কক্সবাজারে হিন্দুদের জায়গা দখল করে আল্লার ঘর মসজিদ বানাতে চেয়েছিলো। কিন্তু কাফেররা তাতে বাধা দিয়েছিলো।

বাংলাদেশে ইহুদী সম্প্রদায়ের কোন অস্তিত্ব নেই। তবে খ্রিস্টান আছে। তাদের কেমন লেগেছে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের কথা শুনে? মন্ত্রী বাহাদুর গতকাল ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে দাবী করেছেন, …বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা হওয়ার পর ধারণা করা হতো আলেম ওলামা ও মাদরাসার ছাত্ররা করেছে। পরবর্তীতে দেখা গেছে এটা ঠিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা ইহুদি খ্রিষ্টানদের পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে এটা করেছে।

প্রকাশ্য ইহুদী-খ্রিস্টান হিন্দুদের নিযে বিদ্বেষ-ঘৃণা প্রকাশ করে ওয়াজ-নছিহত করে, মাইক বাজিয়ে আখেরি মুনাজাতে ইহুদীনাসারাদের মন্ডুপাত করেও যেমন ওলামা-মাশায়েখরা উল্টো নিজেদের বিরুদ্ধে মুসলিম বিদ্বেষের শিকার হবার দাবী করেন তেমনি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির দাবী করে হিন্দুদের মালাউন (নাসিরনগর ঘটনার সময় আরেক মন্ত্রী), ইহুদী-খ্রিস্টানদের সন্ত্রাসের মদদদাতা হিসেবে ঘৃণা ছড়ান কোন অস্বাভাবিকতা নয়। বেকায়দায় পড়লে হুজুররা যেমন আরেক হুজুরের সঙ্গে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই বলে দাবী করেন, তেমন করেই চাটার দল এখন দাবী করবে মন্ত্রীর কথার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোন সম্পর্ক নাই!…

রানা দাসগুপ্ত দাবী করেছেন, আওয়ামী লীগ নেতারা হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করে নিচ্ছে এবং এটা থামাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এখন রানা দাসগুপ্তর বাবা রাজাকার ছিলো কিনা এটা খোঁজা দরকার। তার যে বিন্দু পরিমাণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি কোন আনুগত্য নাই, তিনি যে ভারতের র’ হয়ে দালালী করছেন, মোসাদের হয়ে চক্রান্ত করছেন- অনলাইন ছাগু ফাইটাররা চেষ্টা করলে ঠিক বের করে ফেলতে পারবে। কম দুঃখে তো আর মন্ত্রী ছাইদুল বলে নাই ‘মালাউনরা বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলছে! কিছু হলেই দেখা যাচ্ছে হিন্দুরা হৈ চৈ করে মিডিয়ার সামনে সব ফাঁস করে দিচ্ছে। আজকে খবর পেলাম বক্সবাজারে হিন্দুদের বাড়ি মন্দির ভাংচুর করে, লুটপাট করেছে নুরু বাহিনী নামের কারা যেন। নুরু হিন্দুদের জায়গা দখল করে আল্লার ঘর মসজিদ বানাতে চেয়েছিলো। কিন্তু কাফেররা তাতে বাধা দিয়েছিলো। ফলশ্রুতিতে শান্তি নেমে এসেছে অবধারিতভাবে। নুরু নামটি আরবী হলেও এর সঙ্গে মুসলমানদের যেমন কোন সম্পর্ক নেই তেমনি নুরু বাহিনী ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় থাকলেও তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোন সম্পর্ক নাই। দেশের সাম্প্রদায়িক হামলা, নির্যাতন এসবের পিছনে মালাউনদের বাড়াবাড়ি এবং ইহুদী-খ্রিস্টানদের যড়যন্ত্রই দায়ী।

সর্বশেষ মিশরে মসজিদে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০৫। এরমধ্যে ২৭ জন শিশুও রয়েছে। সম্ভবত খুব শ্রীঘ্রই ঘোষণা দিতে হবে, শিশুদের মসজিদে আনবেন না। কারণ মসজিদে হামলা চলতেই থাকবে। এটি নতুন কিছু নয়। আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে নবী মুহাম্মদের নির্দেশে সাহাবীরা মদিনার ‘মুনাফিকদের মসজিদ’ গুড়িয়ে দিয়েছিলো। এটা করতে গিয়ে ঠিক কতজন মুনাফিক মুসলমান মারা গিয়েছিলো তার অবশ্য কোন উল্লেখ নেই। মিশরে সুফি মসজিদ কিন্তু অপর মুসলমানদের কাছে ‘মুনাফিকদের মসজিদ’ ছিলো। মতে দ্বিমত হলেই সে ‘মুনাফিক’ হয়ে যায় মুসলমানদের কাছে। যাই হোক, মিশরের হামলার পুরো বর্ণনা হাতে পেয়ে এই হামলার সঙ্গে আমি হুবহু হাদিসের বর্ণনার মিল পেয়েছি। ইচ্ছা আছে সেটা নিয়ে একটা লেখা লিখি…।