বিপরীতধর্মী মানসিকতা নিয়ে আর কতদিন নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে?

!! হিন্দু জাগবে কবে —- পশ্চিম বঙ্গ যবে বাংলাদেশ হবে!!
————————————————————————
কোন হিন্দুবহুল এলাকায় মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেই তারা হিন্দুদের উত্যক্ত করতে শুরু করে। সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেলে তারা হিন্দুদের উপর অত্যাচার করতে শুরু করে। তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা বদলাতে বাধ্য করে। হিন্দুদের বাড়ির মহিলাদের উপর আক্রমণ শুরু করে এবং সবশেষে হিন্দুদের হত্যা করে।
এইসবই মুসলিমদের কোন এলাকায় নিজেদের প্রতিপত্তি স্থাপন করার চিরাচরিত পদ্ধতি। কিন্তু মুসলমানদের এই পদ্ধতির অনুপ্রেরণা কি? পাকিস্তান? নাকি সৌদি আরব বা আই এস আই এস? একদম নয়। হাফিজ সইদ, জাকির নাইক, ইমাম বরকতি বা ত্বহা সিদ্দিকি? না, সেটাও নয়! মুসলমানদের একমাত্র অনুপ্রেরণা হল ইসলাম আর সেটার একমাত্র সূত্র হল কোরান!

পাকিস্তান, সৌদি আরব, আই  এস আই এস , হাফিজ সইদ, জাকির নাইক, ইমাম বরকতি বা ত্বহা সিদ্দিকিদের দায়িত্ব হল শুধু মুসলমানদের প্রতি কোরানে বিবৃত কর্তব্যগুলি তাদেরকে মনে করিয়ে দেওয়া। ব্যাপারটা খুব জটিল হয়ে যাচ্ছে কি? উদাহরণ দিলে হয়ত সহজ হবে।

আসুন, দেখা যাক কোরান তাঁর অনুগামীদের কি বলছে। “হে মানুষ, তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর। আল্লাহ ব্যতীত এমন কোন স্রষ্টা আছে কি, যে তোমাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে রিযিক দান করে? তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব তোমরা কোথায় ফিরে যাচ্ছ? [ সুরা ফাতির ৩৫:৩ ]”। যত মত, তত পথ-র প্রচারকগণ একটু খেয়াল করবেন। এবার দেখা যাক ‘পবিত্র মাস’ প্রসঙ্গে কোরানের কি আদেশ- “অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামাজ কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [ সুরা তাওবা ৯:৫ ]”। এখানেই শেষ নয়, আরও আছে, নিজেই দেখুন- “যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলে বিশ্বাস করে না, আমি সেসব কাফেরের জন্যে জ্বলন্ত অগ্নি প্রস্তুত রেখেছি। [ সুরা ফাতাহ ৪৮:১৩ ]”। বিষয়টা একটু স্পষ্ট হল কি, না হয়ে থাকলে এটাও দেখে নিন- “যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়। [ সুরা আনফাল ৮:১২ ]”।

এই জন্যেই বলছিলাম যে জেহাদি সন্ত্রাসবাদের উৎসকে আগে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা দরকার। মুসলমানদের সুবিধা হল যে তাদের সমাজে ধর্মীয় কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্যে অসংখ্য প্রতিনিধি আছে —-  কিন্তু হিন্দুদের দুর্ভাগ্য যে তাদের মধ্যে খুব বেশী  ঘোষ – ভট্টাচার্য্য – চৌধুরী – মহারাজ নেই। তাই হিন্দু শাস্ত্রে নারায়ণ যখন পশুতুল্য হিরণ্যকশিপুকে বধ করতে স্বয়ং নৃসিংহ অর্থাৎ অর্ধেক নর আর অর্ধেক পশুর রূপ ধারণ করেন তখন আমরা সেই মূর্তিকে কেবল পূজা করি। কিন্তু তার সাথে একবারও বার্তাটা ভেবে দেখিনা যে পশুতুল্য মানুষকে হত্যা করার জন্যে নিজেদের মধ্যেও জান্তব ভাব আনাটা প্রয়োজন। আমরা শ্রীমৎভগবদ গীতাকে শ্রদ্ধার সাথে পূজা করি কিন্তু এটা ভুলে যাই যে গীতাতে অর্জুন যখন নিজের আত্মীয় পরিজনদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অস্বীকার করে অস্ত্র ত্যাগ করেছিল তখন শ্রীকৃষ্ণ তাকে বলেছিলেন যে ধর্মপ্রতিষ্ঠার জন্যে প্রয়োজনে প্রিয়জনের বিরুদ্ধেও লড়তে হবে।

আর ঠিক এইখানেই মুসলমানরা বাজি জিতে যায়। হিন্দু ধর্মগুরুরা যেখানে তাদের অনুগামী -অনুগামিনীদের ব্যক্তিগত লাভ -লোকসানের হিসাব বুঝিয়ে নিজেদের লাভের অঙ্ক কষতে ব্যস্ত! হিন্দু ব্যবসায়ীরা যেখানে কেবল নিজেদের পরিবার বা গোষ্ঠীস্বার্থ সম্পর্কে আগ্রহী! হিন্দু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যেখানে সেকুলার সাজার নেশায় মশগুল! তখন মুসলিম ধর্মগুরু, ব্যবসায়ী আর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দর দিকে তাকিয়ে বৈপরীত্যটা লক্ষ্য করুণ।

এই বিপরীতধর্মী মানসিকতা নিয়ে হিন্দুরা কতদিন নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে? কতদিন রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে গুরুর ভরসায় বেঁচে থেকে সেই গুরুর আশ্রমকেই বাংলাদেশে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে দেখতে হবে? কতদিন যত মত, তত পথ বাণী প্রচার করার পরে সেই রামকৃষ্ণ মিশনের গুরুদেবকেই নিজের প্রাণ বাঁচাতে হিন্দুবহুল ভারতে পালিয়ে আসতে হবে? আজও নাহয় ভারত হিন্দুবহুল আছে, কাল কি হবে?

কাল — মহাকাল হবে!!