মুসলমান ইমাম এর চ্যালেঞ্জ মুকাবেলা করার মত কোনো হিন্দু সাহস পাচ্ছিল না।

একবার পাকিস্তানের করাচি তে এক মুসলমান ইমাম সারা বিশ্বের হিন্দুদের উপর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলল হিন্দুদের শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তারা তা আগুনে ফেলে দিক আর আমিও আমার ধর্মগ্রন্থ কোরআন আগুনে ফেলে দেবো । যাদের ধর্ম গ্রন্থ আগুন জ্বালিয়ে ফেলবে তাদের ধর্ম মিথ্যা প্রমানিত হবে এবং যার ধর্ম গ্রন্থ জ্বলবেনা তাদের ধর্ম সঠিক এবং সবাই তাদের ধর্ম বিশ্বাস করতে হবে।
.
মুসলমান ইমাম এর চ্যালেঞ্জ মুকাবেলা করার মত কোনো হিন্দু সাহস পাচ্ছিল না কারন সবার মনে ভয় ছিলো যে আগুনের কাজ হচ্ছে জ্বালানো আর শ্রীমদ্ভগবদ্গীত া তো হচ্ছে কাগজের উপর লেখা(ভগবান না করুক) যদি তা জ্বলে যায় তবে আমাদের ধর্ম মিথ্যা হয়ে যাবে। এই কঠিন চ্যালেঞ্জ এর সমাধান করার জন্যে এগিয়ে এলেন কাশ্মীরের প্রখ্যাত সাধু স্বামী ওম। তিনি বললেন আমি পারবো তোমার চ্যালেঞ্জ এর মুকাবেলা করার জন্যে। মুসলমান ইমাম বলিল ঠিক আছে অমুখ তারিখে আসবেন আপনার ধর্মগ্রন্থ নিয়ে আর আমি আমার ধর্মগ্রন্থ নিয়ে আসব।

একদিকে হিন্দুদের মন ভীষন ভারি অন্য দিকে মুসলমানদের মুখে হাসি,যেই স্থানে জ্বালানো হবে সেখানে বিশাল জনতার ঢল।
প্রথমে মুসলমান ইমাম বলল আপনারশ্রীমদ্ভগবদ্গীতা আগুনে ফেলে দেন।
.
এ কথা শুনার পর স্বামী ওম বললেন! হে ইমাম তোমার কি ধর্মেরপ্রতি মায়া নেই, তোমার মত কি আমাদের ধর্মেগ্রন্থ আগুনে ফেলে দেব ! যদি তোমার সাহস থাকে তাহলে তুমিই তোমার ধর্মীয় গ্রন্থেবুকে নিয়ে আগুনে লাফ দিয়ে পড়ো আর আমিও আমার ধর্মীয়গ্রন্হ বুকে নিয়ে আগুনে ঝাপ দিব। যার শরীর আগুনে জ্বালিয়ে দেবে তার ধর্ম মিথ্যা বলে প্রমানিত হবে।এ কথা মুসলমান ইমাম শুনার পর তার মাথা নিচু হয়ে গেল, তার বড় স্বরে কোনো কথা নেই সে চুপচাপ চলে যায়,
.
পরবর্তীতে জানা যায় ঐ কোরাআন এর প্রত্যেক পাতায় ফ্যেমিকনজাতীয় পদার্থ লাগানো ছিলো যা আগুনে জ্বালাতে পারেনা, কিন্তু তার কুচক্র সফল হয়নি ভগবান তার ভক্তর মান রাখলেন।
.
আর মজার কথা তার শরীরে তো আর ফ্যেমিকন লাগানো ছিলো না তাই সে আগুনে পড়তে ভয় পেল আর স্বামী ওম মনে করলেন আমার জীবনের চেয়ে আমার ভগবানের সম্মান হাজার হাজার গুনে উত্তম তাই ভগবানের সন্মান বাঁচাতে গিয়ে যদি আমার জীবন চলে যায় তাতে কিছু আসে যায় না।’ কারণ আমার জীবনের চেয়ে পবিত্র শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার মর্যাদা অনেক বেশী… ভগবান আমাদেরকেও।