সাহিত্যিক এবং বাস্তুকার
নারায়ণ সান্যাল (জন্মঃ- ২৬ এপ্রিল, ১৯২৪ – মৃত্যুঃ- ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫)
পি. ডব্লু. ডি. তে চাকরি করাকালীন দণ্ডকারণ্য অঞ্চলে তাঁর পোস্টিং হয়। জীবনের অভিজ্ঞতায় লেখেন দুটি উপন্যাস বকুলতলা পি এল ক্যাম্প ও দন্ডক শবরি যা বিদগ্ধ পাঠক মহলে সমাদৃত হয়। এছাড়া বিজ্ঞান, শিল্প স্থাপত্য ভাস্কর্য ও সামাজিক, ঐতিহাসিক উপন্যাস প্রচুর লিখেছেন। শিশু কিশোরদের জন্যেও তাঁর রচনা সুখপাঠ্য। তাঁর অন্যান্য রচনাগুলির মধ্যে বিশ্বাসঘাতক, ষাট একষট্টি, অরণ্য দন্ডক, অশ্লীলতার দায়ে, না মানুষের পাঁচালী উল্লেখযোগ্য। রহস্য গোয়েন্দা কাহিনীও লিখেছেন, তাঁর কাঁটা সিরিজ নামে খ্যাত বইগুলির মূল চরিত্র পি কে বসু স্ট্যানলি গার্ডেনারের প্যারি ম্যাসন এর আদলে তৈরি। নারায়ণ সান্যালের দণ্ডক শবরী এক সময়ে দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল; পরে ১৯৬২ সালে সেটি পুস্তাকাকারে প্রকাশিত হয়। সাহিত্যজগতে ওঁর জয়যাত্রা সেখান থেকেই সুরু। নিত্য নতুন বিষয়বস্তু নির্বাচন তাঁর রচনাশৈলীর এক বৈশিষ্ট্য। তিনি সাহিত্য জীবনে নানান ধরণের লেখা লিখেছেন: ঐতিহাসিক উপন্যাস (মহাকালের মন্দির, লাডলী বেগম), গবেষণা মূলক উপন্যাস (আমি নেতাজিকে দেখেছি, আমি রাসবিহারীকে দেখেছি), কল্পবিজ্ঞান (নক্ষত্রলোকের দেবতারা), রহস্য (কাঁটা সিরিজের লেখাগুলি), স্থাপত্য (রোঁদ্যা), নতুন সাক্ষরদের জন্য বই (পরিকল্পিত পরিবার), জন্তুজানোয়ারদের জগত্ (তিমি-তিমিঙ্গিল, না-মানুষী বিশ্বকোষ), বাস্তুবিজ্ঞান (বাস্তুবিজ্ঞান, গ্রামের বাড়ি), ইত্যাদি।
জন্ম
তাঁর আদি নিবাস নদীয়ার কৃষ্ণনগর। তিনি পেশায় ছিলেন একজন ইঞ্জিনিয়ার। ১৯৪৮ সালে শিবপুর থেকে বি.ই.পাশ করে সরকারী পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেণ্টে (P.W.D) অ্যাসিস্টেণ্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন। পেশার ফাঁকে ফাঁকেই তিনি লিখতেন। ওঁর প্রায় ২০০ টি বইয়ের বেশির ভাগই লিখেছিলেন চাকুরিরত অবস্থায়। ১৯৭৬ সালে তিনি ইনস্টিট্যুট অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের ফেলো নির্বাচিত হন। অবসর নেন ১৯৮২ সালে।
পুরস্কার
রবীন্দ্র পুরস্কার – অজন্তা অপরূপা-১৯৬৯
বঙ্কিম পুরস্কার – রূপমঞ্জরী-২০০০
……………