স্বাধীনতা দিবস…? না … স্বাদ-হীনতা দিবস?? আজ ১৫ই আগস্ট, .. ভারতবর্ষের আমাদের স্বাধীনতা দিবস। তাই তো ? স্কুলের বাচ্চারা স্কুলে গিয়ে শিখবে .. আজ থেকে ৭০ বছর আগে এই দিনেই ব্রিটিশদের তাড়িয়ে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন গান্ধী ও নেহেরু। সস্তার লজেন্স মুখে পুরে … তারা শিখবে, … ৮০০বছর মুসলমানের গোলামী করলেও আজও তারা আমাদের ভাই .. অথচ প্রায় ২০০ বছর রাজত্বকারী ব্রিটিশ আমাদের শত্রু। কিন্তু এরই পাশাপাশি, বার কয়েক হয়তো নেতাজী বা ক্ষুদিরামের নামও উল্লেখিত হবে। .. মাইকের নিরবিচ্ছিন্ন উৎকট অমাইক চিৎকারে পাড়া মাথায় তুলবে “ এ্যয় মেরে প্যায়ারে ওতন … আর লতার গান.. বন্দেমাতরম” – এই সারাদিন ধরে চলতে থাকবে। আর বাংলা বলতে ক্যালক্যাটা ইউথের গন সঙ্গীত। … সক্কাল সক্কাল “মুরগী পাঁঠার” দোকান আর দুপুর থেকে বিরিয়ানির দোকানের কর্মচারীদের একদিন নাভিশ্বাস ওঠার যোগাড় হবে। … পাড়ায় পাড়ায় ফুটবল টুর্নামেন্টের ধুম পড়বে, … – …কত্তো লাচা হবে … গানা হবে … একটু লাল জল খেয়ে হিটকি ধরে পড়ে থাকতে দেখা যাবে। মদ্দা কথা .. আজ আমাদের ভীষণ আনন্দের দিন। আজ স্বাধীনতা দিবস। সত্তর বছর আগে ঠিক এই দিনটিতেই ইংরেজদের হাত থেকে শাসনক্ষমতার রাশ ভারতীয়দের হাতে সমর্পিত হয়? … তাই তো? …. লক্ষ করে দিখুন…. আপনার – আমার বাচ্চাটিও হয়তো ঠিক এই পরিমন্ডলেই ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে। এরই নাম কি স্বাধীনতা? … ওহে মুর্খ … বাঙালী হিন্দুর দল। এই যে তোমরা আজ প্রায় জামা কাপড় খুলে আনন্দে ধেই ধেই করে নাচছো? যারা আজ স্বাধীনতা উদযাপন করছো, … তোমাদের কি একবারও মনে হয় না যে, … এই দিনটিতে (১৫ আগস্ট) আর যাই হোক বাঙালী হিন্দুর আনন্দ করা কখনোই সাজে না! কেন? … হঠাৎ কেন এমন বিচার? কারন …এই দিনটি ছিল বলেই … আজ আমার পিঠে … “উদ্বাস্তুর তকমা”, বাঙালী হিন্দুর সাত পুরুষের বাস্তু ভিটা …ফেলে রেখে লক্ষ লক্ষ- হিন্দু মহিলার ইজ্জত বিসর্জন দিতে হয়েছে; যা এক পরিপুর্ন সভ্যসমাজের সম্পূর্ণ পরিপন্থী …।। … এই দিনটিতেই আরবের দস্যুরা ভারত মাতাকে তিন খণ্ড করে রক্তাক্ত করেছে। ‘পাকিস্তান আর বাংলাদেশকে’ পরিণত করেছেন মুসলমানের সিঙ্গল এ্যকাউন্টে, অথচ ভারতের ক্ষেত্রে তা হয়েছে .. ‘হিন্দু মুসলমানের জয়েন্ট এ্যকাউন্ট’। এই দিনটার জন্যেই আজ বাংলাদেশে হিন্দু কমে ৮%, আর পাকিস্থানে ১%এরও কম। আজও হিন্দুদের উদ্বাস্তু হতে হচ্ছে, কেবলমাত্র ঐ কালা দিনটির সৃষ্টির কারনেই। তাহলে এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন …. আমার প্রতিবাদটা ঠিক কোন জায়গায়? … কিন্তু মনে প্রশ্ন হয় … এভাবে আর কতদিন? যত হাঁসি, তত কান্না … বলে গাছেন রামশর্মা……।। হাঁসি তো অনেক হল ভাই,… সামনে কিন্তু এবার সত্যিই ভয়ঙ্কর বিপদ এগিয়ে আসছে। অতয়েব সাধু সাবধান! তাই … এইদিনে আমাদের মৌজ মৌস্তি করা মোটেও শোভনীয় নয়। বরং এই নির্দিষ্ট দিনেই সঙ্কল্প গ্রহণ করা উচিৎ, অন্যায় ভাবে দখল করা হিন্দু ভুমি পুনরাধিকারের…।। পাশাপাশি… এই দিনটিকে চাইলে সারা ভারত .. তাদের নিজেদের মতন করে পালন নিশ্চয়ই করতে পারেন। কারন তারা উদ্বাস্তু হবার যন্ত্রণা ভোগ করেন নি। কিন্তু আমার মতে, বাঙালী হিন্দু …. অর্থাৎ “১৫ই আগস্টে স্বাধীনতা'র নামে, ওপার বাংলা থেকে অশেষ গ্লানি ভোগ করে আসা সর্বস্বান্ত ও নিঃসহায় নিরাপরাধ হিন্দু বাঙ্গালীর কাছে, হাজার হলেও কিছুতেই এই দিনটিকে আনন্দের দিন বলে মানতে পারা সম্ভব কি? … একি সত্যিই বাঙালী হিন্দুর কাছে এক মস্ত বড় স্বাদ-হীনতা নয়?

স্বাধীনতা দিবস…? না … স্বাদ-হীনতা দিবস??

আজ ১৫ই আগস্ট, .. ভারতবর্ষের আমাদের স্বাধীনতা দিবস। তাই তো ?
স্কুলের বাচ্চারা স্কুলে গিয়ে শিখবে .. আজ থেকে ৭০ বছর আগে এই দিনেই ব্রিটিশদের তাড়িয়ে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন গান্ধী ও নেহেরু। সস্তার লজেন্স মুখে পুরে …  তারা শিখবে, … ৮০০বছর মুসলমানের গোলামী করলেও আজও তারা আমাদের ভাই .. অথচ প্রায় ২০০ বছর রাজত্বকারী ব্রিটিশ আমাদের শত্রু। কিন্তু এরই পাশাপাশি,  বার কয়েক হয়তো নেতাজী বা ক্ষুদিরামের নামও উল্লেখিত হবে। .. মাইকের নিরবিচ্ছিন্ন উৎকট অমাইক চিৎকারে পাড়া মাথায় তুলবে “ এ্যয় মেরে প্যায়ারে ওতন … আর লতার গান.. বন্দেমাতরম” – এই সারাদিন ধরে চলতে থাকবে। আর বাংলা বলতে ক্যালক্যাটা ইউথের গন সঙ্গীত। …
সক্কাল সক্কাল “মুরগী পাঁঠার” দোকান আর দুপুর থেকে বিরিয়ানির দোকানের কর্মচারীদের একদিন নাভিশ্বাস ওঠার যোগাড় হবে। … পাড়ায় পাড়ায় ফুটবল টুর্নামেন্টের ধুম পড়বে, …
– …কত্তো লাচা হবে … গানা হবে … একটু লাল জল খেয়ে হিটকি ধরে পড়ে থাকতে দেখা যাবে।
মদ্দা কথা .. আজ আমাদের ভীষণ আনন্দের দিন। আজ স্বাধীনতা দিবস। সত্তর বছর আগে  ঠিক এই দিনটিতেই ইংরেজদের হাত থেকে শাসনক্ষমতার রাশ ভারতীয়দের হাতে সমর্পিত হয়? … তাই তো?  ….
     লক্ষ করে দিখুন…. আপনার – আমার বাচ্চাটিও হয়তো ঠিক এই পরিমন্ডলেই ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে।   
    
এরই নাম কি স্বাধীনতা? …

ওহে মুর্খ … বাঙালী হিন্দুর দল। এই যে তোমরা আজ প্রায় জামা কাপড় খুলে আনন্দে ধেই ধেই করে নাচছো?  যারা আজ স্বাধীনতা উদযাপন করছো, … তোমাদের কি একবারও মনে হয় না যে, … এই দিনটিতে (১৫ আগস্ট) আর যাই হোক বাঙালী হিন্দুর আনন্দ করা কখনোই সাজে না!

কেন? … হঠাৎ কেন এমন বিচার?

কারন …এই দিনটি ছিল বলেই … আজ আমার পিঠে … “উদ্বাস্তুর তকমা”, বাঙালী হিন্দুর সাত পুরুষের বাস্তু ভিটা …ফেলে রেখে লক্ষ লক্ষ- হিন্দু মহিলার ইজ্জত বিসর্জন দিতে হয়েছে; যা এক পরিপুর্ন সভ্যসমাজের সম্পূর্ণ পরিপন্থী …।। 
… এই দিনটিতেই আরবের দস্যুরা ভারত মাতাকে তিন খণ্ড করে রক্তাক্ত করেছে। ‘পাকিস্তান আর বাংলাদেশকে’ পরিণত করেছেন মুসলমানের সিঙ্গল এ্যকাউন্টে, অথচ ভারতের ক্ষেত্রে তা হয়েছে .. ‘হিন্দু মুসলমানের জয়েন্ট এ্যকাউন্ট’। 
এই দিনটার জন্যেই আজ বাংলাদেশে হিন্দু কমে ৮%, আর পাকিস্থানে ১%এরও কম। আজও হিন্দুদের  উদ্বাস্তু হতে হচ্ছে, কেবলমাত্র ঐ কালা দিনটির সৃষ্টির কারনেই।
তাহলে এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন …. আমার প্রতিবাদটা ঠিক কোন জায়গায়?  
… কিন্তু মনে প্রশ্ন হয় … এভাবে আর কতদিন? 

যত হাঁসি, তত কান্না …
বলে গাছেন রামশর্মা……।। 

হাঁসি তো অনেক হল ভাই,… সামনে কিন্তু এবার সত্যিই ভয়ঙ্কর বিপদ এগিয়ে আসছে। অতয়েব সাধু সাবধান!
 
তাই … এইদিনে আমাদের মৌজ মৌস্তি করা মোটেও শোভনীয় নয়। বরং এই নির্দিষ্ট দিনেই সঙ্কল্প গ্রহণ করা উচিৎ, অন্যায় ভাবে দখল করা হিন্দু ভুমি পুনরাধিকারের…।। 

পাশাপাশি… এই দিনটিকে চাইলে সারা ভারত .. তাদের নিজেদের মতন করে পালন নিশ্চয়ই করতে পারেন। কারন তারা উদ্বাস্তু হবার যন্ত্রণা ভোগ করেন নি। কিন্তু আমার মতে, বাঙালী হিন্দু …. অর্থাৎ “১৫ই আগস্টে স্বাধীনতা’র নামে, ওপার বাংলা থেকে অশেষ গ্লানি ভোগ করে আসা সর্বস্বান্ত ও নিঃসহায় নিরাপরাধ হিন্দু বাঙ্গালীর কাছে, হাজার হলেও কিছুতেই এই দিনটিকে আনন্দের দিন বলে মানতে পারা সম্ভব কি?

… একি সত্যিই বাঙালী হিন্দুর কাছে এক মস্ত বড় স্বাদ-হীনতা নয়?