চিন্তা করা যায়!! এই লেখক ভদ্রলোক – শ্রী পার্থ চ্যাটার্জি Centre for Studies in Social Sciences, Calcutta র Director ছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়েছিল স্যার যদুনাথ সরকার র বাড়ীতে ১৯৭৩ সালে তত্কালীন কংগ্রেস ও বামপন্থীদের মেলবন্ধনে। CSSS র অবস্থান ছিল যদুনাথ সরকার ভবনে; ঠিকানা ১০ লেক টেরেস যা এখন যদুনাথ সরকার রোড নাম পরিচিত। প্রথম থেকেই ভারতীয় ইতিহাস চর্চা থেকে জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারা কে মুছে ফেলতে সচেষ্ট ছিল প্রতিষ্ঠানটি। এঁদের একান্ত প্রচেষ্টায় লুপ্ত হয়ে যায় স্যার যদুনাথ সরকার, ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার, ডঃ নরেন্দ্রকৃষ্ণ সিংহ, শ্রী সুখময় মুখোপাধ্যায় প্রমুখ বরেণ্য ইতিহাসবিদদের যাবতীয় কর্ম; যার বহিষ্করণ ভারতবর্ষ থেকে প্রায় সম্পূর্ণ এতদিনে। আর কোন প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গী সহ, নিষ্ঠা র সঙ্গে অতিবাহিত যাবতীয় কর্ম সংগ্রহীত আছে। আমার এক অতি পরিচিত ইতিহাস র অধ্যাপক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠকালীন স্যার যদুনাথ দ্বারা লিখিত একটি বই পড়তে নিয়েছিলেন ২০০৮ সালে (লাইব্রেরিয়ানের যাবতীয় বাধাদান ও নিরুত্সাহ করার প্রচেষ্টা সত্বেও), নিয়ে দেখলেন বইটি শেষ বার issued হয় ১৯৮২ সালে। ৩ বত্সর হয়ে গেল কেন্দ্রে জাতীয়তাবাদী সরকার আসীন – কিন্তু বামপন্থীদের cliche চিন্তাভাবনা ও চর্চা অব্যাহত, বহুল পরিমাণে। নিম্নোক্ত article টি তার সবচেয়ে বড়ো প্রমাণ। শ্রীমতি গান্ধী র নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস ভারতবর্ষ র ইতিহাস চর্চা তুলে দিয়েছিলেন বামপন্থী-কম্যুনিস্টদের হাতে। প্রশ্ন: আর কতকাল? আমাদের চিন্তার স্ফুরণ কি নিঃশেষিত অথবা আমরা কি নিজস্ব চিন্তাধারা র প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে একান্ত অক্ষম? পরিশেষে একটি কথাই বলার – সময় ও সুযোগ বড়ই ক্ষণস্থায়ী। মহাভারতে উল্লেখিত – জ্যেষ্ঠ পান্ডব কুমার যুধিষ্ঠির যক্ষ র প্রশ্ন – সবচেয়ে বড়ো রহস্য কি – র উত্তরে বলেছিলেন – মানুষ মরণশীল, কিন্তু ভাবে সে অমর। এই মনোভাব কি (আমাদের) হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের গ্রাস করছে?