কাবাঘর তাওয়াফ করতে গিয়ে নারীদের যৌন হয়রানি কোন নতুন ঘটনা নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নারীরা এটা চেপে যান নানা দিক ভেবে। ইউটিউবে একটা ভিডিও দেখেছিলাম যেখানে দুজন নারী হজরে আসওয়াদ (কালা পাথর) একটু ছুঁতে চেষ্টা করতে গিয়ে পিছন থেকে হাজিদের নাযেহালের শিকার হন। ভিডিওর লিংক এখানে দিলাম: https://www.youtube.com/watch?v=JncMdZNzZDU
পাকিস্তানী একজন নারী হজ করতে গিয়ে অপর হাজি পুরুষের বিরুদ্ধে তার স্পর্শকাতর অংশে হাত দেয়ার অভিযোগ করেছেন। নারীরা পর্দা করে না বলেই তারা ধর্ষণের শিকার হয়, কলা ছিলা থাকলে মাছি বসবেই, পহরেজগার পর্দাশীন নারীদের কেউ যৌন হয়রানি করে না… ইত্যাদি সব রকম কলা এতকাল ঝুলিয়ে আসলেও এবার খোদ ধার্মীক নারীরাই তাদের পর্দাশীন অবস্থায় ধর্ষণ, যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করতে শুরু করেছেন। ইবনে কাথির লিখিত প্রসিদ্ধ সর্বমান্য সীরাত গ্রন্থ ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’-তে একটি ঘটনার বর্ণনা দেয়া আছে যেখানে হযরত উমার তার মামাতো বোনকে মসজিদে যেয়ে নামাজ পড়া ঠেকাতে রাতের আধারে অন্ধকারে লুকিয়ে থেকে পিছন থেকে তার নিতম্বে হাত দিয়েছিলো যাতে মামাতো বোন এরকম যৌর হয়রানি এড়াতে বাড়িতে বসেই নামাজ পড়ে। ইসলামের প্রথম যুগে নারী পুরুষ একত্রে মসজিদে নামাজ পড়লেও সেটা উমারের পছন্দ ছিলো না। নবীর স্ত্রীরা রাতের আধারে বাইরে প্রাকৃতিক কর্ম সারতে গেলেও সেটা উমারের কাছে পর্দালঙ্ঘন বলে মনে হতো।
কাবাঘরে চারপাশে সাত পাক দেয়ার সময় যে পরিমাণ মানুষ জড়ো হয় সেখানে কোন রকম শৃঙ্খলাই আশা করা যায় না। শয়তানকে ঢিল মরতে গিয়ে হাজি সাহেবদের পায়ের নিচে পড়ে গণমৃত্যুকে গণহত্যাই বলা উচিত। মুসলমানদের সাধারণ বিশ্বাস হচ্ছে কাবার উপর দিয়ে কোন পাখি উড়ে যেতে পারে না এর সন্মান রক্ষার্থে। অথচ কবুতের বিষ্ঠায় কাবার গিলাফের উপরের অংশ নোংরা হয়ে থাকে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে কাবাঘরকে কেউ বিনষ্ট করতে পারবে না। একে কেউ অপবিত্র করতে পারবে না। অথছ কাবাঘরের ভিতরের আল্লাহ তাকে সাতবার পাক দিতে আসা নারীদেরই নিরাপত্তা দিতে পারেন না! পকেটমারদের হাত থেকে হাজিসাবদের পকেট রক্ষা করতে পারেন না!…
আরবের বাইরের মুসলমনাদের ইসলাম সম্পর্কে অদেখা যে আবেগ ইসলাম নিয়ে কাজ করে তার মোহভঙ্গ ঘটে সামনে থেকে ইটপাথরের এই কাবাঘর দর্শন করে। যখন দেখে দাড়িঅলা আরবগুলো অবলীলায় কাবাকে পিছনে রেখে পশ্চাদ্দেশে আঙ্গুল ঢুকিয়ে চুলকাতে থাকে…।