যে যত ভদ্রলোক সে তত অসহায়।

“…. স্বামীজী অপ্রকট হবার আগে আমাকে একটা কথাই বার বার বলতেন: দেখ নিবেদিতা জীবনের অভিজ্ঞতা এবং উপনিষদের গভীরে প্রবেশ করে একটা সত্যই উপলব্ধি করছি, এই জগৎ এবং জীবনের শেষ কথা হচ্ছে শক্তি। যার কাছে শক্তি থাকবে সর্ব বিষয়ে শেষ কথা বলার অধিকারী সেই। অনিচ্ছার সঙ্গেও জগৎ তা মানতে বাধ্য, আমাদের দুৰ্ভাগ্য এদেশে যে ব্যক্তি যত বেশি ধাৰ্মিক সে তত বেশি নিরীহ গোবেচারা এবং দুর্বল। তাই তাদের লাঞ্ছনা নির্যাতনেরও শেষ নেই। যে যত ভদ্রলোক সে তত অসহায়। তার কারণ শক্তিহীনতা, উচ্চ আদর্শ, মহৎ চিন্তা বহনকারী হিন্দু সমাজের ইতিহাসটাই শুধু মার খাবার, আক্রান্ত হবার বিবরণে পূর্ণ। এতে কোন হিন্দুর ব্যথা বেদনা অপমান বোধ নেই। দুর্বলের এসব থাকে না। নায়মাত্মা বলহীনেন। লভ্যঃ হিন্দুকে শক্তিশালী হইতে হইবে”। – মিসেস মার্গারেট নোবেল ( ভগিনী নিবেদিতা )

জ্ঞান ও শক্তি আর তার চর্চা – জ্ঞান র শক্তি আর শক্তি র জ্ঞান – সৃষ্টির ঊষালগ্ন থেকে আর্য সনাতন হিন্দু ধর্ম র এটাই মূল বক্তব্য। ধর্ম র ভিত্তি বা cardinal principles কে নিরন্তর অগ্রাহ্য করা আর চোখের জলে, আবেগভূত হয়ে প্রত্যাশা তিনি আসবেন মোর রক্ষার্থে – এক ভয়াবহভাবে হাস্যকর চিন্তা ও ধর্ম র শিক্ষার পরিপন্থী। Incessant Profanation বা নিরবিচ্ছিন্ন ধর্মদ্রোহিতা র মাধ্যমে যা পাওয়া যায় তা একমাত্র – বিনাশ। বাংলার মরণাপন্ন হিন্দুদের কাছে এর চেয়ে বেশী ব্যাখ্যা র প্রয়োজন নেই। জীবন ও উপলব্ধি ই শ্রেষ্ঠতম শিক্ষক।