স্বামীজি তাঁর গুরুভাই স্বামী অখন্ডানন্দজীকে লিখছেন……

স্বামীজি তাঁর গুরুভাই স্বামী অখন্ডানন্দজীকে লিখছেন……

`খেতড়ি শহরের গরীব নীচ জাতিদের ঘরে ঘরে গিয়া ধর্ম উপদেশ করিবে আর তাদের অনান্য বিষয়, ভূগোল ইত্যাদি মৌখিক উপদেশ করিবে ।

বসে বসে রাজভোগ খাওয়ার, আর ‘হে প্রভু রামকৃষ্ণ’ বলায় কোন ফল নাই, যদি কিছু গরীবদের উপকার করিতে না পারো। মধ্যে মধ্যে অন্য অন্য গ্রামে যাও, উপদেশ কর, বিদ্যা শিক্ষা দাও। কর্ম, উপাসনা, জ্ঞান—এই কর্ম কর, তবে চিত্তশুদ্ধি হইবে, নতুবা সব ভস্মে ঘৃত ঢালার ন্যায় নিষ্ফল হইবে ।

গুণনিধি আসিলে দুইজনে মিলিয়া রাজপুতানার গ্রামে গ্রামে গরীব দরিদ্রদের ঘরে ঘরে ফের ।যদি মাংস খাইলে লোকে বিরক্ত হয়, তদ্দণ্ডেই ত্যাগ করিবে, পরোপকারার্থে ঘাস খাইয়া জীবন ধারণ করা ভাল।

গেরুয়া কাপড় ভোগের জন্য নহে, মহাকার্যের নিশান-কায়মনোবাক্য ‘জগদ্ধিতায়’ দিতে হইবে ।পড়েছ, ‘মাতৃদেবো ভব, পিতৃদেবো ভব’;আমি বলি, ‘দরিদ্রদেবো ভব, মূর্খদেবো ভব’।

দরিদ্র, মূর্খ, অজ্ঞানী কাতর—ইহারাই তোমার দেবতা হউক, ইহাদের সেবাই পরমধর্ম জানিবে।’