সাতক্ষীরার একটা স্কুলের পিকনিকে হিন্দু ছাত্রদের গরুর মাংস খাইয়ে দেয়ার পর হেডমাস্টার হিন্দু ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, -একদিন গরুর মাংস খাইলে কি হয়?
এদেশে যারা হেড তারা সব পার্ভাট। হেড আদালত হেড কমিশনার হিন্দুদের বুঝিয়ে দিল, একদিন পুজা না করলে কি হয়?
এটা পুজার পক্ষে দাঁড়ানো নয়। এটা সংখ্যালঘুর অধিকারের প্রশ্ন। সংখ্যাগুরু কি মিলাদুন্নবীর দিন নির্বাচন ফেলতে পারত?
ভারত ধর্মনিরপেক্ষ থেকে হিন্দু রাষ্ট্র হলে যারা ভারত ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে ফেলবেন, যারা এনআরসি ক্যাব বিরোধী, যারা কাস্মির মুক্ত করতে জিহাদ করতে চেয়েছিলেন তারাই এখন বাংলাদেশ থেকে বলছে –
একদিন পুজা না করলে কি হয়? হিন্দুরাও জানে বেদে পুজা করার কথা নাই। …নাস্তিকগুলি সব ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দু! এরা কেন হিন্দুগো পুজা করতে না পারা নিয়া জ্বলে? …ভারতের মুসলমানরা আরো বেশি বঞ্চিত। …দেশে এত সমস্যা সেগুলি নিয়া কথা না বইলা সামান্য একটা পুজা নিয়া এরা কথা বলছে। এরাও মোল্লাদের মতই! ভারতে তো গরুর মাংস খাইলে জেলে নিয়া ভরে! আর হিন্দুগো আমরা পুজা করতে দেই! অগো কি কইছি পুজা করবি না।
ভোটের পরে যত পারছ পুজা কর গিয়া। …এইগুলি বিজেপির চাল! দাদারা দেশে একটা ফ্যাসাদ লাগাতে এখন পুজা নিয়া পড়ছে! হিন্দু একটা ধর্ম হইল নি! পুজা করতে দেই এই তো বেশি! …আমরা সব ধর্মের অধিকার মানি কিন্তু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা জন্য কিছু করার নাই।… হিন্দুদের আমরা প্রটেকশন দিয়া রাখি। এটা ভারতেই চাল! এইখানে হিন্দুরা খারাপ আছে প্রচার করতে পারলেই ওদের লাভ!