২-০৪ সালে Oupneck’hat নামে দুই খণ্ডে প্রকাশিত হয়। ফরাসি অনুবাদটি প্রকাশিত হয়নি। ১৮৩২ সালে উপনিষদ্ প্রথম জার্মান ভাষায় অনূদিত হয় এবং ১৮৫৩ সালে রোরের ইংরেজি সংস্করণটি প্রকাশিত হয়। তবে ম্যাক্সমুলারের ১৮৭৯ ও ১৮৮৪ সালের সংস্করণ দুটিই উপনিষদের প্রথম প্রথামাফিক ইংরেজি অনুবাদ। এই সংস্করণদুটিতে মোট বারোটি মুখ্য উপনিষদ্ অনূদিত হয়। এরপর উপনিষদ্ দ্রুত ডাচ, পোলিশ, জাপানি ও রাশিয়ান ভাষায় অনূদিত হয়। বেদের গলিত সুপরিপক্ক ফল সরূপ শ্রীমদভাগবতম । বেদ ও বেদান্তের মন্থিত বিশুদ্ধ ভক্তির গ্রন্থ । তৎপরে ভাগবত সহ সমস্ত বৈদিক গ্রন্থ মন্থন করে আমাদের গোস্বামীগণ রচনা করেন ” ভক্তিরসাম্রিতসিন্ধু , লঘু ভাগবত , বৃহৎ ভাগবত , উজ্জ্বলনীলমণি , হরিভক্তি বিলাস আদি গ্রন্থ । ফুলের মধুর চেয়ে চাকের মধু যেমন সুস্বাদু , তেমন গোস্বামীগণের ভক্তি লালা মিশ্রিত হইয়ে এই গ্রন্থগুলো উন্নততর হইয়েছে । যে গ্রন্থগুলো মহাপ্রভু অনুমোদন দিছেন এবং পূর্বতর কোন বৈদিক গ্রন্থের সাথে বৈপরীত্ নয় । তৎপরে গদাধর পণ্ডিতের শিস্য ভূগর্ভ গোস্বামীর ২য় কলেবর শ্রীল কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী রচনা রচনা করলেন ” শ্রী শ্রী চৈতন্যচরিতামৃত ” । আমরা ৬ গোস্বামীর কথা বললেও যোগপিঠের গোস্বামী ৮ জন । রূপ – সনাতন – জীব – ভট্ট রঘুনাথ – গোপাল ভট্ট – দাস রঘুনাথ নামক ৬ গোস্বামী । আর ২ জনের একজন বাংলাদেশের মাগুরাতেiআবির্ভূত , প্রেমভক্তি মহারাজ শ্রীল নরোত্তম দাস ঠাকুরের গুরুদেব , ব্রজের মঞ্জুলালি মঞ্জুরি , মহাপ্রভুর শিস্য শ্রীল লোকনাথ গোস্বামী । অপরজন শ্রীল কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী । ফুলকে সুতা দিয়ে যেমন মালা গাথা হয় , তেমন মহাজন গন ভক্তি তত্ত্ব রূপ ফুলকে তাদের ভজন রূপ সুতা দিয়ে মালারুপে গ্রন্থ দিয়ে গেছেন । তৎপরে রাজশাহীর খেতুরিতে আবির্ভূত প্রেমভক্তি মহারাজ শ্রীল নরোত্তম দাস ঠাকুর সকল গ্রন্থ মন্থন করে রচনা করলেন ” প্রেমভক্তি চন্দ্রিকা ” যা গৌড়ীয় বৈষ্ণব জগতের সর্বশেষ রচিত গ্রন্থ । তৎপরে অনেকেই গ্রন্থের সংস্করণ করেছেন মাত্র । আমার লেখাটা হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে শিশুতুল্য জ্ঞান কিন্তু ভাবে পণ্ডিত জাকির নায়েককে হিন্দি বা ইংরেজি তে অনুবাদ করে পাঠালে উনার জ্ঞান ১ – ২ লাইন বাড়ত । উনি বুঝতে পাড়তেন ২ – ১ তা শ্লোক মুখস্থ করে অন্য ধর্মের পণ্ডিত হওয়া যায় না , ধর্ম নিয়ে বারাবারি করা ঠিক না । উনি বুজতেন অন্তরে হিংসা নিয়ে শান্তি সৃষ্টি করা যায় না । এতিমখানা চালানো রবিসঙ্করকে টাকা দিয়ে কেনা যায় , ধর্মপ্রান মানুষের অশ্রদ্ধার পাত্র হতে হয় ।