সলিড টিউমার ক্যানসার প্রতিরোধী ওষুধ আবিষ্কারক ড. রথীন্দ্রনাথ বোস..।।।

 রথীন্দ্রনাথ বোস নড়াইল সদর উপজেলার
কমলাপুর গ্রামের বোস পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বৈদ্যনাথ বোস
এবং মাতার নাম তৃপ্তিলতা বোস। পিতা-মাতার ছয় ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে তিনি
দ্বিতীয়। তিনি ২০১৫ সালের ১১জুলাই বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর ছয়টায় যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

নড়াইল সদর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের বোস পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ড.
রথীন্দ্রনাথ বোস। তিনি ওই গ্রামের বৈদ্যনাথ বোস ও তৃপ্তিলতা বোসের ৬ ছেলে
এবং ৪ মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও
সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে ভর্তি হন। রথীন্দ্রনাথ বোস এই বিভাগ থেকেই
প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জনসহ ১৯৭২ সালে স্নাতক ও পরের বছর
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে তিনি ১৯৭৩-’৭৪ মেয়াদকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের
সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা ছাত্র সংসদের জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছরের
অধিক সময় শিক্ষকতা করেন। এরপর ১৯৭৮ সালে উচ্চ শিক্ষার্থে চলে যান
যুক্তরাষ্ট্র এবং পিএইচডি শেষ করে সেখানেই শিক্ষকতা শুরু করেন। তবে এখনও
তার পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই বাংলাদেশে বসবাস করছেন।

সলিড টিউমার ক্যানসার প্রতিরোধী ওষুধ আবিষ্কার করে সারা বিশ্বকে তাক
লাগিয়ে দিয়েছিলেন প্রফেসর বোস। প্লাটিনামভিত্তিক পরবর্তী প্রজন্মের এই
ওষুধটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার আওতায় রয়েছে।
ইতোমধ্যে তা ‘ফসপ্লাটিন থেরাপিউটিকস’ নামে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেকনোলজি
প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও পেয়েছে।

ড. রথীন্দ্রনাথ হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ফর রিসার্চের
দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির রসায়ন, বায়োলজি অ্যান্ড
বায়োকেমিস্ট্রি, ফার্মাকোলজি অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস বিভাগের
অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ক্যানসার থেরাপিউটিকস ও ফুয়েল-সেল
ইলেকট্রোক্যাটালিস্টের ওপর চারটি অপেক্ষমাণসহ মোট ১০টি পেটেন্টের অধিকারী
তিনি।