নিখরচায় পড়াশোনা, খাওয়া দাওয়া, আশ্রয় দেওয়ার লোভ দেখিয়ে গরিব ঘরের বাচ্চাদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে সরগরম তেলঙ্গানা। দশজন অভিযুক্তের মধ্যে ৯ জনকে এ ব্যাপারে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে আছে মূল অভিযুক্ত মহম্মদ সিদ্দিকি ওরফে সত্যনারায়ণ। পুলিশ সূত্রের খবর, ভদ্রাচলম, মেহবুবনগর, খাম্মাম, ওয়ারাঙ্গলের প্রত্যন্ত গ্রাম, গ্রামাঞ্চলের বাবা-মায়েদের টোপ দিয়ে সিদ্দিকি, তার সঙ্গীরা বোঝাত, তাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা, থাকাখাওয়ার সুযোগ পাবে, কোনও পয়সা লাগবে না। এসিপি (মালকাজগিরি) জি সন্দীপ বলেন, ওরা বাচ্চাদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করত, যদিও নাম বদল করত না। ওদের উর্দু, আরবি পড়ানো হত। যত বেশি সম্ভব বাচ্চার ধর্ম বদল করা লক্ষ্য ছিল ওদের।
চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির অভিযোগ পাওয়ার পর মৌলা এলাকার একটি স্বীকৃতিহীন স্কুল থেকে সাতটি মেয়ে সহ ৪ থেকে ১৫ বছর বয়সি ১৭ টি বাচ্চাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওদের ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। সেখান থেকে ইসলামি প্রচারপত্রও উদ্ধার হয়। সিদ্দিকি নিজেও ২০০৩-২০০৪ সালে ধর্ম বদলে ইসলাম গ্রহণ করে, ওয়ারাঙ্গলে পিস অরফ্যান সোসাইটি নামে একটি সংস্থা খোলে, গত বছর থেকে হায়দরাবাদে একটি আবাসিক স্কুলও চালানো শুরু করে বলে জানান এসিপি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ (ধর্মের ভিত্তিতে গোষ্ঠী বিভাজন তৈরি ), ৩৬৩ (অপহরণ) , ৩৪২ ( অন্যায় ভাবে আটকে রাখা) ধারা ও তফসিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনের নানা ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তরা বিদেশ থেকে অর্থ পেত বলেও জানান এসিপি।
এদিকে বিজেপি এ নিয়ে শাসক দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি পরিচালিত রাজ্য সরকারের কাছে এহেন ধর্মান্তকরণ রুখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, জানতে চেয়েছে। স্বীকৃতিহীন হোম, অনাথ আশ্রমের কারবার বন্ধ করা সুনিশ্চিত করতে সরকার কী করছে, তাও জানানোর দাবি করেছে বিরোধী দলটি। তেলঙ্গানা বিজেপি বলেছে, এ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে রাজ্যকে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জবাব দিন। Rezaul Manik