এই অবস্থাটা ক্রিকেটাররাই তৈরি করেছে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কি ক্যাসিনোতে যাওয়া ক্রিকেট বোর্ডের আইনে নিষিদ্ধ? বোর্ড প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, ওরা ক্যাসিনোতে গেছে সত্যি তবে কেউ জুয়া খেলেনি। ক্রিকেট বোর্ড শরীয়া বোর্ড নয় জানি। ইসলামে জুয়া মদ নিষিদ্ধ হলেও একজন ক্রিকেটার বারে ক্যাসিনোতে যাবে কি যাবে না এটা কোন ক্রীড়া সংস্থা ঠিক করে দেয় না। তাহলে ক্যাসিনো বিতর্ক  উঠছে কেন? টুরিস্টদের অন্যতম আকর্ষণই ক্যাসিনো দেখে আসা। তার মানে এই না সব টুরিস্ট জুয়ারী। আমাদের ক্রিকেটাররা এই বয়েসে বিদেশ সফরে ক্যাসিনো বারে যাবে এটা নিয়ে হৈ চৈ উঠবে কেন? বোর্ড প্রেসিডেন্টকেই কেন বিব্রতমুখে তাদের হয়ে সাফাই গাইতে হবে?  তাছাড়া খেলার আগের রাত কিংবা প্রক্টিস সেশন বাদ দিয়ে তো তারা সেখানে যায়নি। অপরাধটা তাহলে কোথায়?

এই অবস্থাটা ক্রিকেটাররাই তৈরি করেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে তারাই ইসলামীকরণ করেছে। নামাজ পড়া, সিজদা দেয়া, নামাজের তাবলিগ করে ফেইসবুকে লাইফ ভিডিও এসব করে ক্রিকেটাররা তাদের ব্যক্তিগত জীবনকে এখন বিতর্কে টেনে এনেছেন। নামাজকালাম পড়ে আবার ক্যাসিনোতে যায় ছিঃ! এইরকম মন্তব্য তৈরি হতে ক্রিকেটারদের আচরণই দায়ী। এদেশের ক্রিকেট দর্শকদের ক্রিকেটাররাই তাদের মধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেটারদের প্রত্যাশা জন্মে দিয়েছে। তাই সামান্য মদ, ক্যাসিনো নিয়ে কতখানি তাদের লুকোচুরি খেলতে হয়! এটা তো তাদের লজ্জ্বা! তারুণ্যের পরাজয়। এ কারণেই তাদের জন্য ছিঃ! ক্যাসিনোতে যাবার জন্য নয়।…