অন্তিমে যোগেন্দ্র মণ্ডলের অভিসন্ধির ইতিহাস আমি খুব ভালোমতোই জানি।

লিখেছেন Sumit Bhattacharya:

খুব স্পষ্ট করেই বলি, বাঙালি বলতে যদি বর্তমানে ধর্মবর্ণজাতী সকল কিছু উর্দ্ধে রেখে যদি কেবল মাত্র দুই বঙ্গের সকল বাংলা ভাষাভাষীর মানুষদেরই বাঙালি বলে চিহ্নিত করে, বা অন্যকোন ব্যাখ্যা দ্বারা বাঙালি জাতী ব্যাখ্যাকরণ হয়, যাইহোক না কেন। আমার অন্তরে বাঙালির অস্তিত্বের থেকে অনেক বৃহৎ আকারে ভারতীয় অস্তিত্বের উপস্থিতি আমাকে অধিক আনন্দিত করে আমার পূর্বপুরুষদেরই মত। আমি একজন গর্বিত ভারতীয় বাঙালি, ভারত শব্দ বাদ দিয়ে যার অস্তিত্ব শূন্য।

আমাকে অকারণ ভারত থেকে পৃথক হয়ে বাঙালির আলাদা জাতীয়তাবাদের গল্প শুনিয়ে লাভ নেই, কারণ ১৯৪৭ সালেই আমার পূর্বপুরুষ অখণ্ডবাঙলা, ঐক্যবদ্ধ বাঙালি সমাজের আসল মুখোশের অন্তরালে কি গল্প আছে তা খুব ভালো ভাবেই অনুভব করে গেছেন।

আমার পূর্বপুরুষদের মধ্যে অনেকেই দেশভাগের কারণে নিজের বাংলাভাষী ভাইদের বিশ্বাস করে অভারতীয় হয়েছিল এবং তার ফল স্বরূপ যেটা পেয়েছিল সেইটা মনে হয় মানব সভ্যতার বৃহত্তর গণহত্যা, যা সংগঠিত করেছি বাংলা ভাষী মানুষেরাই। হ্যাঁ আমি সেই বাঙালি যার হত্যাকারীরা বা ধর্ষণকারীও তথাকথিত বাঙলাভাষী বাঙালিই ছিল, কোন হিন্দি,তামিল, তেলেগুভাষী আমার পূর্বপুরুষদের উপর কোনদিন অত্যাচার করেনি, যা অত্যাচারিত হয়েছি ইতিহাসের পাতায় সেটা এই বাংলাভাষীদেরই সৌজন্যেই।

তাই আমি তথাকথিত বিরাট বাঙালিদের ভালো করেই চিনি, শরৎ বসু থেকে শুরু করে হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী হয়ে, অন্তিমে যোগেন্দ্র মণ্ডলের অভিসন্ধির ইতিহাস আমি খুব ভালোমতোই জানি। আর কে বাঙালি, কে আমার বন্ধু, কে শত্রু সেটাও বোঝবার ক্ষমতা আমার জন্মগত আছে কারণ আমি জন্মগত রিফুজি। অখণ্ড বাংলা, বিশাল বাংলা এইসব হুসেন শাহের স্বপ্ন আমাকে দেখিয়ে লাভ নেই বৎস, চেপে যাও।