১০১৮ থেকে ১৯৪৬ পর্যন্ত মুসলমানদের হাতে হিন্দু নিধনের চিত্র।

●  মথুরার গণহত্যা : ১০১৮ সালে মহাওয়ান জেলায় প্রায় ৫০,০০০ হিন্দুদের জলে ডুবিয়ে ও তলোয়ারের কোপে হত্যা করা হয়। সেইসঙ্গে হয় সেই জেলার ১,০০০ হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসসাধন।
●  সোমনাথ মন্দিরের গণহত্যা : ১০২৪ সালে গুজরাটের প্রভাস পাটনে ৫০,০০০-এর বেশি হিন্দু হত্যার পর গজনী’র বর্বর মেহমুদ গুজরাট লুট করে ধ্বংস করে সোমনাথ মন্দিরকে।

●  ১১৯৩ খ্রীষ্টাব্দে ও ১১৯৬ খ্রীষ্টাব্দে যথাক্রমে আজমেঢ় ও গোয়ালিয়র দুর্গে মোট ২ লাখ হিন্দুহত্যা হয়। প্রথমটির তত্ত্বাবধায়ক ছিল মহম্মোদ ঘোরী ও দ্বিতীয়টির নায়ক ছিল কুতুবউদ্দিন আইবক নামক নরপশু।
●  ১১৯৭ খ্ৰীষ্টাব্দে নালন্দা জেলায় (বিহার) প্রায় ১০, ০০০ বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা করে বখতিয়ার খিলজি।
●  এর কিছুকাল পর ১২৬৫ খ্ৰীষ্টাব্দে নেওয়াতের প্রায় সব রাজপুতের (সংখ্যায় ১লাখ) নিধনযজ্ঞ সাধিত হয় গিয়াসুদ্দিন বলবন নামক উন্মত্ত জেহাদীর রক্তপিপাসা শান্ত করার জন্য।
●  ১৩২৩ খ্ৰীষ্টাব্দে ১২,০০০ নিরীহ হিন্দুর রক্তে প্লাবিত হয় পান্ড্যরাজ বংশের রঙ্গনাথস্বামী মন্দির (শ্রীরঙ্গম)। ১২, ০০০ প্রার্থণারত হিন্দুদের জবাই করে মহম্মদ-বিন-তুঘলকের বর্বর সেনাবাহিনী। একই কায়দায় আজও চলছে অমরনাথ যাত্রীদের হত্যালীলা।
●  ১৩৫৩ সালে বাংলার ১,৮০,০০০ হিন্দুদের শিরচ্ছেদের কারণে ফিরোজ শাহ তুঘলক তার পশুসম সেনাদের পুরস্কৃত করে।
●  ১৩৬৬ সালে বিজয়নগরের পাশ্ববর্তী জেলাগুলিতে ঘটে এক বিভৎস হিন্দুমেধ যজ্ঞ। ৫,০০,০০০ হিন্দু হত্যা হয় বাহামনী’র মুসলিম সেনাবাহিনী দ্বারা। শুধু রায়চূড় দোয়াবেই ৭০,০০০ হিন্দুর (সব বয়সের) হত্যা হয়। রেহাই পাননি গর্ভবতী হিন্দু মহিলারাও। সেই জেলাগুলি পরিণত হয় ধ্বংসস্তুপে।
●  ১৩৯৮ সালে হরিয়ানায় তিমুরের হিংস্র, বর্বর ও উন্মত্ত নরপশুসম সেনা প্রায় ৪৫ লাখ হিন্দুর শিরচ্ছেদ করে। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও ওই কথা খাঁটি সত্য। তিমুর নামক নরপশুর নিজেরই বয়ান অনুযায়ী তার প্রত্যেক সেনা অন্ততঃ ৫০ থেকে ১০০ হিন্দু হত্যা করেছিল। তাহলে, তার ৯০,০০০ লোকের/ নরপশুর সেনাবাহিনী অন্তত যে ৪৫ লাখ হিন্দু হত্যা করেছিল, সেকথা জলের মতো স্পষ্ট। সত্যিই, বাস্তব বড় রূঢ়। ১৩৯৮-এ এই তিমুর নামক নরপশু ভাটনের দুর্গের সব হিন্দুদের হত্যা করে। ঐ বছরের ডিসেম্বরে গাজিয়াবাদের লোনিতে প্রায় ১লাখ হিন্দু মহিলা ও শিশুদের বন্দী করে হত্যা করে এই একই নরপশু। 
১৩৯৮ সালে দিল্লির প্রায় দেড় লাখেরও বেশি হিন্দুর গণহত্যা হয় তিমুরের হাতে। এই নরসংহার ও হিন্দুরক্ত দিয়ে হাোলি খেলার পর সেই নরপশু আনন্দ করে বলে, “মুসলিম সৈয়দ, উলেমা ও মুসলিম জনগণ ছাড়া পুরো শহরকে আমি ছারখার করেছিলাম”। তারপর দিল্লিতে হিন্দু মৃতদেহের খুলি দিয়ে পিরামিড বানানো হয়। বাকি জীবিত হিন্দুদের দাস বানিয়ে নেওয়া হয়। ১৩৯৯ খ্ৰীষ্টাব্দে মীরাটে ৩ লাখ হিন্দুর রক্তবন্যা বয়ে যায় তিমুরের সেনাদের হাতে। কারণ কি ছিল জানেন? তিমুরের সেনারা হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ করতে চাইলে স্থানীয় হিন্দুরা প্রতিবাদ করেন। ‘গণিমতের মাল’-দের ধর্ষণের প্রতিবাদ ? ‘কাফের’-দের এতো সাহস ?
● ১৫২৭ -এর মার্চে উদয়পুর রাজ্যের খানুয়ায় ২লাখ হিন্দুর গণহত্যা হয়। এর মধ্যে ১লাখ রাজপুত বীরযোদ্ধা ছাড়াও ছিলেন সাধারণ নিরীহ হিন্দুরাও।

এই হত্যালীলার নায়ক-‘বর্বর বাবর’।এরপর ১৫৬০-এ হয় গরহা-কাটাঙ্গা রাজ্যের ৪৮,০০০ হিন্দু চাষীর গণহত্যা। হত্যাকরী আর কেউ না। আমাদের ‘সেকুলার’ বুদ্ধিজীবীদের অত্যন্ত প্রিয় আকবর।
● ১৫৬৫ খ্ৰীষ্টাব্দে বিজয়নগর প্রত্যক্ষ করে ১লাখেরও বেশি হিন্দুর রক্তবন্যা। সুলতানি সেনারা এই সময়েই সেই শহরের অপূর্ব ভাস্কর্যমন্ডিত মন্দিরগুলির ধ্বংসসাধন করে। ১৫৬৮-র ফেব্রুয়ারীতে উদয়পুর রাজ্যের চিতোর দুর্গে আকবরের নির্দেশে ৩০,০০০ হিন্দুর হত্যা হয়। ৮,০০০ রাজপুত রমনী জেহাদী পশুদের থেকে নিজেদের দেহরক্ষার জন্য “জহরব্রত’ পালন করে ঝাঁপ দেন আগুনে। আর আজ কিনা হিন্দু বালিকারা পড়ছে ‘লাভ জিহাদ’-এর খপ্পরে? ছিঃ ছি! কি হল আমাদের সংস্কৃতির ?
●  (১৬৬৮—১৭০৭) সালের মধ্যে সংঘটিত আজ পর্যন্ত হওয়া সমস্ত গণহত্যার সবচেয়ে কালো অধ্যায়। আমাদের এই ভারতভূমিতে। প্রায় ৪৬ লাখ হিন্দুর হত্যা হয় নরপশু ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে।
এমনই এক হিন্দুগণহত্যা’র ঘটনা ঘটে বারানসীতে। সেখানে প্রায় ১,৫০,০০০ ব্ৰাহ্মণের নৃশংসভাবে হত্যা করার পর ঔরঙ্গজেব গঙ্গা ঘাট ও হরিদ্বারে হিন্দু ব্ৰাহ্মণের খুলি দিয়ে তৈরি করে এক পাহাড়, যা দেখা যেত ১০ মাইল দূর থেকেও! সত্যি, জানোয়ারেও যা করে না, ইসলামী জেহাদীরা তাও হাসতে হাসতে করে।
●  (১৭৩৮– ১৭৪০) সালে উত্তর ভারতে পারস্যের হামলাকারীরা ৩ লাখের মতো হিন্দুর রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছিল।
●  লাহোরের কাছে ১৭৪৬-এ শিখদের দিতে হয়েছিল অমুসলিম হওয়ার মূল্য। প্রায় ৭,০০০ শিখদের হত্যা হয়েছিল জেহাদীদের হাতে। ১৭৬৩-তে পাঞ্জাবে প্রায় ৩০,০০০ শিখদের মেরে আফগান মুসলিম জেহাদীরা শিখ জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশই নিশ্চিহ্ন করে দেয়।
● ১৭৬১ সালে পানিপথের যুদ্ধে প্রায় ৭০,০০০ মারাঠী পুরুষ ও ২২,০০০ মারাঠী মহিলা ও শিশুদের দাস বানানো হয়।আফগান মুসলিমরা বড্ড মজা পেয়েছিল এত ‘গণিমতের মাল’ পেয়ে।
●  ম্যাঙ্গালোরে (শ্রীরঙ্গপত্তমে) প্রায় ৫,৬০০ দেশীয় খ্রীষ্টানদের হত্যা করা হয়েছিল টিপু সুলতান নামক নরপশুর নেতৃত্বে। এই নরপশুরাই কিন্তু ভারতীয় মুসলিমদের চোখে হিরো বা নায়ক। তাহলে এই হিরোর ফ্যানদের উদ্দেশ্য কি বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে ভারতীয়দের হিন্দুরা ?
●  ১৯২২-এ মোপলা বিদ্রোহের সময় ১০,০০০ হিন্দুর হত্যা হয় কেরালার মালাবারে। প্রায় ১লাখ হিন্দুর বিতাড়নও হয় সেখান থেকে। এর কৃতিত্ব গান্ধীর খিলাফৎ আন্দোলনের মুসলিম নেতাদের। পরে এরাই দেশভাগ করেও এখানেই থেকে যায় অবশিষ্ট ভারতকেও পাকিস্তান বানাতে।
●  ১৯৪৬-এর ১৫ই আগষ্ট থেকে ১৭ই আগষ্টে হওয়া ‘দ্য গ্রেট ক্যালাকাটা কিলিং’-এর শিকার হন ১০,০০০ হিন্দু। কোলকাতায় হিন্দু হত্যা হয় পাইকারী রেটে। মুসলিম লীগের নরপশুরা কোলকাতার পর নোয়াখালিতেও সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরে (১৯৪৬) ৫,০০০ হিন্দুর কোরবানী’ করে। ১লাখ হিন্দুর ঠাই হয় ‘রিলিফ ক্যাম্পে’। পরে ভারত ভাগের সময় ১৪ই এপ্রিল ও ১৫ই এপ্রিল-এই দুই দিনে শুধু দিল্লিতে হত্যা হয় প্রায় ২৫,০০০ হিন্দুর। সারা ভারতে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ১লাখ ৪০ হাজার।কংগ্রেসী সেকুলার নেতারা তখন অহিংসার বুলি আউড়ে বেড়াচ্ছিল। অবশ্যই শুধু হিন্দুপ্রধান এলাকাগুলিতে!