সবই শোনা কথা। তবে যে অবস্থা দেখছি, এগুলো সত্য হলেও অবিশ্বাস্য কিছু নয়।

শুনলাম নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী তার স্বামীর কাছে আবদার করেছেন তার জন্য একটা সতীন আনার জন্য। সম্ভব হলে ৩টা সতীন আনার জন্য। কারণ তিনি এর মাধ্যমে বুঝাতে চান নিউজিল্যান্ড মুসলমানদের পাশে আছে, এটা মুসলমানদেরও দেশ, যারা ইসলামের সংস্কৃতিকে ঘৃণা করে তাদের উদ্দেশ্যেই তিনি সতীন নিতে চাচ্ছেন। আরো শুনতে পেলাম, ইসলাম বিদ্বেষীরা ইসলামের তিন তালাক নিয়ে বিদ্বেষ প্রসন করে, তাই নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী তার স্বামীকে ইসলাম গ্রহণ করে তাকে তিন তালাক দিয়ে ফের হিল্লা বিয়ের পর আবার তাকে গ্রহণ করতে বলেছে। এর মাধ্যমে তিনি ইসলাম বিদ্বেষীদের কাছে এই ম্যাসেজ পাঠাতে চান, নিউজিল্যান্ড মুসলিমদের এই অধিকারগুলোকে সন্মানের চোখে দেখে। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের অমুসলিম নাগরিকদের জিজিয়া কর ধার্য করার কথা চিন্তা ভাবনা চলছে। জিজিয়া খুব ভালো জিনিস। এটা দিলে অমুসলমানরা মুসলমানদের হাতে নিরাপদ থাকবে। মুসলমানদের কাছে তারা আমানত হিসেবে রক্ষিত হবে। নিউজিল্যান্ডের সেক্যুলাররা ভেবেচিন্তে দেখেছে ইউরোপের জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখে জিজিয়া কর চালু করে স্বেচ্ছায় মুসলমানদের অধিনে চলে যাওয়াই ভাল। মুসলমানরাও বুঝতে পারবে তারা এখানে বিদ্বেষের শিকার হচ্ছে না। তাদের শরীয়তকে নিয়ে কোন কটুক্তি কেউ করছে না। সম্প্রতি তারা জুম্মার আজান ও নামাজ তাদের টেলিভিশনে সম্প্রচারের ঘোষণা দিয়েছে। এই বিষয়ে আরো জানতে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম, নিউজিল্যান্ড খুব শ্রীঘ্রই সংবিধান পরিবর্তন করে তাদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হিসেবে ঘোষণা করবে। যাতে ইসলাম বিদ্বেষীদের কাছে এই ম্যাসেজ পৌঁছে দেয়া যায় নিউজিল্যান্ডে ইসলাম আছে থাকবে, রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকলে মুসলমানরা নিউজিল্যান্ডে নিরাপদ মনে করবে…।

সবই শোনা কথা। তবে যে অবস্থা দেখছি, এগুলো সত্য হলেও অবিশ্বাস্য কিছু নয়!
Susupto Pathok

Scroll to Top